এডলফ হিটলার ইতিহাসের এক স্মরণীয় নাম, এডলফ হিটলারের মা তার জন্মের ৩ মাস আগে এবরশন করানোর জন্য ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলেন। তবে কিছু স্বাস্থ্যগত জটিলতার জন্য ডাক্তার সেটা করতে বারণ করেন। অস্ট্রীয় বংশোদ্ভূত জার্মান রাজনীতিবিদ অ্যাডলফ হিটলার ১৮৮৯ সালের ২০ এপ্রিল জার্মানির সীমান্তবর্তী ব্রাউনাউ-আম-ইন গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। তার বাবার নাম ছিল Alois ও মায়ের নাম ছিল Klaaraa. হিটলারের বাবা এক জারজ সন্তান ছিল। যতটুকু জানা যায়, আলোইসের মা মারিয়া আন্না ও সিকেলগ্রাবার প্রতিবেশি মিলশ্রমিক জোয়ান জর্জ হিটলারের মিলিত ফসল এই আলোইস হিটলার। সে হিসেবে হিটলারের দাদা ছিলেন একজন ইহুদি। হিটলারের রাজ্যজয় ও বর্ণবাদী আগ্রাসনের কারনে লক্ষ লক্ষ মানুষকে প্রান হারাতে হয়। ৬০ লক্ষ ইহুদিকে পরিকল্পনামাফিক হত্যা করা হয়। রেড আর্মি যখন বার্লিন প্রায় দখল করে নিচ্ছিল সে রকম একটা সময়ে হিটলার তার প্রেমিকা ইভা ব্রাউনকে বিয়ে করেন। ইভা হিটলারকে গভীরভাবে ভালবাসতেন। বিয়ের পর হিটলার তার সঙ্গীদের সঙ্গে শ্যাম্পেন পান করেন। তারপর দুটি চিঠি লিখেন। একটিতে সবকিছুর জন্য তিনি ইহুদিদের দায়ি করেন এবং অপরটিতে নিজের সব সম্পত্তি তিনি পার্টিকে দান করে দেন।
৩০ এপ্রিল ১৯৪৫ সাল। বার্লিনের চারদিক অবরোধ করে ফেলেছে লালফৌজ। হিটলার বুঝতে পারেন যেকোনো মুহূর্তে তিনি লালফৌজ বাহিনীর হাতে বন্দি হতে পারেন। এদিন বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে তিনি বাঙ্কার থেকে ৫০০ মিটার দূরে গিয়ে তার সহযোগীদের সাথে শেষবারের মত দেখা করে আসেন। এসময় তিনি তার সহযোগীদের বলেন, তার মৃত্যুর পর যেন তার লাশ এমনভাবে পোড়ান হয় যাতে তার দেহের অংশের কোন চিহ্ন না থাকে। এর কিছুক্ষন পরেই গুলির শব্দ শোনা যায়। হিটলার নিজের পিস্তল দিয়েই আত্মহত্যা করেন। এর আগে তার সদ্য বিবাহিতা বউ ইভা বিষপানে আত্মহত্যা করেন।
জার্মান মুভি ডাউনফল হিটলারের পরাজয় চমৎকার ভাবে দেখিয়েছে। জার্মান মুভি ডাউনফলের এই চার মিনিটের ভিডিও যেটাতে হিটলার পরাজয়ের ক্ষোভ ব্যাক্ত করছিলেন ইন্টানেটে দারুণভাবে জনপ্রিয়। নানা ভাবে এটাকে সাবটাইটেল দিয়ে দারুণ মজার মজার সব হিউমেরাস ক্লিপ বানানো হয়েছে যা দেখলে দমফাটানো হাসি আসতে বাধ্য।
মূল ভিডিও
হিটলার ও জামায়াত নেতারা
হিটলার এবং ক্লাউড কম্পিউটার সিকিউরিটি
জাফর ইকবালের ওপর ক্ষিপ্ত হিটলার
উইসান বোল্ট এবং হিটলার
হিটলার এবং আইপড টাচ
হিটলারের সেক্স কল
হিটলার এবং আর্সেনাল প্লেয়ার
ইউটিউবে আরও পাবেন সার্চ করলে। পরিশেষে সকল যুদ্ধাপরাধীর বিচার চাই। ছাগুমুক্ত ব্লগ চাই।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১২:৩১