Bangladesh Road Transport Corporatioস সংক্ষেপে BRTC
প্রথমেই প্রধানমন্ত্রী বর্তমান সরকারী দলেও তাবত মন্ত্রী ও আমলা কামলাদের + সব বিরোধী দলের নেতা নেত্রীদের সম্মান জানিয়ে পোষ্ট শুরু করলাম!!!
ধরে নিলাম আমরা শতকের পর শতক পরাধীন ছিলাম। হয় সামন্ত রাজাদের হাতে নতুবা ইংরেজদের কাছে। স্বাধীন নবাবের আমলকে আমরা স্বাধীন ধরছি না, যা আমার ব্যক্তিগত মতামত। স্বাধীন নবাব কতটুকু স্বাধীন ছিল তা প্রশ্ন রাখে।
তাই আমাদের চিন্তা বিকাশের সুযোগ তেমন হয় নি আর হলেও গুটি কয়েক পরিস্ফুটিত করতে পেরেছিলেন। সেই চিন্তা করলে আমরা বর্তমান যুগের ভাবনা ও উন্নতির পথে কিছুটা পথ পিছনে পড়ে গেলেও অর্থনৈতিক চাবিকাঠিতে আবার সেই দৌড়ে উঠে দাড়াতে পেরেছি। ধন্যবাদবর্তমান সরকারকে যে, বৈদাশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি করেছে একদিকে আরেক দিকে ঋণ নেওয়া হয়েছে! ঋণ আর ঋণের সুদ কি জিনিস তা যে ঋণ নেয় সে বুঝে, যদি তার ফিরতে দেবার নিয়ত থাকে!
যখন সেটা ব্যক্তি না হয়ে রাষ্ট্র হয়, তখনতো আরও গভীরভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত + গনভোটের মাধ্যমে প্রত্যেক জনগনের অনুমতি নিতে হবে। সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেলেই না ঋণ এর প্রশ্ন। জাতি এই দায়ভার নিবে কিনা বা কোন খাতে নিতে হবে বা কেনই নিতে হবে তা অবশ্যই কারণ দর্শাতে হবে।
দেশ কারউ বাবার বা স্বামীর শুধু মুখের কথাতে নিশ্চয়ই স্বাধীন হয় নাই্।(তারাঁ উভয়েই সম্মানের যোগ্য) রক্ত দেওয়া হয়েছে বিনিময়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে। সুতরাং নিজ মন মত সব সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার নিশ্চয়ই কারো নাই। সেটা হাইকোর্ট এর সামনের মূর্তি হোক না কেন। খুব বেশী আপনি আবেদন বা পেশ করতে পারেন। আলোচনা সাপেক্ষে জনগনের 1st priority হিসেবে সিদ্ধান্ত দিবেন।
তারা(যাদের নিয়ে উপরে এত গুনগান গাইলাম) ভাল-ই বিদেশে অবস্থান করেছেন। সেখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থা কিভাবে পরিকল্পিতভাবে গঠিত হয়েছে সে ব্যাপারে জ্ঞান থাকার কথা। আর যেখানে জনবহুল নগরী হয় সেখানে ফরজ হয়ে যায় আরও পরিকল্পিতভাবে যোগাযোগ কাঠামো তৈরী করা। আচ্ছা ফ্লাই ওভার দিয়ে যদি যোগাযোগ উন্নতি হয় তাহলে পৃথিবীতে আর কোন ট্রান্সপোর্ট এর উন্নয়ন ঘটত না। ফ্লাইওভার ও পাতাল যাই বলেন না কেন, তার জন্য সঠিক পরিকল্পনা দরকার, ইচ্ছা থাকা দরকার। দূর্নীতি নিয়ে পোষ্ট আর বিষয় থেকে সরে আসতে চাচ্ছি না। আমার সমস্যা আমি ঘটনার গোড়াঁতে যেতে চাই।
বি আর টি সি-তে সরকার চাইলে আরও বিনিয়োগ করতে পারে। রাষ্ট্রের জনগনের জন্য তাই লোকসানের কথা চিন্তা করলে চলবে না। দূর্নীতি না হলে এই খাত লাভ বৈ ক্ষতির সম্মুখীন হবার কথা না। আগেই বলেছি দূর্নীতি বিষয়ক পোষ্ট টি নয়, তাই আর এগুলাম না। বি আর টি সি নিজ উদ্যোগে ঢাকাতে রুট অনুযায়ী প্রচুর বি আর টি সি বাস নামাতে পারে। সেই সাথে ব্যক্তিগতসব বাস বিলুপ্ত করে। একমাত্র প্রিমিয়াম ধাচেঁর বাসগুলি রাস্তাতে নামতে দেয়। কোন প্রকার লক্কর ঝক্কর বা কোনমতে চিপি সিট নিয়ে নামতে দেওয়া যাবে না। আমার জানা মতে বাসের আকৃতি অনুযায়ী সিটের সংখ্যার একটা প্রাধান্য আছে। দরকার হলে মাঝে ফাকাঁ রাখবেন অর্থাৎ সিট থাকবে না মাঝে এরকম বড় বাস রোড এ নামাবেন। পাশাপাশি একটা ট্রাম লাইন চালু করার চেষ্টা করুন। আমার মন বলছে সম্ভব কিন্তু বড় সমস্যা জনগন রাস্তা পারাপার করবে রোড এর মাঝে বেড়া না থাকার কারনে। যদি জেব্রা ক্রসিং ব্যবহার না করেন তাহলে দূর্ঘটনার জন্য কেউ দায়ী নয়, এরকম সরকারী বিজ্ঞাপন জারি করা উচিত ঘন ঘন। এতে সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে।
যদি মূল রাস্তায় ট্রাম না নামানো সম্ভব হয় তাহলে ট্রেন লাইনের পাশে খা জায়গা আছে তা ব্যবহার করা যেতে পারে। যদি না পারা যায় সামনের যেখানে শহর বৃদ্ধি পাচ্ছে সেখানে পরিকল্পনা গ্রহন করুন।
বি আর টি সি প্রত্যেকটা স্ট্যান্ড বা বাস্ট স্টপ এ ডিজিটাল বা নন ডিজিটাল তথ্য প্রদর্শনী সেট করুন। এই স্টপে এই এত নাম্বার বাস থামবে এর গন্তব্য দিক। আর তার গন্তব্যে সামনে কোথায় কোথায় থামবে। আনুমানিক দূরত্ব বা সময় বলে দেন (পৌছতে কতক্ষণ লাগতে পারে এবং কখন থেকে রাত পর্যন্ত চলবে..)+ এই নং বাস রুট অন্য কোন রুটকে ক্রস করবে সামনের বাস স্টপে তাও জানানো উচিত। সম্পূর্ণ ঢাকা শহরের বাসের রুটের মিনি মানচিত্রও সাথে প্রদর্শন করুন, দূরের যাত্রীদের জন্য। সেখানে দূরত্ব বা সময়ের বর্ণনা প্রয়োজন নেই।
হয়ত মনে হচ্ছে, কত বড় বিববরণ ! না সেটা নয় একটা রুটে বেশী হলে দুই কি ৩টা রুট ক্রস করতে পারে, বিশেষ বাস টার্মিনাল গুলো ছাড়া।
ডিজিটাল হলে সুবিধা বর্তমান বাস দেরী হলে তথ্য জানানো সম্ভব হবে বা আসতে কতক্ষণ লাগবে। তবে নন ডিজিটাল একটি রুট মানচিত্র বাস স্টপে অবশ্যই থাকতে হবে, কানেকশন বোঝার জন্য।
টিকেট কেটেই উঠতে হবে। দেশ যেহেতুত ডিজিটাল সুতরাং কার্ড ব্যবস্থা রাখবেন ও কার্ড পাঞ্চ করে টিকেট চেক করলেই চলবে নতুবা স্বল্প মেয়াদী কার্ড বিক্রি করা যেতে যা বি আর টিসি কাউন্টার বা অফিস থেকে ছবি সহ ইস্যু করা সম্ভব। বাংলাদেশ যেহেতু এখনো আমানতের খেয়ানত করা ট্রেডিশন! তাই একজন টিকেট চেকার রাখতেই হবে।
এই কথা গুলো ট্রেন, ট্রাম, বাস সব ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
আর রুটের তথ্য নিয়ে একটা এ্যাপ করা উচিত, যেহেতু দেশ ডিজিটাল দাবীদার! প্রথামিক ভাবে শুধু রুট, রুট ক্রস, বাস স্টপ নাম থাকল। পরবর্তীতে তাৎক্ষনিক তথ্য দেওয়া উন্নতি করতে হবে, যাতে আমরা বুঝতে পারবে এই স্টপ থেকে একটি বাস একটু পরেই পৌছে এতটায় ছাড়তে পারবে। কিন্তু এর জন্য দেশের রাস্তার অসাধ্য সাধন করতে হতে হবে!
আর সাথে সাথে যদি বিভিন্ন স্টপে দর্শনীয় স্থান উল্লেখ্য করা হয় অনেক ভাল হবে।
কিন্তু সারা জীবন গাড়িতে গাড়িতে(ব্যক্তিগত) ঘুড়েন, ভিআইপি বা ডাবল ভিভি সার্ভিসে থাকেন তাহলে তো....
আর বিদেশেও যদি রাজনৈতিক সাপোর্টারদের গাড়িতে ঘুরেন তাহলে না জানারই কথা!
কিন্তু আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগত জীবনে, তার প্রয়াত স্বামীর সাথে দীর্ঘদিন বিদেশে ছিলেন (তারঁ অভিজ্ঞতাকে আলোকপাত করছি)। ডঃ ওয়াজেদ মিয়ার কথা নিশ্চয় ভুলে যান নাই।
এখন যদি বলেন জায়গা নাই,লোকবল নাই,খরচ দিয়ে পোষাবে না! এগুলা সব ফাও ও ভাওতাবাজী কথাবার্তা!!!
ঋণ নিতে পারবেন,ঋণের সুদও দিতে পারবেন কিন্তু এই টাকা রাষ্ট্রের জনগনের জন্য খরচ করতে পারবে না? এমন না যে একেবারে ফ্রি! আর যদি হরতালে একটা সরকারী বাস নষ্ট হয় রে, ভাই খোদার কসম আমি হইলে খবরই কইরা ফেলতাম। (খারাপ ভাষার জন্য দু:খিত, কন্ট্রোল এ ছিলাম না।) এটা আপনার আমার, আপনার, দেশের জনগনের সম্পদ। যে ক্ষতি করবে তার সারা জীবনের আয়ের টাকা থেকে তা পরিশোধ করে যাবে, কোন জেলের দরকার নাই, শুধু তাকে অর্থনৈতিকভাবে বিকলাঙ্গ করে দিলেই হবে। কিন্তু তা অবশ্যই আইন ও আদালতে মাধ্যমেই... এটাকেই আপনার জরিমানা বলতে পারেন। কিন্তু তা হবে সর্বোচ্চ।
প্রত্যেক নাগরিককে বাসার ঠিকিনা রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। শুধু পাসপোর্ট এ ঠিকানা থাকলেই হবে না, তা ভেরীফাইড হতে হবে। এমনভাবে যে একটি বাসার মালিক তার অধীনে এত জন বাসার সদস্য আছে। তাকেও নিবন্ধন করতে হবে মূল মালিক হিসেবে। ভাড়া হলে সমস্যা নাই্, সে ভেরিফাইড হবে মালিক দ্বারা। ভাড়ায় যে থাকেন সেও একজন মালিক, তার আন্ডারে থাকবেন বাকি সদস্যারা। এভাবে ভেরিফিকেশন করা উচিত।
মোবাইল নাম্বার, বাসার ঠিকিনা নিবন্ধন, পাসপোর্ট, ভোটার আই ডি এগুলো মিশানো ঠিক হবে না। কারন মোবাইল নাম্বার একাধিক রাখা যায় ও পরিবর্তন যোগ্য। পাসপোর্ট ফিক্সড সময়ের জন্য আর তা ভোটার আইডিও এরকমই কিন্তু বিবরণ কম। কিন্তু বাসার ঠিকানা পরিবর্তনযোগ্য যা সহজেই পাসপোর্টে পরিবর্তন করা যায় না,তার জন্য আবেদন করতে হয়, নতুন পাসপোর্ট নিতে হয়/ নতুন পৃষ্ঠাতে প্রিন্ট করতে হবে।
বাংলাদেশে কেন পাসপোর্টে এড্রেস প্রিন্ট করল বুঝলাম না!
বা-মা, স্বামীর নামও খুব বেশী...
পাসপোর্ট নিজের স্বকীয়তা প্রদর্শনে, অপরের নয়। আপনি নিজেকে ভেরীফাইড করছেন।
এজন্য বললাম যে, ছবি, ঠিকানা নিব্ন্ধন ও আইডি কার্ড/পাসপোর্ট নিয়ে বি টি আর সি ট্রাভেল কার্ড ইস্যু করতে পারে, যা যুগ-উপযোগী। আর তা যাচাই করার জন্য মেশিন রিডেবল পোর্টবেল মেশিন থাকা উচিত। আর সাথে যদি ফ্রিঙ্গার প্রিন্ট রাখতে পারে তো ভালই। তাতে কেউ টিকেট ভুলে বাসায় রেখে এসেছে চ্যালেঞ্জ করলে তার প্রমান করা সম্ভব। এগুলো বেশী বলে ফেললাম। আপাতত কার্ডটাই করার স্বপ্ন দেখা উচিত, এর জন্য বাকি সব চ্যালেঞ্জ গুলিও পার হতে হবে!
এগুলি একটি সম্পূর্ণ মহাপরিকল্পনা। এটা সম্ভব হবে তখনই যদি সদ্বিচ্ছা থাকে! একটার সাথে আরেকটা সংযুক্ত। তাই ভাবটা প্রকাশের বিস্তৃতিটা অনেক বেড়ে গেল।
দূর্নীতি নিয়ে পোষ্টটি নয়, স্বপ্ন বাস্তবায়িত কেন হবে না বা সম্ভব হবে না এই নিয়ে আলোকপাত হয় নি, এই জাতীয় মন্তব্য হলে মন্তব্য মুছে ফেলা হবে বা উপেক্ষা করা হবে। শুধু কিভাবে এগিয়ে যেতে পারি, এ জাতীয় মন্তব্য আশা করছি।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৫০