সচরাচর ছুটির দিন ছাড়া বাসায় থাকা হয় না। সেই সাত সকালে বের হয়ে গভীর রাতে বাসায় ফেরা হয়। সারাদিন কি হয় না হয়, তার কিছুই জানি না। গত কয়দিন অসম্ভব গরম পড়েছে। এক ফোটা বৃস্টি নেই। মানুষ গরমে হাঁসফাঁস করছে। একই সাথে ঘনঘন বিদ্যুত যাওয়া -আসায় মানুষের দুর্ভোগ আরো বেড়েছে। উপরন্তু গত তিনদিন নারায়ণগঞ্জে আমাদের মহল্লা জামতলা মসজিদরোডে একফোটা পানির সাপ্লাই নেই। গ্যাসের সংকটতো আছেই । খুব সকালে গ্যাস পাওয়া যায়। আর সারদিন খবর থাকে না।
প্রশ্ন হচ্ছে, আদৌ কি বিদ্যুৎ সংকট কেটেছে?
' এ সরকার কথায় কথায় এত উন্নয়নের কথা বলেন। বিদ্যুত সংকট নেই বলে তারা বাহাবা কুড়াতে চান।
কিন্তু বাস্তবতা কি বলে?
এ সরকার ক্ষমত্যয় এসে প্রথমেই ঘোষনা দিয়েছিলেন ,বিদ্যুত সংকট নিরসন করবেন। সে অনুযায়ী তারা অনেকগুলি কুইক রেন্টাল, রেন্টালে বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপনের অনুমতি দেন। কেউ কেউ খুব দ্রুত বিদ্যুত উৎপতপাদন শুরু করে এবং জাতীয় গ্রীডে সরবরাহ করে। কয়দিন আগেও সরকার " বিদ্যুত সংকট সমাধান হয়েছে বলেই বাহাবা নিত।"
কিন্তু এতো এতো কুইক রেন্টাল , রেন্টালে বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপন করে কি লাভ হলো ?
লোডশেডিং কি কমেছে?
উৎপাদন খরচ কমলেও কি বিদ্যুতের দাম কমেছে?
বরং নতুনভাবে আবারো বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা করছে ।
সরকারের ভাষ্য অনুযায়ী এবং তাদের সমর্থকদের মুখে শুনি ' রেকর্ড পরিমান বিদ্যুত উৎপাদিত ' হয়েছে ।
কিন্তু সেই বিদ্যুত গেল কই?
বাসা বাড়ি, শিল্প কারখানায় কি নিরবিচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুত সরবরাহ করা যাচ্ছে?
আগেই বলেছিলাম, সারাদিন বাসায় থাকি না, জানি না কতবার বিদ্যুত লোডশেডিং হয়। তাই একদিনে সকাল সাতটা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত কতবার বিদ্যুত আসে যায় ? সঠিক হিসেব জানার জন্য মা কে বলেছিলাম , কাগজে লিখে রাখতে।
রাতে বাসায় ফিরে দেখলাম গতকাল বুধবার সারাদিনে ১১ বার বিদ্যুত গেছে। প্রতিবার ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা করে বিদ্যুত আসা যাওয়া করেছে। এরকম এখন প্রতিদিনই হচ্ছে।
লোডশেডিং যদি করতেই হবে , তাহলে এত টাকা খরচ করে, সুন্দরবন ধবংস করে,বাশখালিতে মানুষ খুন করে বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপনার দরকার কি?
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:৫৮