somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্পঃ" চিরকুট অথবা বোকা মেয়েটি ! "

২০ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১২:১৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ম্যানচেষ্টার সিটি শপিংয়ে ঘুরছিলাম। ভালো একটা শার্ট কিনতে হবে। সাথে আছে বন্ধু স্যাম। সাদা চামড়ার বিদেশি নাম হলেও সে আমার ছোট বেলার বন্ধু। বাইরে এসে সামিউল থেকে স্যাম হয়েছে। দেশের পড়ালেখা শেষ করে দুজন একসাথেই বাইরে পারি জমিয়েছিলাম ইংল্যান্ডে। একটা কোম্পানীতে ফিন্যান্সে কাজ করছি। সপ্তাহে ছুটির দিন রবিবার। সুতরাং বাকি ছয়দিন যে যেখানেই থাকিনা কেন, এই দিনটা দুজনে একসাথে কাটাই। আজকেও বেরিয়েছি দুজনে। নেটে দেখেছিলাম রিভার আইল্যান্ডে আমার প্রিয় চেকে একটা শার্ট। সেটাই নিতে এসেছি মূলত। সেল উইক চলছে, তাই শোরুমে একটু ভিড় ছিল। ঠেলেঠুলে পেছন দিকটায় যেয়ে খুঁজছিলাম কমলা আর কালো চেকের শার্টটা। হঠাৎ করেই চোখ পরলো সাদা স্যালোয়ার কামিজের একটি মেয়ের দিকে। পেছন থেকে দেখতে বাঙালি মেয়ের মত লাগছে। কিন্তু মেয়েটার চুলগুল কেমন যেন চেনা। আগে কোথাও দেখেছি মনে হচ্ছে।

মেয়েটি আমার দিকে ঘুরতেই অবাক হয়ে গেলাম। মেয়েটির হাতে আমার পছন্দের সেই শার্ট। আসলে অবাক হওয়ার কারন শার্ট নয়। চুলগুল আমি ঠিকই চিনেছি। নিতি ! নিতি আর আমি একসাথেই পড়তাম। আমি ছিলাম ভার্সিটির সুপারম্যান আর নিতি সাধারন কালো ফ্রেমের চশমা পরা চুপচাপ একটা মেয়ে। গায়ের বর্ন হলদে সাদা আর ছিপছিপে শরীর। চেহারার মাঝে অন্যরকম একটা মাধুর্য। আমি কোনদিনই ওর কাছে বিশেষ পাত্তা পাইনি। দুইবার প্রপোজ করেছি, দুইবারই ভয়ে কেঁদে দিয়েছে। সে কি কান্ড। বাংলা সিনেমার ভিলেনের সামনেও নায়িকা ইজ্জত ভিক্ষা চেয়ে এতখানি কাঁদে না। নিরহ এই মেয়েটাকে জ্বালাতন করতেই আমার কেমন যেন ভালো লাগতো।

আমি সবসময় ওর ঠিক পেছনের চেয়ারের ডানপাশে বসতাম। এতে করে ওকে দেখতে আমার ভালোই সুবিধা হতো। মাঝে মাঝে চিরকুটে প্রেম প্রেম মার্কা কথাবার্তা লিখে ওর টেবিলে রাখতাম। এই মেয়ে আমার সব জ্বালাতন চোখবুজে সহ্য করতো বলেই ওকে আমার অনেক বেশী ভালো লাগতো। আমি যখন ওর দিকে রোমান্টিক দৃষ্টিতে তাকাতাম, আর ভুলে যদি ওর চোখ আমার চোখের দিকে পরতো তাহলে বেচারী ভয়ে পাংশু বর্ণ ধারন করতো। আমার সব রোমান্টিকতা বৃথা, ফেইল্যুর রোমিও।

একবার ওর চুলে চুইংগাম লাগিয়ে দিলাম। সেই গাম ছুটাতে যেয়ে সমস্ত চুল জট পাকিয়ে ফেললো। ভাবলাম এবার নির্ঘাত বিচার যাবে গডফাদার খ্যাত আমাদের ক্লাস মনিটর টিচারের কাছে। নাহ, অবলা মেয়েদের আদর্শ এই মেয়েটি সেবারও চুপচাপ কেঁদে গেলো। আরেকদিন আমি পেছনে বসে আছি। ওর পানির বোতল এসে পরলো আমার পায়ের কাছে। ও যখন বোতল তুলতে হাত দিলো, আমি বলে উঠলাম, " থাক সালাম করতে হবে না, আজকাল হাসব্যান্ডকে ক'জন মেয়ে সালাম করে! আমি এমনিতেই তোমার উপরে সন্তুষ্ট আছি। " লজ্জা ভরা চোখে সেদিন ভয় ছিল না। ঠোঁটের কোনে চাপা হাসির ঝিলিক ছিল।

এসব কারনে আমার মনে হতো এই মেয়ে আমাকে ভালোবাসে বলেই চুপচাপ সব সয়ে যায়। কিন্তু প্রপোজ করলেই বিপদ। এমন এক সমস্যা যে এর প্রতিকার চেয়ে বন্ধুদের কাছে সার্কুলার দিলেও সবগুলা হাসাহাসি করবে। বলবে," মোটা ফ্রেমের চশমা, চশমা খুললে রাতে তোকে চোখে দেখবে তো?" কিন্তু এই সহজ সরল আধাদৃষ্টির মেয়েটিকে যে আমার কত ভালো লাগে সেটা কিভাবে বুঝাবো ওদের?

একদিন ক্লাস থেকে যাওয়ার সময় পেছন থেকে ওর স্যান্ডেলে পা দিয়ে চেপে ধরলাম। বেচারী উস্টা খেয়ে বসে পরলো তারপর ছেঁরা স্যান্ডেল হাতে নিয়ে চুপচাপ খালি পায়ে হাঁটতে লাগলো। ওর এমন সয়ে যাওয়াটাই এক সময় আমার অপরাধবোধ জাগিয়ে তুলতে শুরু করেছিল। সেদিন খালি পায়ে শহরের পিচঢালা পথে ওকে হেঁটে যেতে দেখে নিজের মাঝেই কষ্ট লাগছিলো। আমি ওর পিছু হাটতে লাগলাম। পেছন ফিরে যখন দেখলো আমি ওর পেছন পেছন আসছি ও হাটার গতি বাড়িয়ে দিলো। আমি যখন ২ কিমি/আওয়ারে হাটা শুরু করলাম ও তখন ৪.৫ কিমি/ আওয়ারে দৌড় দিলো। আশেপাশের মানুষ দেখলাম তাকিয়ে আছে, সবার সন্দেহজনক দৃষ্টি। গনধোলাই থেকে বাঁচতে সেদিনের মত ক্ষান্ত দিলাম।

সেদিন ক্লাস শেষে বৃষ্টিতে একা রাস্তায় দাড়িয়েছিলো ও। আমি মোটসাইকেল ঘুরিয়ে যখন ওর সামনে গেলাম তখন মনে হচ্ছিলো আড়াই ইন্চির মোটা ফ্রেম ভেদ করে ওর চোখ বেরিয়ে আসবে।
- তুমি আমাকে এত ভয় পাও কেন ?

আমার প্রশ্নের পরে দেখি এবার চোখ ছলছল করছে। বুঝলাম এই মেয়ের চোখে ঐ মেঘের চেয়ে বেশি জল লোড দেয়া আছে। এমন মেয়ে নিয়ে তো বিশাল বিপদ।
- নিতি! একেবারে কাঁদবে না বলছি। এদিকে তাকাও। স্নেহা বললো তুমি নাকি আমাকে বিড়িখোর গুন্ডা পোলা বলো?
- স্যরি, আমি আর কোনদিন বলবো না।
- বাইকে উঠো।
- না, আমি রিক্সায় যাবো। বাইকে চড়ার অভ্যেস নেই। আমি পরে যাব বাইক থেকে।

এইবার ধমক না দিয়ে পারলাম না। সাদাসিধে বোকা মেয়েদের ধমক দিলে দারুন সুফল পাওয়া যায়। নিতু চুপচাপ উঠে বসলো। এবার সুযগ বুঝে বললাম, " আমাকে ধরে বসো, নইলে সত্যি পরে যাবে কিন্তু।"
গুড়িগুড়ি বৃষ্টিতে নিতি পেছেন থেকে জড়িয়ে আর শহরের পথ চিরে চলতে থাকা দুজন, অন্যরকম একটা অনুভূতির দিন ছিলো সেদিন। ইচ্ছে হচ্ছিলো এই পথে চলতে থাকি অবিরাম। ওকে চিরদিনের জন্য এভাবে কাছে রাখি। ও শুধু আমার হয়ে থাকুক। কিন্তু সব আশা সবার জন্য নয়। আমার জন্যও হয়ত ছিলো না, কারন আধাঘন্টার মাথায় ওদের বাসার কাছাকাছি চলে এসেছি।

এরপর হঠাৎ করেই ওর ক্লাসে আসা বন্ধ হয়ে গেলো। কেউ ঠিক ভাবে কিছু বলতে পারছিলো না। ওর সবথেকে কাছের বান্ধবী স্নেহাও আসছে না যে কিছু একটা খবর নেবে।
একসপ্তাহ পরে স্নেহা ক্লাসে এসে আমাকে খুঁজে বের করলো। আমার হাতে একটা চিরকুট ধরিয়ে দিলো। বললো নিতি নাকি আমাকে দিতে বলেছিলো। খুলে দেখলাম ছোট ছোট অক্ষরে লেখা, " আমিও তোমাকে ভালোবাসি, কিন্তু আমার তোমার সামনে গেলে ভয়ে হাত পা কাঁপে। তাই বলতে পারি না। আমি বাইরে চলে যাচ্ছি। হয়তো আর কোনদিন দেখা হবে না।"

নিতির মামা ওকে নিয়ে গিয়েছিলো তার পছন্দ করা ছেলের সাথে বিয়ে দেয়ার জন্য। স্নেহার কাছে জেনেছিলাম। তারপর কি হয়েছে জানি না, কিন্তু আমার ভেতরে ভেতরে একটা পরিবর্তন এসেছিলো। আমি জ্বালাতন করার মানুষটিকে হারিয়ে একা হয়ে পরি। সব কিছুতে আনন্দ হারিয়ে ফেলি। একসময় " কি জ্বালা দিয়ে গেলা মোরে...... " টাইপের গান শোনা শুরু করি। জীবন চলছিলো। প্রতিরাতে নিতির কথা মনে পরলেও এখন অনেকটা ভুলে গিয়েছিলাম।
ঠিক এই সময়ে নিতি আবার আমার সামনে। তাও আবার আগের থেকে সুন্দর হয়ে গেছে। চোখে সেই কালো ফ্রেমের চশমা নেই, ল্যাসিক করিয়েছে। গালদুটো ভরে গেছে, ছুঁয়ে দিতে ইচ্ছে করে। আর আপাত দৃষ্টিতে দেখতে ইন্ডিয়ান নায়িকাদের ছারিয়ে গেছে। শুনেছি বিয়ের পরে নাকি মেয়েরা সুন্দর হয় বেশি।

- রিক তুমি এখানে ?
- জ্বি, আপনি নিতি না?
- হ্যাঁ আমি নিতি কিন্তু তুমি আমাকে আপনি করে বলছো কেন?
- না মানে শার্টটা কি তোমার হাসব্যান্ডের জন্য নিচ্ছো? ভদ্রলোক কেমন আছেন?
- মানে কি? আমিতো এখনো বিয়ে করিনি। স্নেহাকে বলেছিলাম তোমাকে এটা বলতে। যেন তুমি আমার জন্য অপেক্ষা না করো।যাইহোক, কোন এক গাধার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। কিন্তু গাধা পেলেও সেই মনের মত গাধাটাকে পাচ্ছিলাম না। তাই এখনো কুমারী আছি। আর তারজন্যে মাঝে মাঝে ছেলেদের পোষাক দেখি। তাকে কল্পনা করি আরকি।
- তুমি আগে থেকে অনেক স্মার্ট হয়ে গেছো।
- আর তুমি সত্যি সত্যি গাধা হয়ে গেছো।

__________

এর পর থেকে নিতির সাথে নিয়মিত দেখা হতো। আমি অবাক হয়ে ওকে দেখতাম। আমার অত্যাচারে চুপ করে থাকা মেয়েটি এতটা স্মার্ট হয়ে গেছে! এখন আমার ক্ষেত্রে উল্টোটা হয়েছে। নিতির সামনে গেলে আমার কেমন যেন লজ্জা লাগে। কথা বলতে গেলে খেই হারিয়ে ফেলি। কিন্তু নিতি ঠিকই সব বুঝে নেয়।

আমার এই লজ্জায় অতিষ্ট হয়ে একদিন নিতিই আমাকে প্রোপোজ করে ফেললো। আমার চোখ গড়িয়ে অশ্রু আসছিলো। কিন্তু সেটা সেই পুরনো নিতির মতো ভয়ে নয়। আনন্দাশ্রু। আমি সত্যিই আমার ভালোবাসাকে পেলাম।

নিতি আমাকে অনেক বেশি ভালোবাসতো। সেটা বুঝেছি যখন দেখলাম
আমার দেয়া প্রতিটা চিরকুট ও সযত্নে রেখে দিয়েছে। একদিন ও আমাকে জিজ্ঞাসা করেই ফেললো যে, ওর দেয়া সেই চিরকুট কোথায়। আমি কি আর বলতে পারি যে মিমির সাথে রিলেশন হওয়ার পরে সেই চিরকুট ফেলে দিয়েছিলাম! তাছারা আমি দ্বিতীয়বার আর নিতিকে হারাতে চাই না। ওকে ভোলার জন্য মিমির সাথে রিলেশনে গিয়েছিলাম। দুধের স্বাধ কি আর ঘোলে মিটে?
যাইহোক, নিতিকে শুধু এতটুকই বললাম,

" পাঁচ বছর পেরিয়ে গেছে, চিরকুট হারিয়ে গেছে।"
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১২:১৯
১৪৬টি মন্তব্য ১৪৪টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান।

লিখেছেন আহা রুবন, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫০





ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান। আমরা দিন দিন কোথায় যাচ্ছি কিছু বুঝে উঠতে পারছি না। আপনার দলের লোকজন চাঁদাবাজি-দখলবাজি নিয়ে তো মহাব্যস্ত! সে পুরাতন কথা। কিন্তু নিজেদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হচ্ছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। প্রধান উপদেষ্টাকে সাবেক মন্ত্রীর স্ত্রীর খোলা চিঠি!

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৩




সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে মুক্তি দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে খোলা চিঠি দিয়েছেন মোশাররফ হোসেনের স্ত্রী আয়েশা সুলতানা। মঙ্গলবার (২৯... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেমন হবে জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশ ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৫৬


জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিক্ষুব্দ ছাত্র জনতা আগুন দিয়েছে তাতে বুড়ো গরু গুলোর মন খারাপ।বুড়ো গরু হচ্ছে তারা যারা এখনো গণমাধ্যমে ইনিয়ে বিনিয়ে স্বৈরাচারের পক্ষে কথা বলে ,ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়াতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী

লিখেছেন সামিউল ইসলাম বাবু, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:১৩

ফিতনার এই জামানায়,
দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী খুব প্রয়োজন ..! (পর্ব- ৭৭)

সময়টা যাচ্ছে বেশ কঠিন, নানান রকম ফেতনার জালে ছেয়ে আছে পুরো পৃথিবী। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে গুনাহ মুক্ত রাখা অনেকটাই হাত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা

লিখেছেন মুনতাসির, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:২৪

বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×