‘ডন অব দ্য প্ল্যানেট অব দ্য এপস’
২০১১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘রাইজ অব দ্যা প্ল্যানেট অব দ্য এপস’ ছবির সিক্যুয়াল ‘ডন অব দ্য প্ল্যানেট অব দ্য এপস’। মুক্তির আগেই ছবির ট্রেলার বেশ সাড়া ফেলেছিলো। ট্রেলারের সাফল্য দেখেই ধারণা করা গিয়েছিলো- ছবিটির ভাগ্য সুপ্রসন্ন। হয়েছেও তাই। ১৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেটের ছবিটি গত ১১ জুলাই ৩,৯৬৭ টি থিয়েটারে মুক্তি পেয়েছে। মুক্তির প্রথম দু'দিনেই আয় করে ফেলেছে ৩১.১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। সপ্তাহ জুড়ে আয় করে ৭৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এমন সাড়া পেয়ে দারুন খুশি টোয়েন্টি ফক্স সেঞ্চুরী। ইতোমধ্যে ছবিটির তৃতীয় কিস্তির ঘোষনা দিয়ে ফেলেছেন তারা। ২০১৬ সালে এর তৃতীয় কিস্তি মুক্তি পাবে।
অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে মানুষের বিরুদ্ধে সিজার ও তার বাহিনীর লড়াইয়ের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে ‘রাইজ অব দ্য প্ল্যানেট এপস’। একদিকে প্রতিরোধ, অন্যদিকে আক্রমণের মধ্যে তৈরি হতে থাকে মানবিকতার গল্প। সিজারের রাগী চোখ, এপ বাহিনীর আক্রমন এবং তাদের জয়Ñ এ নিয়েই গড়াতে থাকে গল্প। এরই মধ্যে সমালোচকরা একে বছরের সেরা পপকর্ন ছবি হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। অভিনয়, গল্প ও নির্মাণ সবই সমালোচকদের কাছে বেশ প্রশংসিত হয়েছে। আগের কিস্তির বিশেষ কোনো অভিনেতা-অভিনেত্রী এই ছবিতে নেই। তবে রয়েছে এপ-দের বিদ্রোহের প্রধান পান্ডা সিজার চরিত্রটি। ছবিতে সিজার চরিত্রে অভিনয় করেছেন অ্যান্ডি সারকিস। ২০০১ সালে ‘লর্ড অব দ্য রিংস’ ছবির জনপ্রিয় চরিত্র ‘গোল্লুম’ ছিলেন তিনিই। ভাবছেন, মানুষ হয়ে তিনি কিভাবে শিম্পাঞ্জির রূপ ধারণ করলেন? এই সময়ে প্রযুক্তির কাছে অসম্ভব বলে কিছুই নেই। শুধু সারকিস নয়, আরও অনেকেই প্রযুক্তির সাহায্যে শিম্পাঞ্জি হয়েছেন। ছবিটির দৃশ্যধারণে ব্যবহার করা হয়েছে বিশেষ এক ধরনের পোশাক। প্রযুক্তির পাল্লায় পড়ে সেই পোশাকই হয়ে গেছে লোমযুক্ত আবরণ। মাথায় ছিলো বিশেষ ধরনের হেলমেট ও মুখে ছিলো ছোট ছোট সাদা দাগ যেগুলোর সংমিশ্রণে ভিজ্যুয়াল এ্যাফেক্ট এর মাধ্যমে মানুষ থেকে পুরো পুরি শিম্পাঞ্জিতে রূপান্তর করা হয়েছে। ছবির বিভিন্ন দৃশ্যের সঙ্গে মিলিয়ে সর্বমোট ১৯ টি মিউজিক কম্পোজ করা হয়েছে। আর সবগুলোই কম্পোজ করেছেন মাইকেল জিয়াসিনো।
‘লুসি’
লুক বেসন পরিচালিত এ ছবিতে লুসি চরিত্রে অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও অভিনেত্রী স্কারলেট জোহানসন। ২৫ জুলাই মুক্তিপ্রাপ্ত ছবিটি এরইমধ্যে দর্শকদের দারুন সাড়া পেয়েছে। লুসি এক ধরনের ড্রাগস নেন, যেটি তার মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। তবে তার মানবিকতাবোধ কমিয়ে আনে। এ ছবিতে মরগান ফ্রিম্যান অভিনয় করছেন বিজ্ঞানী হিসেবে। তাইওয়ানের ছোট্ট এক শহর তাইপেই। লুসি ও তার মায়ের বাস সেখানে। খুব সাধারণ জীবনযাপন তাদের। কিন্তু সে সুখ খুব বেশিদিন সইল না তাদের কপালে। লুসির ওপর চোখে পড়ে সেখানকার মাফিয়া নেতার। লুসিকে তাদের সাথে কাজ করার প্রস্তাব দেয়া হয়। কাজটা খুবই সামান্য। তাদের সাথে ড্রাগ ডিলার হিসেবে কাজ করতে হবে। কারণ তার কোনো ক্রিমিনাল রেকর্ড নেই, তাই সে খুব সহজেই পুলিশের চোখ এড়িয়ে কাজটা করতে পারবে। কিন্তু লুসি তাদের প্রস্তাবে রাজি হয় না। বড় অংকের টাকার লোভ সামলে সাধারণ জীবনেই থাকতে চায় সে। তবে পিছু ছাড়ে না মাফিয়ারা। এক পর্যায়ে তারা কিডন্যাপ করে লুসিকে। কিছুদিন তাদের কাছে আটকে রেখে ড্রাগ দেওয়া হয় তাকে। নতুন এই ড্রাগ মাত্রই বাজারে ছড়িয়েছে। ব্যাপারটা অনেকটা পরীক্ষামূলক। প্রতিক্রিয়া কি হয় সেটা কারোই জানা ছিল না।
প্রথম কয়েকদিন স্বাভাবিক থাকার পর শুরু হয় প্রতিক্রিয়া। নতুন এ ড্রাগ লুসিকে বেশ কিছু ক্ষমতা উপহার দেয়। এক কথায় তাকে সুপার হিউম্যান বানিয়ে দেয়। শক্তি, বুদ্ধি, দক্ষতা সব বেড়ে যায় বহুগুণ। এরপর এই ড্রাগের সমস্ত ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ার মিশন শুরু করে লুসি। নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যায় ‘লুসি’র গল্প। অ্যানিমেশন আর স্পেশাল ইফেক্টের পাশাপাশি স্কারলেটের অনবদ্য অভিনয় ছবিটিকে ভিন্ন মাত্রা দিয়েছে। আর তাই মুক্তির পরপরই বক্স অফিস মাত করে ছবিটি।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:২৩