অতঃপর নুশেরা.....
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
নুশেরা নিজের উপরে খুব বিরক্ত। বিরক্তির কারন সে নিজেও জানে না। রাতে ঘুম হচ্ছে না। অনেক ভেবে বিরক্তির দুইটি কারন পেয়েছে। প্রথমত তাদের বাসা পরিবর্তন করে নতুন ফ্ল্যাটে উঠা। নতুন কোন জায়গায় তার ঘুম হয় না। সবকিছু অপরিচিত মনে হয়। অনেক দিনের অভ্যস্ততার ব্যাতিক্রম কিছু মানুষ সহ্য করতে পারে না। নুশেরা সেই দলের। তবে তাদের এই নতুন ফ্ল্যাট নুশেরার বেশ পছন্দই হয়েছে, এমনকি এই ফ্ল্যাট কেনার পেছনে তার বাবা তার মতামতকেই প্রাধান্য দিয়েছে। এপার্টমেন্টের বিশাল ছাদে উঠার জন্যেও ব্যাবস্থা আছে। ঢাকা শহরের বিশাল এপার্টমেন্টগুলোয় সাধারনত সিঁড়িঘরে তালা ঝুলানো থাকে। এই এপার্টমেন্টের ছাদ আবার খুব সুন্দর করে বিভিন্ন ফুলের টবে সাজানো। তবুও কেমন যেন সব অচেনা মনে হচ্ছে।
দ্বিতীয় যে কারণটি নুশেরা তার বিরক্তির তালিকায় রেখেছে সে কারণটি ৯০% মানুষের ক্ষেত্রেই ঘটে। সামনে তার ইয়ার ফাইনাল। অথচ পড়াশোনার কিছুই করেনি সে। পড়তে বসলেই রাজ্যের চিন্তা ভিড় করে। বই খোলা রেখে সে আকাশ কুসুম চিন্তায় বিভোর হয়ে পড়ে। অন্য সময়ে এসব চিন্তা আসে না। মাঝে মাঝে পড়তে পড়তে সে ঢুকে পড়ে কোন গল্পের বইয়ের কাহিনীতে। যখন এই গল্প থেকে বেড়িয়ে হাত মুখ ধুয়ে আবার পড়তে বসে, তখন দেখা যায় সালমান খান কিংবা রানবির কাপুরের সাথে ডুয়েট গানে চলে যায়। শেষে মেজাজ খারাপ করে ফেসবুকে বসে স্ট্যাটাস দেয়, “কাল থেকে ধুমায়া পড়মু, আজকে ঘুমাই, গুডনাইট ফ্রেন্ডজ।“
বিছানা থেকে উঠে বারান্দায় এসে দাঁড়ায় নুশেরা। অন্ধকার তার ভালো লাগেনা কখনো। তবুও বারান্দার বাতি জ্বালাতে ইচ্ছে করছে না। মেজাজ খারাপ থাকলে কিছুক্ষন অন্ধকারে বসে থাকলে মন শান্ত হয়। আলো আঁধারের সাথে মানুষের মনের কিছু কানেকশন আছে, প্রাকৃতিক সামাঞ্জস্যতা হয়ত। আগের বারান্দায় বসার জন্যে একটা ইজি চেয়ার ছিল, এই ফ্ল্যাটের জন্যে এখনো কেনা হয়নি। বারান্দায় পায়চারী করা অবস্থায় হঠাত করেই পাশের ফ্ল্যাটের বারান্দার বাতি জ্বলে উঠলো। কালো ফ্রেমের চশমা পড়া বিলাই টাইপ একটা ছেলেটা এসেছে বারান্দায়। বারান্দার অন্ধকার পাশটায় সরে দাঁড়ায় ও। ইতিমধ্যে সিগারেট ধরিয়ে ফেলেছে বিলাইটা। নুশেরার বিরিক্তির মাত্রা আরও একধাপ উপরে উঠে গেলো। সিগারেটের গন্ধ একেবারেই সহ্য হয়না তার। দক্ষিনের বাতাসে পোড়া তামাক আর নিকোটিনের ধোঁয়া ঠিক নুশেরার কাছেই আসছে। তার খুব ইচ্ছে করছে বিলাইটাকে যেয়ে কষে একটা থাপ্পর মারতে। যদিও খুব ম্যাচিউর এবং কিউট, এমন ছেলেকে থাপ্পর মারা যায় না, শুধু আদর করা যায়। সিগারেট শেষ হওয়া মাত্র ছেলেটা বাতি নিবিয়ে চুপচাপ ভেতরে ঢুকে গেলো। নিজের চুল ছিড়তে ইচ্ছে করছে নুশেরার। সে এই বিলাইটাকে আদর করার কথা ভাবছে! কি বাজে অবস্থা! গত একমাস যাবত নিজের সাথে এমনি টম এন্ড জেরি খেলা চলছে তার।
বারান্দায় এসে সিগারেট ধরায় রিক। ইদানিং ভীষণ কাজের চাপ যাচ্ছে। আজকাল মায়ার কথা খুব মনে পড়ে। ভীষণ রকমের অস্থিরতা দখল নেয় মনে। ভাসা ভাসা কত স্মৃতি মনে পড়ে ইয়াত্তা নেই। সেই প্রথম পরিচয় তারপরে কতদিনের প্রেম। প্রতিদিন যেন মনে হত কত সতেজ প্রেম। কতরাত কেটে গেছে রিসিভার কানে নিয়ে। পেছন থেকে মায়া এসে চোখ ধরলে ওর গায়ের ঘ্রানে বলে দেয়া যেতো ও মায়া। আঙুলে আঙুল রেখে কত মেঘ হারিয়ে গিয়েছে পুব থেকে পশ্চিমে। কখনো আবার বাইকে ঘুরে বেড়ানো সমস্ত শহর। কতদিন কেউ বলে না, “এভাবে তাকিয়ে আছো কেন?”
সিগারেট শেষ করে বাতি নিবিয়ে সোজা স্টাডি রুমে চলে যায় রিক। প্রোজেক্টের নকশা এখনো ফাইনাল করা হয়নি। প্রানপনে সে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ব্যাতিক্রম একটি প্রোজেক্টের জন্যে। মনে মনে একটি নাম সে ঠিক করে রেখেছে, “মায়ামেঘ” নামে। ঘুমে ক্লান্তিতে চোখের পাতা বন্ধ হয়ে আসছে। ঘুমে ঝিম ঝিম এই অনুভূতি অনুভব করার জন্যে রিক প্রানপনে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, যদিও সে জানে ঘুম পড়ি এখনি তার চোখে পাখা ছুঁইয়ে দিবে।
নুশেরা ঘন্টাখানেক হলো সিলিংয়ে তাকিয়ে আছে। সে কোথায় যেন পড়েছে কোথাও এক ধ্যানে তাকিয়ে থাকলে বিরক্তি ভাব চলে যায়। এখন এই তাকিয়ে থাকাটাই তার কাছে ব্যাপক বিরক্তিকর লাগছে। পাশের বাসার বিলাইটাকে খুব করে ধোলাই দিতে ইচ্ছে করছে। ওর চশমাটা ছোঁ মেরে নিয়ে এক আছারে ভেঙ্গে ফেললে কেমন হয়? ভাবতেই সুখ সুখ অনুভূতি লাগছিল নুশেরার। সকালে ভার্সিটিতে যাওয়ার সময়ে নুশেরা যখন দড়জা খুলে দেখলো বিলাইটা তার দড়জা লক করছে, খুব মুড নিয়ে হাল্কা কাশি দিল নুশেরা। বিলাইটা কোন ভ্রূক্ষেপই করলোনা তার দিকে। বরং তার দিকে না তাকিয়ে চুপচাপ সিঁড়ি বেঁয়ে নীচে নেমে গেলো। এইকথা মনে হতেই নুশেরার বিরক্তি আরও চরমে উঠলো। সে মনে মনে কল্পনা করতে লাগলো বিলাইটার আর কি কি ভাঙ্গা যায়।
আজ অফিসে যাওয়ার সময়ে পল্টনের জ্যাম এড়িয়ে যেতে ভার্সিটি এলাকা দিয়ে ঢুকে পড়ে রিক। ফুলার রোডের উদয়ন স্কুলের সামনে যেতেই ব্রেক কষে গাড়ির। নেমে ফুটপাতে দাঁড়ায় সে। এই স্থানে কত বসেছে দুজনে। হাটু গেড়ে বসে পড়ে রিক। হাত দিয়ে ছোঁয় সেই স্থান যেখানে মায়া বসতো তার পাশে। চোখ ভিজে যায়। ফুটপাতে বসে রিক, ঠিক যেমন মায়ার পাশে বসতো ভার্সিটির দিনগুলোতে। অতীত স্মৃতি কল্পনায় নিয়ে আসে সে। মায়া বলছে,
‘এই তুমি বিয়ে করবা কবে?’
‘আজকে।‘
‘ফাইজলামি করার জায়গা পাও না?’
‘না, জায়গা লাগবে। দিবা?’
‘দুষ্টামি করবা না। এগুলা কি?’
‘আমি খারাপ কি বললাম?’
‘ধুর তুমি একটা বদমাইশের হাড্ডি। আগামী তিনদিন তোমার সাথে আমার হরতাল। কোন কথা নাই।‘
‘আমি হরতালে নিজের রিস্কে তোমার পথে হাঁটবো।‘
‘তুমি কি মানুষ হবা না?’
ভেজা চোখেই হেসে ফেলে রিক। মায়া পাগলীটা সত্যিই তিনদিন তাকে শাস্তি দিয়েছিল কোন কথা না বলে। উঠে দাঁড়িয়ে আকাশে তাকায় রিক। এখন আর পাখিরা আগের মত আনন্দ নিয়ে উড়াউড়ি করে না। পা বাড়ায় গাড়ির দিকে। স্টার্ট দিয়ে এগিয়ে চলে। বার বার মনে হয় মায়া পেছন থেকে ডেকে বলছে, ‘আমাকে একা রেখে চলে যাচ্ছ রিক?’
নুশেরার ভীষণ কান্না পাচ্ছে। সে ভেবে পাচ্ছে না তার কি হয়েছে। আগে তো কখনো এমন হয়নি! সেই কখন থেকে সে অপেক্ষা করছে বারান্দায়। বার বার ভাবছে এই বুঝি পাশের ফ্ল্যাটের বারান্দার বাতিটা জ্বলবে, বিলাইটা সিগারেট ধরাবে। দুই ঘন্টা পেড়িয়ে গেছে, বিলাইয়ের কোন খবর নেই। খুব অস্থির লাগছে ওর। প্রতিটা হৃদস্পন্দনের শব্দ যেন ও শুনতে পাচ্ছে। নুশেরা লক্ষ্য করলো ওর হাত কাঁপছে। নুশেরা প্রানপনে চাচ্ছে ভেতরে চলে যেতে, কিন্তু কেন যেন যেতে পারছে না। অসহার দৃষ্টিতে বার বার তাকায় পাশের বারান্দায়। নাটক সিনেমায় ও দেখেছে প্রেমে পড়লে নাকি এমন হয়! নুশেরার ভয় হয়! আবার বিলাইয়ের প্রেমে পড়ে গেলো না তো সে!
নুশেরা এবার সত্যিই কেঁদে ফেললো। ছেলেটা কেন আসছে না? উঁকি দিয়ে ঘড়ির দিকে তাকায় সে। রাত সোয়া তিনটা বেজে গেছে। বিছানায় চলে যায় ও। শুধুই এপাশ ওপাশ, ঘুম আর হয় না। কিছুক্ষন বাদে বাদে খুব কান্না পাচ্ছে ওর। ফুপিয়ে ফুপিয়ে কেদেও ফেলছে। ভয়ানক ইচ্ছেও করছে। ইচ্ছে করছে ছেলেটাকে খুব করে একটা খামচি দিতে। উঠে বসে নুশেরা। টেবিলে যেয়ে দুটি কাগজের একটিতে লিখে ‘প্রেম’ আর অন্যটিতে ‘ছাই’, কাগজ ভাজ করে লটারি করে সে। লটারিতে উঠে আসে ‘প্রেম’ লেখা কাগজটি। আবারো কান্না শুরু করে নুশেরা।
অফিসের পরে চারুকলায় চলে আসে রিক। বেশ কিছুটা সময় নির্জন এককোণে বসে থাকে। আজ ভরা পূর্ণিমা। সেদিনও এমনি ভরা চাঁদ ছিল যেদিন ও আর মায়া বিয়ে করে ফেললো। দুই ফ্যামিলির কেউ মেনে নিলো না। বিয়ের প্রথম রাতটা কাঁটালো তারা এই চারুকলার মাঠে ভরাক্রান্ত মনে জ্যোৎস্না দেখে। সেই কি কষ্টের সময়, আজ এই বন্ধুর বাসায় তো কাল অন্য। ভালোবাসার টানে পরিবারের অঢেল সম্পত্তির সুখ ছেরে দুজনে কষ্টকেই সাথী করে নিলো। চারুকলায় সেই রাতে মায়াকে আবৃতি করে শোনানো নিজের লেখা কবিতা একাএকাই বিরবির করে পড়ে রিক।
মেঘের আড়ালে রোদ হারালে
ভয় করো না তুমি।
জ্যোৎস্না রাতের সবটুক চাঁদ
তোমার অধর চুমি।
যদি কখনো চাঁদ চলে যায়
তোমার আকাশ থেকে,
জ্যোৎস্না নিও আঁচল ভরে
চাঁদটা আমার ভেবে।
অনেক রাত। তবুও যেতে ইচ্ছে করছে না আজ। জ্যোৎস্না সকল গায়ে মেখে স্মৃতি রোমন্থনেই সুখ খুঁজে রিক। সুখ খুঁজে দুজনের অভাবের সময়ে। দুজনের বিরহের সময়ের। কি মধুর ছিল সেসব দিন। পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন দুজনে স্বপ্ন দেখছে কত। চাকরি হয় রিকের। ভাবে এই বুঝি এলো সুখের দিন। মায়া সুখ পায়নি। তার আগেই চলে গেলো না ফেরার দেশে। আজ তিনবছর একাকীত্ব সঙ্গী রিকের। এখনো মনে পড়ে শাড়ি পড়ে সামনে আসা মায়ার কথা। মায়ার নাচের খুব শখ ছিল। মাঝে মাঝে নেচে দেখাতো। কি অদ্ভুত মেয়ে ছিল ও। অল্পতেই খুশী ভালোবাসা নিয়ে। আজ মায়া থাকলে কতটা সুন্দর সময় কাটতো। হয়ত দুজনে ছাদে মাদুর পেতে তারা দেখতো এই সময়ে। শেষের কথাগুলো এখনো বেজে যায় রিকের কানে,
‘আচ্ছা আমার মনে হচ্ছে আমি আর বাঁচবো না, একবার আমার আর তোমার বাবা-মা কে আসতে বলবে?’
‘হ্যা বলবো, আর কিছু হবে না তোমার, আমি আছি না’
‘থাক, আর আশা দিতে হবে না, একটা কথা দিবে?’
‘কি কথা?’
‘আগে বলো আমার শেষ ইচ্ছেটা রাখবে।‘
‘কি পাগলামি শুরু করলে তুমি। কিছু হবে না তোমার।’
‘আহ! বলোই না কথা রাখবে।’
‘আচ্ছা যাও রাখবো, বল কি কথা?’
‘আমি মারা গেলে জানি তুমি বিয়ে করতে চাইবে না, তবে এমন কেউ যদি আসে, যে তোমাকে আমার মত করে ভালবাসবে, তাকে ফিরিয়ে দিও না। ভেবে নিও আমি তার মাঝেই আসবো।‘
‘তুমি ঘুমাও তো! কি সব শুরু করলা!’
‘কথাটা মনে রেখো কিন্তু। আর শোনো আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি।‘
‘হ্যা আমিও মায়া’ কাঁপা কাঁপা ধরা গলায় বলে রিক।
উঠে বসে রিক। চাঁদটার দিকে তাকিয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে ঘরির দিকে তাকায়। প্রায় ভোর হয়ে আসছে। হাটতে থাকে বাইরে রাখা গাড়ির উদ্দেশ্যে। শব্দ করে চারুকলার মাঠে রিক কবিতা আবৃতি শুরু করে। প্রতিদ্ধনি হয়ে ফিরে আসে কবিতারা,
“এই শহরে রোদ নেই, ছারপোকা আছে
মৃদু আলোয় তারা নিশিকাব্য রচনা করে,
জানালায় গাছেদের ছায়া পড়ে অহরহ
জোছনায় ছায়া পড়েনা মনে চাওয়া কারো।
চাইনা স্মৃতি হোক কারো কাজল চোখ
কোন মেঘ ডাকা বিকেলের অন্ধকারে,
এই শহর ভুলে যায়, মনে রাখেনা
বিষণ্ণ জলকেলি, অবরুদ্ধ অবকাশ।“
সকালে এপার্টমেন্টের সিঁড়ি দিয়ে ঘুম ঘুম চোখে উপরে উঠতে যেয়ে থামে দাঁড়ালো রিক। পাশের ফ্ল্যাটের মেয়েটা কোমরে হাত দিয়ে রণমূর্তিতে দাঁড়িয়ে আছে। মাথা নিচু করে উপরে উঠে রিক বললো,
“এক্সকিউজ মি প্লীজ।“
“এই আপনার সমস্যা কি?” চোখ পাকিয়ে তাকায় নুশেরা।
“জ্বি, আমাকে বলছেন?” হতভম্ব হয়ে তাকায় রিক।
“আপনার আশেপাশে কি অন্য কেউ আছে নাকি আমি পাগল? কাল রাতে কোথায় ছিলেন? জানেন আমি সারারাত বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিলাম আপনি সিগারেট টানতে আসবেন ভেবে।“
ঠোঁট কামড়াতে থাকে নুশেরা, এটা তার কান্নার পূর্ব লক্ষন। এদিকে রিক পুরাই তাজব বনে গেছে। বেচারা কাচুমাচু হয়ে তাকিয়ে আছে মেয়েটির দিকে। সে মেয়েটির নাম পর্যন্ত এখনো জানে না। তবে প্রথম যেদিন দেখেছিল, মনে হচ্ছিল মায়ার কোন জমজ বোন, মায়ার ছায়া এসে পড়েছে মেয়েটির উপরে। এজন্যেই যতটা পেরেছে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেছে। কিন্তু এই মেয়ে গোপনে এতটা ক্রাশ খেয়ে বসে আছে কে জানতো! রিক হতাশ স্বরে বললো, “আমি কিন্তু পুর্বে একবার বিবাহিত, সাবধান।“
নুশেরা কঠিন চোখে তাকিয়ে বললো, “জানি, বিলাই কোথাকার।“
৬৬টি মন্তব্য ১৭টি উত্তর
পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন
আলোচিত ব্লগ
ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান।
ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান। আমরা দিন দিন কোথায় যাচ্ছি কিছু বুঝে উঠতে পারছি না। আপনার দলের লোকজন চাঁদাবাজি-দখলবাজি নিয়ে তো মহাব্যস্ত! সে পুরাতন কথা। কিন্তু নিজেদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হচ্ছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। প্রধান উপদেষ্টাকে সাবেক মন্ত্রীর স্ত্রীর খোলা চিঠি!
সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে মুক্তি দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে খোলা চিঠি দিয়েছেন মোশাররফ হোসেনের স্ত্রী আয়েশা সুলতানা। মঙ্গলবার (২৯... ...বাকিটুকু পড়ুন
কেমন হবে জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশ ?
জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিক্ষুব্দ ছাত্র জনতা আগুন দিয়েছে তাতে বুড়ো গরু গুলোর মন খারাপ।বুড়ো গরু হচ্ছে তারা যারা এখনো গণমাধ্যমে ইনিয়ে বিনিয়ে স্বৈরাচারের পক্ষে কথা বলে ,ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়াতে... ...বাকিটুকু পড়ুন
দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী
ফিতনার এই জামানায়,
দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী খুব প্রয়োজন ..! (পর্ব- ৭৭)
সময়টা যাচ্ছে বেশ কঠিন, নানান রকম ফেতনার জালে ছেয়ে আছে পুরো পৃথিবী। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে গুনাহ মুক্ত রাখা অনেকটাই হাত... ...বাকিটুকু পড়ুন
দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী খুব প্রয়োজন ..! (পর্ব- ৭৭)
সময়টা যাচ্ছে বেশ কঠিন, নানান রকম ফেতনার জালে ছেয়ে আছে পুরো পৃথিবী। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে গুনাহ মুক্ত রাখা অনেকটাই হাত... ...বাকিটুকু পড়ুন
জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা
বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন