বৃক্ষেরও বর্ণনা থেকে কিছু কিছু বিষণ্নতা তুলে আনি অন্তঃশীল
শব্দের শরীরে, কবিতায়; দুঃখেরও মর্যাদা বলে
যে সকল ব্যাপার রয়েছে, ফলে, ওইসব ঘটে যায়...
আর এর ফলে যথেষ্ট বাহবা কিন্তু 'প্রেম নয়' দাও।
আমি ফের শূণ্যতায় উৎসব ডাকি; তাতে তোমাতে সংশ্লিষ্ট যত
স্মৃতিগণ স্মিতঘ্রাণ অতিথির আসনে বসেন। আমি আনন্দিত;
ততোধিক সামান্য পেয়েও আমি খুশি, নাকি খুশি নই ?
মেঘেরও মন্ত্রণা থেকে খুঁটে তুলি কিছু কিছু মুক্তাবিন্দু,জল ...
শিশিরের নিরীহ সংগ্রহ থেকে সফল যন্ত্রণা; তুমি হৃদয়ের সমর্থন
দিতে চেয়ে দিয়েছিলে ঘৃণা ... তবু দিয়েছিলে, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ কথা।
এরও চেয়ে অধিক সামান্য পেয়ে আমি তৃপ্ত; আনন্দিত বেঁচে থাকি
শতাব্দীর মত দীর্ঘ পথ।
সমুদয় উপেক্ষা, যন্ত্রণা, ঘৃণা... শুশ্রূষায় তুলে আনি কবিতার
বিপুল অঞ্চলে আনন্দকুসুম; দ্যাখো, প্রতিটি মানুষ আজ
আপন ছায়ারও চেয়ে একা, ম্রিয়মান... আমি এই নৈঃসঙ্গ্যের
ব্যাকুলতা-বিপন্নতাগুলি মুছে দিতে চাই, কবিতার মত এক
আপাত অনর্থগানে, সমন্বিত যন্ত্রণার রক্ত থেকে উৎসারিত
অনুগ্র সুবাসে... হাত বদলের মোহে, মুদ্রা তুমি ;
যে পকেটে, যার হাতে থাকো, কবিতার পাঠে ঋদ্ধ হও !
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৯:৪৮