~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমাদের সেনাবাহিনীতে অনেক মেধাবী সৎ মানুষ কর্মরত আছেন।
সেনাবাহিনী বলতেই আমাদের চোখে দূর্দান্ত কিছু মানুষের ছবি ফুটে উঠে ..
ছোটবেলার বইয়ের বীর শ্রেষ্ঠদের ছবি ..
তাদের জায়গায় নিজেকে কল্পনা করি .. আমি কি পারতাম আমার দেশের জন্য নিজের জীবনটা দিয়ে দিতে ?
কতটুকু সাহসী হলে মানুষ অজানা স্বাধীন ভবিষৎএর জন্য জীবন দিতে পারে
খুব কঠিন
মানুষ খুব খারাপ জীব .. তাই সূদূর অতীতের জ্ঞানী , মহাপুরুষ , বীরদের ছবি লটকিয়ে মাজার , ধর্মব্যবসা আরও অন্য ব্যবসা ফেদে বসে
আমাদের সব জায়গায় কিছু জবাবদিহিতা আছে ; সেনাবাহিনী এক মাত্র প্রতিষ্ঠান যাদের মনে হয় জবাবদিহিতা নাই ;
বা থাকলেও কেউ সাহস করে না প্রশ্ন করতে
৭৫ এর পর থেকে কতবার ক্যু হয়েছে ; কত মানুষ মারা গেছে তা আজও জানি না আমরা
কিভাবে একজন সেনা অফিসার বিলাসবহুল গাড়ীতে চড়েন
আর আমাদের ব্লাডি সিভিলিয়ান বলে গালি দেন তার
স্মৃতি ধরে রাখতেই এই পোষ্ট
আপনারা সবাই শেয়ার করেন আপনাদের অভিজ্ঞতা
আমাদের কোথায় কোথায় আর্মিদের দুর্নীতি দেখছি
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
রাগ ইমনের ব্লগ থেকে
দুর্নীতি আর অত্যাচার যে কি পরিমান হয় , সেইটা সেনা অফিসারদের রেপ এর খবর যদি বাইরে প্রকাশ হত তাইলে পাবলিক সেন্টিমেন্ট কই যাইতো , আমার দেখতে ইচ্ছা করে ।
সেনা অফিসারদের রেপ , তাও আবার ব্যাচ মেটের বউকে , সি এম এইচের ডাক্তারকে , অফিসার এর ৭ বছর বয়সী শিশুকে ----- বাইরে থেকে অনেক কিছুই চকচকাই দেখায়
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
$ ৭৫ , ৮১ এর অগুনিত হত্যা
$ চার নেতা হত্যা।
$ অবৈধ ভাবে দেশের ক্ষমতা দখল (জিয়া)
$ জিয়ার শাসন আমলে ১৯ টা নীরব ক্যু
$ ৭৫ পরিবর্তি সামরিক আমলে অসংখ্য দুর্নীতি
$ জিয়া'র মৃত্যু - বিচারের নামে কয়েক শত বীর মুক্তিযোদ্বা অফিসার নিধন।
$ অবৈধ ভাবে দেশের ক্ষমতা দখল (এরশাদ)
$ এরশাদ সাহেবের কোটি কোটি টাকা লুট
$ আনসার বিদ্রোহ দমনের নামে নির্বিচারে গুলি করে মারা আনসার সদস্যদের
$ জাতিসংঘ শান্তি মিশনের টাকার হিসাব
$ মিগ ফিগ্রেট কেনার দূর্নীতি
$ বিভিন্ন অপারেশনরের নামে বিনা বিচারে শত শত মানুষ খুন
$ অবৈধ ভাবে দেশের ক্ষমতা দখল (মইন ইউ )
$ ২০০৭ এর পর প্রতিটা সেক্টরে সেনা অফিসার নিয়োগ;
২০ গুন ঘুষের যাতাকল
$ ২০০৭ এর পর বিনা কারনে ভীতির সন্চার ; ব্লাডি সিভিলিয়ানদের অকারনে মারধর
$ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্যাতন করে ছাত্র- শিক্ষক নির্যাতন
$ ২০০৯ বিডিআর বিদ্রোহ (বন্চনার অভিযোগ)
$ সেনাবাহিনীর ভিতরে অত্যাচার , রেপ , খুন
$ বড় বড় পদ্দোনতি গুলো হয় রাজনৈতিক পরিচয়ে
$ সেক্টর কমান্ডার বা টুআইসি(সেকেন্ড ইন কমান্ড) হয়ে পোস্টিংয়ের জন্য ঘুষ প্রদান, এবং পোস্টিংয়ের পর পরই সুদেআসলে টাকা উদ্ধার।
$ নামমাত্র মূল্যে ডিওএইচ এ জমি প্রাপ্তি। রাজউকের অনুমোদন ছাড়া বাড়ি তোলা। ধরা পড়ার পর জরিমানা প্রদান(দুদক প্রধান)
$ অবসরের পড় কোন কর্পোরেশনের প্রধান হওয়ার নিশ্চিত গ্যারান্টি
$ সিডরের পর বিদেশী সাহায্য কয়েক হাজার কোটি টাকা
লোপাট
$ আদিবাসীদের উপরে ৭১ স্টাইলে বছরের পর বছর নির্যাতন
$ রেব এর কিছু কিছু ভালো কাজের পাশাপাশি শত শত ঘুষ খাওয়ার অভিযোগ , বিনা বিচারে ক্রসফায়ারে সন্ত্রাসীদের পাশাপাশি নিরপরাধ লোকের মৃত্যু
উইকিপিডিয়া অনুযায়ী আমাদের ২০০৭ এর মিলিটারী এক্সপেন্ডিচার হলো 5858,30,00,000 টাকা
৫৮৫৮ কোটি টাকা আর কোথাও ভালো ভাবে খরচ করার কি উপায় জানা আছে কারো
সেনাবাহিনীর দূর্নীতির এই কাহিনী সবাই শেয়ার করুন ।
military expenditures wiki
আরো কিছু লিংক :
আমাদের সেনাবাহিনীর প্রয়োজন নেই
স্টেশন কমান্ডারের আয়
ডিজি আপার ব্যাবসা
“সো হোয়াট” !
বিভৎস হত্যা কাকে বলে?
নৃশংসতা কাকে বলে?
হেলমেট না থাকায় তার স্ত্রীকে হাটু পর্যন্ত কাপড় তুলতে বলা হয় (৭ নম্বরে দেখুন)
Click This Link
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আরও কিছু যোগ করেন আমাদের গোল্ড ফিশ মেমরী কে রক্ষা করার জন্য
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আহমেদ মোস্তফা কামালের কমেন্ট থেকে :
---------------------------------------------
জিয়া ও এরশাদের সামরিক শাসন এই জাতির নৈতিক মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছে। এটা অন্যান্য যে কোনো দুর্নীতি/অপরাধের চেয়ে বহুগুণ বড় অপরাধ। জিয়ার শাসনামলের কথা খুব একটা মনে নেই; কিন্তু এরশাদের শাসনামলেই প্রথমবারের মতো দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়া হয়। দুর্নীতি করা যেন কোনো অপরাধই নয়! ওই সময়ের আগেও দুর্নীতি ছিলো, তবে দুর্নীতিবাজরা থাকতো মুখ লুকিয়ে, ওই সময় থেকে তারা হাঁটতে শুরু করলো বুক ফুলিয়ে। নৈতিকতার মৃত্যু ঘটতে লাগলো এভাবেই। এখন যে বাংলাদেশ দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়, সেটা ওই নৈতিক মেরুদণ্ড ভেঙে দেবারই ফল। একজন মানুষ যদি দুর্নীতি করে, তাহলে তার দুর্নীতিও জনসমক্ষে প্রকাশিত হতে কয়েকবছর সময় লাগে। একটা জাতির দুর্নীতি প্রকাশ্য রূপ পেতে সময় লাগে আরো বেশি। এই ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। যাহোক, সামরিক শাসন কীভাবে আমাদের সর্বনাশ করে দিয়েছে সেটা লিখতে গেলে কয়েকটা প্রবন।ধ লিখতে হবে! তারচেয়ে নিজের লেখার একটা অংশ তুলে দিয়ে আপাতত শেষ করি :
"কৈশোরেই আমরা দেখেছি, আমাদের সময়টি বড় বদ্ধ, যেন কিছুতেই আর এগুনো যাচ্ছে না সামনে। মনে আছে, কৈশোরের কোনো এক সুন্দর সকালে ঘুম ভেঙেই শুনেছিলাম- এই দুর্ভাগ্যপীড়িত জাতিটিকে উদ্ধার করার মহান উদ্দেশ্য নিয়ে এক মহামানব নাজেল হয়েছেন। নাজেল হয়েই তিনি আদেশ জারি করেছেন- 'তাঁর' এবং তার সাঙ্গপাঙ্গদের কাজকর্মের কোনো সমালোচনা করা যাবে না, করলে এই শাস্তি ওই শাস্তি ইত্যাদি। শুধু তাই নয়- একসঙ্গে পাঁচজনের বেশি জমায়েতও করা যাবে না, করলে দেখামাত্র গুলি করা হবে! সামরিক শাসনের নামে এমনই এক বীভৎস, ভয়ংকর, পৈচাশিক শাসন চেপে বসেছিলো সারা জাতির বুকের ওপর। এমনিতেই আমাদের পারিবারিক ও সমাজিক কাঠামোটি এমন যে, নানারকম বাধা-নিষেধের মধ্যে দিয়ে আমাদেরকে বড় হয়ে উঠতে হয়। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাও কেবল নিষেধই করে যায়। এটা করা যাবে না, ওটা করা যাবে না, এটা বলা যাবে না, ওটা বলা যাবে না-- কী যে করা যাবে, আর কী যে বলা যাবে সেটা আর বলে না কেউ। আমাদের কৈশোরে এইসব নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলো রাষ্ট্রীয় নিষেধাজ্ঞা। রাষ্ট্রযন্ত্রই বলে দিচ্ছিলো কী কী বলা যাবে না, কী কী করা যাবে না- ওই যে, 'তাঁর' কোনো সমালোচনা করা যাবে না, একসঙ্গে পাঁচজনের বেশি জমায়েতও করা যাবে না, মিছিল মিটিঙ করা যাবে না, 'তাঁর' বিরুদ্ধে কিছু লেখা যাবে না ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু কী কী বলা বা করা যাবে, তা আর বলেনি কোনোদিন। মাঝে মাঝে সো কলড গণতন্ত্রের ছদ্মবেশ ধারণ করলেও ওই মহামানবের কল্যাণে আমাদের কৈশোর কেটেছে এমনি সব বিচিত্র নিষেধাজ্ঞায়। শুধু তো তাই নয়, ওই পবিত্র বয়সেই আমরা দেখেছিলাম- সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছড়িয়ে পড়ছে অবিশ্বাস-দ্বন্দ্ব-সন্দেহ। কেউ কারো ওপরে আস্থা রাখতে পারছে না, কেউ কাউকে বিশ্বাস করতে পারছে না, দেয়ালেরও কান আছে- ভেবে কথা বলছে ফিসফিসিয়ে। দুজন মানুষের ফিসফিসানি কথা প্রেমময় হতে পারে, কিন্তু আমাদের সময়টি ছিলো এমন যে, ওই ফিসফিসানির মানেই পাল্টে গিয়েছিলো। দুজন ফিসফিস করছে মানে হচ্ছে- তাদের মধ্যে তৃতীয় কেউ শুনে ফেলার ভয় বা শংকা কাজ করছে। তা তৃতীয় কেউ শুনে ফেললে সমস্যা কোথায়? সমস্যা হলো- তাকে যে বিশ্বাস করা যাচ্ছে না, যদি সে বলে দেয় কাউকে, যদি নেমে আসে পাশবিক (সামরিক) নিপীড়ন! সামরিক শাসনের প্রভাব শুধু রাষ্ট্রীয় জীবনেই নয়, ব্যক্তিজীবনেও এমনভাবে পড়েছিলো। রাষ্ট্রের অবস্থাই বা কেমন ছিলো? আমরা দেখেছি- কেমন করে আলোর ইশারাবিহীন অতল অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছে স্বদেশ, কোথাও কোনো সম্ভাবনা থাকছে না, চারদিকে কেবল গভীর অন্ধকার, কেবল অনিশ্চয়তা, কেবল হতাশা। দেখেছি- প্রতিবাদী মিছিলে উঠে যাচ্ছে সামরিক ট্রাক, দেখেছি প্রাচীন রাজনীতিবিদরা তাদের দীর্ঘদিনের ত্যাগ-তিতিক্ষা বিসর্জন দিয়ে লুটিয়ে পড়ছেন সামরিক প্রভুর কদর্য পায়ে, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় প্রকম্পিত হচ্ছে অস্ত্রের ঝনঝনানিতে, ছাত্রনেতাদের চারপাশে উড়ছে টাকা আর ক্ষমতা- আর তার লোভে পড়ে আজকের বিপ্লবী কালকেই হয়ে যাচ্ছে প্রভুর চামচা, টাকা এবং টাকাই হয়ে উঠছে সবকিছুর একমাত্র নিয়ামক শক্তি, কোনো নীতিবোধ বা মূল্যবোধ আর চালকের আসনে থাকছে না, রাষ্ট্রই উৎসাহিত করছে অসৎ হতে, আদর্শহীন হতে, নীতিহীন হতে, তাই রাষ্ট্রের শীর্ষ ব্যক্তি থেকে শুরু করে প্রতিটি অফিসের পিওন-দারোয়ান পর্যন্ত অসৎ উপায়ে অর্থ উপার্জন করাটাকে প্রায় বৈধ কাজ বলে ধরে নিয়েছে, আর এভাবেই দুর্নীতিকে দেয়া হচ্ছে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ, সংবাদপত্র বন্ধ হয়ে যাচ্ছে যখন-তখন, লেখক-শিল্পী-সংবাদকর্মীরা নিগৃহিত হচ্ছেন অহরহ....''
প্রিয় পাঠক, আমার বেড়ে ওঠার সময়ের অতি সামান্য এক বিবরণ দিলাম। এইরকম বদ্ধতার মধ্যে দিয়ে বেড়ে উঠেছি বলে নিজেকে মাঝে মাঝে অসম্পূর্ণ মানুষ বলে মনে হয়! যারা শাসনের নামে একজন শিশু/কিশোরকে এরকম বীভৎস শৈশব/কৈশোর উপহার দেয়, তাদের সম্বন্ধে কোনো ভালো কথা লিখতে ইচ্ছে করে না! যদিও আমি পিলখানার হত্যাকাণ্ডে মর্মাহত ও বেদনাক্রান্ত হই, কারণ- লাশগুলো থেকে ইউনিফর্ম খুলে ফেললে আমি মানুষেরই মুখ দেখি!
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই মার্চ, ২০০৯ বিকাল ৫:২৬