এখন চারিদিক নিরব।
ঘরের সবাই বেঘোর নিদ্রায়।
এখনই মোক্ষম সময়।
পা টিপে টিপে রান্নাঘরে গিয়ে -
ছুরিটা হাতে তুলে নিই।
ধারালো ছুরি!
চকচকে ধাতব পাতে নিজের অবয়ব
স্পষ্ট দেখা যায়।
এখনই মোক্ষম সময়।
ক্ষত বিক্ষত করব নিজেকে।
ওহ হ্যাঁ! একটা সুইসাইড নোট লিখতে হবে।
দ্রুত টেবিল থেকে নোট প্যাডটা নিই।
কলমদানি থেকে একটা কলম নিয়ে
লিখতে থাকি -
"এই অন্ধকার রজনীর
তীব্র আঁধারকে সামনে রেখে।
চলে যাচ্ছি অপর পাড়ে।
শুভ্র পাতায় কয়েক ফোঁটা অশ্রু মেখে।
চলে যাচ্ছি কাব্য ছলে।
দিয়ে গেলাম কষ্ট সবায়, বদন ম্লান।
ক্ষমা করে দিও মোরে।
ক্ষমা কোরো আমার প্রিয়, সকল প্রাণ।"
নোট লেখা শেষ।
এবার তবে যাবার পালা হোক শুরু।
কাঁপা হাতে ছুরিটা আবার ধরি।
সজোরে কয়েকটা আঘাত করি
বা হাতের কবজি বরাবর।
ফিনকি দিয়ে রক্ত বেরোয়।
এবার বুঝি আমি তো আর নই ভীরু।
শেষবারের মত তোমায় দেখে নিই।
ওই তো তুমি।
টেবিল ল্যাম্পের কোনায়,
ছোট্ট চারকোনা ছবির ফ্রেমে।
বিস্ফোরিত চোখে চেয়ে আছ আমার পানে।
কী দেখছ? রক্ত?
রক্ত দেখে গা গুলোচ্ছে? মাথা ঘুরছে?
হাসনাহেনা,
আমার হৃদয়ে যে রক্তক্ষরন হয়েছে প্রতিনিয়ত;
তা দেখলে কী করতে তুমি?
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:১৬