এখানকার একটি জীর্ণ পাবলিক লাইব্রেরীকে সম্পুর্ণ নতুন অবয়বে সাজানোর কাজ শুরু হয়েছিল গত বছর। স্থানীয় কিছু মহত মানুষ আর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সরাসরি তত্ত্বাবধানে পঙ্গু এ লাইব্রেরীটি আস্তে আস্তে পরিনত হচ্ছে জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে। বছর দুয়েক আগে যে লাইব্রেরী ভবনে সন্ধায় জুয়ার আড্ডা বসত এখন সেখানে প্রতি সন্ধায় বসে জ্ঞান অন্বেষনের আড্ডা। প্রতি সন্ধায় এখন সেখানে লোকজন আড্ডা দিতে দিতে দেখছে দেশী বিদেশী বিখ্যাত সব সিনেমা, ডকুমেন্টরী, পড়ছে বই, ইন্টারনেট থেকে ধারনা নিচ্ছে কৃষি, ব্যবসা, তথ্যপ্রযুক্তির ।
উল্লেখ করার মত অগ্রগতি সাধিত হয়েছে তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে। লাইব্রেরীতে সবার জন্য উম্মুক্ত একটি মাত্র কম্পিউটারে একদল ছাত্র ছাত্রী বিনে পয়সায় ব্রাউজ করার সুযোগ পাচ্ছে। আর এ সুযোগটিকে এসব মেধাবী ছেলেমেয়েরা কাজেও লাগাচ্ছে শতভাগ। প্রতিদিন পড়া আর ক্লাশ শেষে প্রয়োজনীয় সব তথ্যাদী ডাউনলোড করছে। নিজেরা নিজেদের সমস্যা নিয়ে বিভিন্ন কমিউনিটির হেল্প নিচ্ছে। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে নিজেদেরকে আরও যোগ্য করে গড়ে তুলছে। দিনে দিনে ছোট্ট এই অবহেলিত উপজেলাটিতে গড়ে উঠছে একটি সাইবার কমিউনিটি।
অবশ্যই এটি একটি বিরাট আশার কথা। আর হতাশার কথা হল এখানকার অনেকেই এই কার্যক্রমটিকে নিছক পাগলামী বলে গালমন্দ করতেও দ্বিধা করছে না।
আমার বিশ্বাস এভাবেই কিছু দরকারী মানুষ এদেশে তৈরী হবে, যারা আমাদের আগামী পৃথিবীটাকে পুরোটা পাল্টিয়ে দেবে।