ভাবলাম নিজের ছুডো বেলার কিছু স্মৃতি শেয়ার করি ......। আমার ছোট বেলার দিন গুলি নারায়গন্জ্ঞে কাটছে। আমরা মিশন পাড়ায় থাকতাম। পড়তাম শিশুবাগ স্কুলে। আমি আর আপু খুব মজা করতাম। মজা করতে গিয়া একদিন ছেলে ধরার হাতে পইড়া কানের দুলও হারাইলাম। এইটা নিয়া পোষ্ট দিছিলাম। অনেকেই জানেন। স্কুল ছুটির পর কোন দিন আব্বার অফিস বা কোন দিন মামার অফিস যাইতাম। আমার আব্বা আবার ভীষন রাগী টাইপের মানুষ আমরা তাকে ভয় পাইতাম খুব । কিন্তু ভয় পাইলেও আমার দুরন্তপানা থেমে থাকতো না। আমি ছোট বেলায় একটু দুরন্ত ই ছিলাম। সেইজন্য আমার পোলাডা এমুন খরগোশের মত সারাদিন লাফায় মনে হয়।
আমি আর আপু স্কুলের গেটে যে খাবার বিক্রি হইতো আইস্ক্রীম,আচার, বেতফল, চটপটি আরো কত কি....। তা খাওয়ার কি যে লোভী ছিলাম আমরা। কিন্তু ঐগুলা খাইতে মানা ছিলো। আম্মা টিফিন দিয়ে দিতো, সেগুলা খাইতে হইতো। কিন্তু স্কুল গেটের খাবার আমরা যে খাইতাম না তা না । পয়সা নিয়া ঠিকই খাইতাম ।
আম্মা প্রাই বলতো তোমরা স্কুলে গিয়ে কি করো, কি খাও আমি সব দেখতে পাই। আমার আরো দুইটা চোখ আছে। আমি তাদের তোমাদের সাথে পাঠায় দেই। মজার ব্যাপার হইলো আমরা দুই বোন কি খাইতাম কিনে তা আম্মা মাঝে মধ্যে বইলা দিতো। এর কারণ হইলো আমার বাপে মাঝে মইধ্যে আমাগো স্কুলে যাইতো টিচারগো লগে কথা কইতে বিভিন্ন ব্যাপারে। আমরা দুই বোন সেইটা জানতাম না। আব্বা আইসা আম্মারে কইতো। আর আমাগো অল্প বুদ্ধির মাথা বিশ্বাস করতো আম্মার আসলেই দুইটা চোখ।
একবার এক মজার ঘটনা ঘটলো। আমি কিছু কয়েন নিলাম স্কুল গেটের খাবার কিনে খাবার জন্য। পয়সা ব্যাগে নিলে আম্মা দেখবো , সেইজন্য প্যান্টে গুজঁলাম। স্কুলে যাবার জন্য বাসা থেকে বের হবো সেই মুহুর্তে আম্মা আব্বার সামনে আমার প্যান্টে গোজাঁ সব কয়েন ঝর ঝর কইরা পইড়াগেলো বিশ্বাস ঘাতকতা কইরা। আমি তো লজ্জায়, ডরে লাল নীল বেগুনী হইয়া গেলাম। বাকী পরের কথা আর না কই।
আরো একবার আমি আর আপু টিফিনে আইস্ক্রীম খাচ্ছি। সেদিন কোন কারণে আব্বা টিফিনে আমাদের নিতে আসলো। আব্বাকে গেটে ঢুকতে দেখে আপু আইস্ক্রীম ফেলে দিয়ে সুবোধ বালিকার মত দাড়ায় রইলো। আর আমারে কইলো ফেইলা দিতে। কিন্তু আমি তো নাছোড়বান্দা খাইতেই থাকলাম। পরে রিক্সায় বসে এক ধমক বাপের--- এখনও আইস্ক্রীম ফেল্লি না । কতদিন বলেছি এই গুলা খাবেনা। কি আর করা , ধমকের চোটে ভড়কায় গিয়া ফালায় দিলাম । আহ! আইস্ক্রীমের শোক....................।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জুন, ২০০৮ রাত ৯:৩১