তোমার শরীরের সাথে যুদ্ধ আবার একবার অসমাপ্ত রেখে, আমি উঠে পড়ি আর সদর দরজা পেরিয়ে, প্রবেশ করি ধ্বংসপ্রাপ্ত শহরে,যেখানে রাজপথ আর কখনো মোড় নেবে না। এখানে ধুলোর ঘূর্ণি আর মৃত ঘাসের হাহাকার শুধুই ঊর্ধ্বমুখী।
এক ঘোরের ভেতর থেকে বের হয়ে এসে আরেক ঘোরের ভেতর দৌড়োই।অথবা জানালা ধরে দাঁড়িয়ে থাকে আমার থিতানো মন, রুপকে জন্ম দিতে চায় শহুরে কাক আর চিলতে আকাশকে। জন্ম থেকে জন্মান্তর সেই বারবার পলায়ন ।পালাতে জুড়ি নেই কবিদের! শিরশিরে
বাতাসে শুধু মাঝেমাঝে ভন্ডামী ভুলে গিয়ে কলমটা খাতায় আকাআকি করে এক ধূসর কাক।
ময়লার গাড়ি আর তরিতরকারী দরাদরির আওয়াজ,এক লাথিতে দলামোচড়ানো কাগজ আর দলামোচড়ানো অনুভূতিগুলোকে দূরে সরিয়ে দিলে আমি ধূসর কাচের এপাশে ফিরে আসি আমার পৃথিবীতে,আমার স্বস্তিতে,যেখানে আমার জন্য অপেক্ষা করে সমূদ্রের ঢেউ ,মৈথুন-গন্ধ আর সবুজ ঘাসের বিছানা ।তোমার শরীরে শুয়ে আমি আমার ঘরে ফিরি।
স্বপ্ন শেষ হলে আমি ঘাসের উপর শুয়ে আকাশ দেখি ।
ঘোর কেটে গেলে ঘোরের ভেতর ,আমি আবার দৌড়োই।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১:৪১