মৃতের সংখ্যা ১২৪!
বাতাসে লাশের গন্ধ। আকাশে আগুনের কালো ধোয়া। চারপাশে স্বজন হারানোর আহাজারী। নিশ্চিন্তপুরে এখন লাশের মিছিল। হাজার হাজার মানুষের অপেক্ষা। দমকল বাহিনীর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার বিলম্ব চেষ্টা। বিক্ষুব্ধ মানুষের দমকল বাহিনীর গাড়ি ভাংচুর। পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্যে পুলিশের কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ। যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা। একদিকে গরীব মানুষ। অন্যদিকে ধনীক শ্রেণীর লুটেরা। লুটেরাদের পক্ষে আইন, আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ বাহিনী, রাষ্ট্র এবং একদল লোভাতুর দালাল। যারা সব সময় সরকারের কাছাকাছি ঘুরঘুর করে। এই চিত্র বাংলাদেশে মোটেও নতুন নয়। এই চিত্র বাংলাদেশে এখন অনেকটা স্বাভাবিক।
ঢাকার অদূরে সাভারের আশুলিয়াযর নিশ্চিন্তপুরে পোশাক কারখানা তাজরীন ফ্যাশনে গতকাল সন্ধ্যায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় আগুন লাগার পর দমকল বাহিনীর ১০টি ইউনিট প্রায় পাঁচ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে রাত পৌনে ১২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পোশাক কারখানায় স্মরণকালের ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ১১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। মধ্যরাতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর দমকল কর্মীরা সকালে নয় তলা ওই কারখানা ভবনে ঢুকে উদ্ধার অভিযান শুরু করেন। সেনাবাহিনীর নবম পদাতিক ডিভিশন, পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি সদস্যরাও এই উদ্ধার অভিযানে অংশ নেন। আজ সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উদ্ধারকাজ সমাপ্ত হয়। `ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ সকালে জানিয়েছিল, এ দুর্ঘটনায় মোট ১২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন) মেজর মাহবুবুর রহমান দুপুরে জানান, কারখানার তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ তলা থেকে ১১৫টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায় তৃতীয় তলায়। [সূত্র: প্রথম আলো]।
শিল্প পুলিশের পরিদর্শক মোখলেসুর রহমান জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে লাশ সৎকারের জন্য স্বজনদের ২০ হাজার টাকা করে দেয়া হচ্ছে। এছাড়া পোশাক তৈরি ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ এ অগ্নিকাণ্ডে নিহত প্রত্যেক পরিবারকে ১ লাখ টাকা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। শতাধিক পোশাককর্মীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ জানান, প্রধানমন্ত্রী এ ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের যথাযথ চিকিত্সা এবং নিহত ব্যক্তিদের প্রত্যেক পরিবারকে সহায়তা হিসেবে এক লাখ টাকা করে দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করে আহত ব্যক্তিদের দ্রুত সুচিকিত্সা ও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
তিনটি তদন্ত কমিটি:
আশুলিয়ায় অগ্নিকাণ্ডের কারণ খতিয়ে দেখতে এবং দায়ীদের চিহ্নিত করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার এ এন শামসুদ্দীন আল আজাদ জানান, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারকে (সার্বিক) আহ্বায়ক করে গঠিত এই কমিটিতে পুলিশ, ফায়ার ব্রিগেড, বিজিএমইএ ও শ্রমিক সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিদেরও রাখা হয়েছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে এই কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা এড়াতে কী কী করণীয়- সে বিষয়েও সুপারিশ করবে তদন্ত কমিটি। এছাড়া অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত উপ মহা পরিদর্শক মিজানুর রহমানকে এই কমিটির প্রধান করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান। এছাড়া প্রশাসন ও অর্থ বিষয়ক পরিচালক আব্দুস সালামকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের আরেকটি তদন্ত কমিটি করেছে ফায়ার ব্রিগেড কর্তৃপক্ষ। বাহিনীর উপ পরিচালক ভরত চন্দ্র বিশ্বাস এই কমিটির সদস্য সচিব এবং মিরপুরের প্রশিক্ষণ কমপ্লেক্সের ভাইস প্রিন্সিপাল বদিউজ্জামান, উপ সহকারী পরিচালক মাসুদুর রহমান ও জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা (ইপিজেড) আনোয়ার হোসেন সদস্য হিসাবে রয়েছেন।
তাদের সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
ব্যবহার হয়নি ভবনের অগ্নি নির্বাচক যন্ত্র:
তাজরিন ফ্যাশন কারখানায় শ্রমিক-কর্মচারী মিলিয়ে দেড় হাজারের বেশি লোক কাজ করতেন।
এছাড়া নয় তলা ভবনের অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ফায়ার ফাইটার, উদ্ধারকর্মী ও প্রাথমিক চিকিৎসা কর্মী মিলিয়ে মোট ৩০০ কর্মী থাকার কথা থাকলেও অগ্নি নির্বাপণে তাদের কোনো তৎপরতা ছিল না। রোববার দুপুর ১টার দিকে সাংবাদিকরা কারখানার বিভিন্ন ফ্লোর ঘুরে দেখেন যে, দ্বিতীয় থেকে অষ্টম তলা পর্যন্ত প্রত্যেক তলায় খুঁটিতে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে আটটি করে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র। এ মাসের ৫ তারিখে এগুলো পরীক্ষা করা হয়েছিল। কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষরও রয়েছে তাতে। তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় মেঝেতে দুটি যন্ত্র পড়ে থাকতে দেখা গেলেও সেগুলোর ওপেন রিঙ অক্ষতই ছিল। শুধু অষ্টম তলায় পড়ে থাকা একটি যন্ত্র ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গেছে। নয় তলা ভবনের নিচতলায় সুতার গুদাম পুরোপুরি ভষ্মিভূত। এই গুদাম থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয় বলে ফায়ার ব্রিগেড কর্মীদের ধারণা। কারখানার দ্বিতীয় তলার সব সেলাই মেশিনও পুড়ে গেছে। তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় ক্ষয়ক্ষতি হলেও ষষ্ঠ তলার ওপরের অংশ রয়েছে অক্ষত। ফায়ার ব্রিগেডের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা ফরহাদুজ্জামান জানান, ভবনের তৃতীয় তলায় ৬৯ জন, চতুর্থ তলায় ২১ জন এবং পঞ্চম তলা থেকে ১০ জনের লাশ পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশে গার্মেন্টস কারখানায় আগুন, আর কতো?
প্রতি বছর বাংলাদেশে গার্মেন্টস কারখানায় আগুন লাগে। আগুনে গরীব মানুষ মারা যায়। শ্রমিক শোষণে ব্যাপক দক্ষ ও অভিজ্ঞ গার্মেন্টস মালিকরা ঘটনার পর কিছুদিন মায়াকান্না করেন। সরকার এবং বিজিএমইএ থেকে লোক দেখানো তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কয়েকদিন পত্রিকার পাতা আর টেলিভিশনের চ্যানেলগুলো টাটকা খবর পরিবেশন করে। তারপর সবাই বিষয়টি আবার বেমালুম ভুলে যায়। এটি এখন বাংলাদেশে নিয়ম হয়ে গেছে। প্রতি বছর এভাবে আগুন লেগে অন্তঃত ৬০০ মানুষ প্রাণ হারায়। এই ৬০০ জন মানুষ প্রায় সবাই গরীব পরিবার থেকে আসে। গরীব মানুষ মারা গেলে দাফন কাফনের টাকা আর কিছু নগদ ক্ষতিপূরণ দিলেই যেনো সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।
অথচ বাংলাদেশে প্রায় ৫০০০ গার্মেন্টস কারখানা থেকে প্রতি বছর মোট রপ্তানি আয়ের অন্তঃত শতকরা ৮০ ভাগ বা ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় হয়। আর সবচেয়ে অবহেলিত সেই বিশাল রপ্তানি আয়ের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের মজুরী এবং নিরাপত্তা। বর্তমানে একজন গার্মেন্টস কর্মীর ন্যূনতম মজুরী মাত্র ৩০০০ টাকা। আগে এটা ছিল ১৬৬২ টাকা। গার্মেন্টস শ্রমিকদের ব্যাপক আন্দোলনের পর সরকার এই ন্যূনতম মজুরী প্রথা চালু করছেন। কিন্তু তাদের নিরাপত্তা? গরীব মানুষের আবার কীসের নিরাপত্তা?
গরীব মানুষ মারা গেলে প্রথমে এখানে তার দোষ খোঁজার নিয়ম। অশিক্ষিত, গরীব, অদক্ষ, আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারের অযোগ্য, আরো কতো দোষ এইসব গরীব অনাহারী মানুষদের। আর মৃত্যুর পর আগুনে পোড়া লাশ সনাক্ত করা না গেলে তা আঞ্জুমানে মফিদুলে দান করার নিয়ম। তাহলে দাফন কাফন আর পারিবারিক সহায়তার টাকাটাও যায় বেঁচে। কিন্তু মূল সমস্যায় কেউ হাত দেন না। সমস্যা সমস্যা হিসেবেই থেকে যায়। এটাই রেওয়াজ হয়ে গেছে।
গার্মেন্টস কারখানায় আগুন লাগার কারণগুলো কী কী?
১. একই ভবনে অনেক মানুষের এক সঙ্গে কাজ করা
২. গার্মেন্টস ভবনগুলো অপরিকল্পিতভাবে তৈরি
৩. ভবনগুলোর সিড়ি খুবই কম স্পেসের
৪. একই সঙ্গে বেশি মানুষের ভবন থেকে বের হবার সুযোগ না থাকা
৫. পর্যাপ্ত অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র না থাকা
৬. গার্মেন্টস কর্মীদের অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রের ব্যবহার সম্পর্কে অদক্ষতা
৭. গার্মেন্টস কর্মীদের অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রের ব্যবহার সম্পর্কে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের ঘাটতি
৮. গার্মেন্টস মালিকদের একগুয়েমি
৯. গার্মেন্টস মালিকদের শ্রমিক শোষণ নীতি
১০. বৈদ্যুতিক লাইনগুলো সঠিকভাবে না থাকা
১১. বৈদ্যুতিক যন্ত্রগুলোর ত্রুটি
১২. সময় মতো বৈদ্যুতিক যন্ত্র মেরামত না করা
১৩. বৈদ্যুতিক যন্ত্র মেরামতে গার্মেন্টস মালিকদের গাফিলতি
১৪. অসাধু উপায়ে গার্মেন্টস ব্যবসা
১৫. গার্মেন্টস মালিকদের নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করা
১৬. অতিরিক্ত সময় কাজ করানো
১৭. পর্যাপ্ত পানির মজুদ না রাখা
১৮. পর্যাপ্ত বালির মজুদ না রাখা
১৯. শ্রমিক নিয়োগ ও ছাটাইয়ে অনিয়ম
২০. আগুন যাতে না লাগে তার সঠিক ব্যবস্থা গ্রহন না করা ইত্যাদি ইত্যাদি
গোড়ায় গলদ:
বাংলাদেশে গার্মেন্টস কারখানার জন্যে সত্যিকার অর্থে কী কোনো নীতিমালা আছে? যদি থাকে তাহলে সেই নীতিমালা কী গার্মেন্টস মালিকরা ১০০ ভাগ মেনে চলেন? এই প্রশ্নের জবাব হল দুটোর কোনোটাই নেই। কাগজে কলমে অবশ্য অনেক নীতি কথা আছে। বাস্তবে তা কেউ মানেন না। এই না মানার খেসারত হল গরীব মানুষের আগুনে পুড়ে লাশ হবার রেকর্ড। বছর বছর আগুন লাগে। তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। তদন্ত রিপোর্টও দেয়া হয়। কিন্তু ফলাফল সব সময় গার্মেন্টস মালিকদের পক্ষে। কারণ, গার্মেন্টস মালিকদের জোর-জবরদস্তিমূলক উপার্জিত টাকার শক্তি গরীব মানুষের অনাহারী আহাজারীর চেয়ে শক্তিশালী। আইন সব সময় শক্তিশালী পক্ষের তাবেদার। খবরদার, এই বিষয়ে আম জনতার খোঁজখবর নেয়া হারাম। হারাম মানে আসলেই হারাম। যারা আরাম করেন আইন কেবল তাদের পক্ষে কাজ করে। তাদের টাকার জোর আছে। অতএব আইনও তাদের পক্ষে কাজ করবে। এটাই বাংলাদেশের চরম বাস্তবতা।
কীসের ভয়?
বাংলাদেশে সবখানেই আজকাল সিন্ডিকেট বড়োই শক্তিশালী। আপনি যদি গার্মেন্টস মালিকদের ডেকে আইন কানুন মানার কথা বলেন, তারা গার্মেন্টস বন্ধ করে দেবার হুমকি দেবে। কারণ, তাদের রয়েছে জোড়ালো সিন্ডিকেট। আপনি যদি আগুন না লাগার বিষয়ে পরামর্শ নিয়ে হাজির হন, তখন গার্মেন্টস মালিকদের শ্রমঘণ্টার হিসাব আসবে। আইন না মানাই বাংলাদেশে রেওয়াজ হয়ে গেছে। গার্মেন্টস মালিকরা তো টাকার উপরে ঘুমান। টাকার উপরে খাওয়া দাওয়া করেন। টাকাই তাদের একমাত্র সাধনা। আইনের বিষয়ে কোনো জটিলতা আসলে তাও টাকা দিয়ে সামলান তারা। অতএব গরীব মানুষ আগুনে পুড়ে মারা যাবে, এ আর নতুন কী বাংলাদেশে।
এবছর শীতকালের শুরু আগুন দিয়ে। দমকল বাহিনী যেদিন অগ্নি সপ্তাহ পালন করলো, সেদিন-ই হাজারীবাগে বস্তিতে আগুন লাগলো। আগুন না লাগলে তা দমকল বাহিনী কর্মহীন বেকার। মাঝেমধ্যে আগুন লাগলে বরং তাদের চাকরীর টাকাটা জায়েজ হয়!!
বাংলাদেশে ভোটের রাজনীতি যারা করেন। তারা জনগণের নিরাপত্তার রাজনীতি করেন না। কারণ, জনগণ নিরাপত্তায় থাকলে তো তাদের রাজনীতিই অচল। আমরা কী সেই সুদিনের অপেক্ষায় থাকবো যেদিন বাংলাদেশের প্রতিটি গার্মেন্টস কর্মী হাসিমুখে বেতন নিয়ে নিরাপদে ঘরে ফিরবে। নাকী বছরের পর বছর আমাদের শুনতে হবে গরীব মানুষের আহাজারী। আর শুকতে হবে বাতাসে লাশের পোড়া গন্ধ। গরীব মানুষের লাশ পোড়া গন্ধ যেদিন ধনীক পাড়ার এসিরুম ফুটো করে সর্বত্র বিশাক্ত করে তুলবে, সেদিন হয়তো ওপাড়ার মানুষগুলো এর সমাধানে নজর দেবেন। তার আগে নয় কেনো???
বাতাসে লাশের গন্ধ। পুড়ছে গরীব মানুষ। দেখো বাংলাদেশ।। রেজা ঘটক
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
৫৯টি মন্তব্য ৫৮টি উত্তর
পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন
আলোচিত ব্লগ
ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান।
ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান। আমরা দিন দিন কোথায় যাচ্ছি কিছু বুঝে উঠতে পারছি না। আপনার দলের লোকজন চাঁদাবাজি-দখলবাজি নিয়ে তো মহাব্যস্ত! সে পুরাতন কথা। কিন্তু নিজেদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হচ্ছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। প্রধান উপদেষ্টাকে সাবেক মন্ত্রীর স্ত্রীর খোলা চিঠি!
সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে মুক্তি দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে খোলা চিঠি দিয়েছেন মোশাররফ হোসেনের স্ত্রী আয়েশা সুলতানা। মঙ্গলবার (২৯... ...বাকিটুকু পড়ুন
কেমন হবে জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশ ?
জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিক্ষুব্দ ছাত্র জনতা আগুন দিয়েছে তাতে বুড়ো গরু গুলোর মন খারাপ।বুড়ো গরু হচ্ছে তারা যারা এখনো গণমাধ্যমে ইনিয়ে বিনিয়ে স্বৈরাচারের পক্ষে কথা বলে ,ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়াতে... ...বাকিটুকু পড়ুন
দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী
ফিতনার এই জামানায়,
দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী খুব প্রয়োজন ..! (পর্ব- ৭৭)
সময়টা যাচ্ছে বেশ কঠিন, নানান রকম ফেতনার জালে ছেয়ে আছে পুরো পৃথিবী। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে গুনাহ মুক্ত রাখা অনেকটাই হাত... ...বাকিটুকু পড়ুন
দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী খুব প্রয়োজন ..! (পর্ব- ৭৭)
সময়টা যাচ্ছে বেশ কঠিন, নানান রকম ফেতনার জালে ছেয়ে আছে পুরো পৃথিবী। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে গুনাহ মুক্ত রাখা অনেকটাই হাত... ...বাকিটুকু পড়ুন
জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা
বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন