(অনেক পরে যারা এই লেখা পড়বেন তারা লক্ষ্য করুন, এই লেখাটি একটি বিশেষ প্রেক্ষাপটে লেখা হয়েছে। একটি স্টিকি পোস্টের প্রতিক্রিয়া থেকে লেখা। লেখকের বিশ্বাসের সাথে এর কোনই মিল নেই। কতৃপক্ষ তাদের ভুল বুঝতে পেরেছিলেন এবং ওই স্টিকি পোস্টটি পরবর্তীতে খুব দ্রুত সরিয়ে নেয়া হয়েছিল! যদিও এই ব্যপারে তারা কিছু হাস্যকর বক্তব্য দিয়ে নিজেদের সাফাই গাওয়ার চেষ্টা করেছে! আর খুজে খুজে ওই পোস্টের অসাধারন কিছু কাউন্টার পোস্ট ড্রাফট বা লেখককে ব্যন করা হয়েছে। আমারটা কেন ড্রাফট হল না বুঝলাম না! আর ওই বিশেষ পোস্টটি এখনও বহাল তবিয়তে আছে! তথাকথিত বিপ্লবীদের প্রতি সামু কতৃপক্ষের বিশেষ দৃষ্টি থাকবেই। তারাই ত সামুকে তুলে ধরে রেখেছে! ) এই সেই ঐতিহাসিক পোস্ট !
বাংলাদেশ দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন ছিল প্রথম দিকে। আজ ১২তম তে এসে ঠেকেছে। গতবারও ছিল ১৩তম। প্রশ্ন থাকতে পারে এই দুর্নীতির দায়ভার কার?
দেশটি কৃষিনির্ভর। প্রধান রপ্তানীপন্য গার্মেন্টস। অর্থাৎ যারা কৃষক মজুর তারাই দেশের অর্থনীতিকে ধরে রেখেছেন। কিন্তু এটা ত উৎপাদন হল। ব্যবসা টা করছে কে? ব্যবসায়ীরাই ত? যেহেতু দুর্নীতির এই সূচক আর্থিক দিককে বিবেচনায় রেখে করা হচ্ছে তাই দায়ভার প্রধানত ব্যবসায়ীদের। ব্যবসায়ী অর্থাৎ সরকারের বাইরে যারাই পেটের ধান্ধা করে, বেঁচে থাকার লড়াই করে, রুটি রুজির জন্য উদয়ান্ত পরিশ্রম করে, হোক সে বেতনভুক্ত, কিন্তু শ্রমিক বা মজুর নয়। যে বেকার নয় সেই ধান্ধাবাজ!
দুর্নীতির আরেকটি দিক হচ্ছে সেবাখাত। অর্থাৎ ব্যবসাবহির্ভূত সরকারী সেবা। সেই দুর্নীতির দায়ভার রাজনৈতিক সরকার আর সরকারী আমলাদের। তাছাড়া সরকারই দেশের নেতৃত্ব দেন। সরকারের নেতৃত্ব ঠিক থাকলে এমন দুর্নীতি ত হওয়ার কথা না।
আমাদের রাষ্ট্র দাড়িয়ে আছে একদিকে এই ব্যবসায়ী (রুটি রুজি ও আশ্রয়ের জন্য অর্থ উপার্জনকারী ধান্ধাবাজ) এবং সরকার আর আরেকদিকে কৃষক-মজুরদের নিয়ে, যারা উৎপাদন করছে। তাহলে কি দাঁড়াল? ব্যবসায়ী (বেকার নয়, সাকার) আর সরকার হল শোষক শ্রেনী আর কৃষক-মজুররা হল শোষিত। এই শোষিতরাই হল সাধারন জনগন যারা যুগে যুগে শোষকদের দ্বারা পিষ্ট হচ্ছে। ব্যবসায়ী বা সরকার সাধারন জনগনের বাইরে থেকে এসেছে! আমরা যাই বলি না কেন সরকারই দেশ চালাচ্ছে এবং তারাই দুর্নীতি করছে। সরকার সকল মানুষের ভাত-কাপড়-আশ্রয়ের ব্যবস্থা বিনামূল্যে করতে পারছে না বলেই ব্যবসায়ী (সাকার) শ্রেনীর উৎপত্তি! সরকারই রাষ্ট্রের কান্ডারী, তারাই রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান! কেননা নির্বোধ জনগন রাষ্ট্রের শাসনভার হাতে তুলে নিতে পারছে না।
আসুন এই দুর্নীতিবাজদের এদেশ থেকে বের করে দেই। তাদেরকে ঘৃণা করি। তাদের নিয়ে বিদ্বেষ ছড়াই। দেশ থেকে বের করে দিয়ে নিজেরা দেশটাকে সাধারন জনগনের মধ্যে ভাগ করে দেই। উৎপাদন ত আমরাই করি। ওসব বসে বসে খাওয়া লোকদের প্রয়োজন নেই। নেতৃত্ব আবার কি জিনিস? দেশকে নেতৃত্বশূন্য করি। আমরা নিজেরাই জানি নেতৃত্ব দিতে। আগেও দিয়েছি। মুক্তিসংগ্রামে আমরাই যুদ্ধ করেছি। সব ঝড় আমাদের উপর দিয়েই গেছে। নেতারা চেয়ারে বসে বসে আলোচনা করেছে মাত্র। আগে ত সরকারকে দেশ থেকে বিতাড়িত করুন তারপরে না হয় ভাবা যাবে কি করা যায়। বিপ্লব করে নেই। আমরা খুব সুশৃঙ্খলভাবে দেশ চালাতে পারব। আমাদের কমরেডরাই যথেষ্ঠ! আমরা বিপ্লবী জাতি, সারাজীবন বিপ্লব করেই কাটিয়ে দেব!
দুর্নীতিবাজ নেতাদের আমরাই শাসনভার দিয়েছি। ভোটটা বিক্রি করেছি অল্প কয়টা টাকায়। সেটা কি আবার দুর্নীতি হল নাকি! সেটা ত আমাদের বোকামি। আমরা আজ ভুল বুঝতে পেরেছি। আসুন তাদের টেনে নামাই। বিপ্লবের ডাক দেই। আমরা সারাদিন খেটে দুবেলা খাব আর ওরা বসে বসে তিনবেলা খাবে? মানি না। বাংলাদেশে যারাই তিনবেলা খাচ্ছে বা এসি রুমে ঠান্ডা হাওয়ায় অফিসে বসে চেয়ার টেবিলে কাজ করছে আসুন তাদের দেশ থেকে বিদায় করি। দিন রাত চেয়ারে বসে থেকে উৎপাদন বাড়ে কতটুকু? তারা আমাদের অন্নে ভাগ বসিয়েছে। আমরা নিজেরাই উৎপাদন করব নিজেরাই ভোগ করব আর ভোগের নৈর্বদ্য সাজাব কমরেডদের জন্য! এই দুর্নীতির কারনে পরোক্ষভাবে প্রতি বছর অনেক সাধারন মানুষের মৃত্যুও হচ্ছে। এই মৃত্যুর বদলা চাই। চেয়ারে বসা লোকজনের দরকার টা কি? দুর্নীতি কম আছে এমন কোন দেশের সরকারকে বসিয়ে দিলেই হয়। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি অবিবেচনা প্রসূত বিদ্বেষ প্রদর্শন করে আমরা ত তাদেরকেই ডেকে আনছি! নাহ, বিদ্বেষ অবিবেচনাপ্রসূত নয়, এটা আমাদের অতিরিক্ত বুদ্ধি(জীবিতা)র ফসল!
আসুন শুরু করি শ্রেনী সংগ্রাম। ইটের দালান থেকে ইট গুলো খুলে নিয়ে আসি। দেশ অস্থিতীশীল হোক তাতে কি? এত বিবেচনাবোধ বা দায়িত্ববোধের পরিচয় দেয়ার দরকার কি? আমরা একদিনেই সব সমস্যার সমাধান করে ফেলব।
দেশ শাসন করুক বি্প্লবী কমরেডরা !
বিপ্লব দীর্ঘজীবি হোক !!
(গতকাল একই ধরনের বিদ্বেষমূলক একটি পোস্ট স্টিকি হয়েছে যেখানে রাষ্ট্রের একটি প্রতিষ্ঠান সেনাবাহিনীর প্রতি বিদ্বেষ প্রদর্শন করা হয়েছে। যদিও ঐ পোস্টের লেখক এই ব্লগে অনেক খ্যতনামা। তার সমকক্ষ হয়ে তার মানের (!) লেখা আমি লিখতে পারিনি। কিন্তু সময়োপযোগী বিষয় তাই সামু মডারেশন বোর্ডের কাছে আমার অনুরোধ থাকবে এই পোস্টটিও স্টিকি করা হোক! দেশের দুর্নীতির খবর লুকিয়ে লাভ কি? লজ্জার কি আছে? বরং সবাই মিলে আলোচনা – সমালোচনা করা যেতে পারে। এর মানে এই নয় যে সামু রাষ্ট্রীয় প্রাতিষ্ঠানগুলির বিপক্ষে। ব্লগ লিখেই আমরা দুর্নীতিকে পরাজিত করব!
জানি এই পোস্ট স্টিকি হবে না। ভাল লিখলেও হত না। আমরা সাধারন নির্বোধ ব্লগাররা ত আর এলিট মজুর নই। সামুতে এলিট মজুররাই সকল ক্ষমতার মালিক।
যারা পোস্টটি স্টিকি দেখত চান নিয়মঅনুযায়ী ফিডব্যকে গিয়ে আপনার অনুরোধ জানাতে পারেন। পোস্ট স্টিকি হোক জাতীয় কমেন্ট করে লাভ নেই। মডারেটর জানিয়েছেন স্টিকি করা হয় ফিডব্যাকের ভিত্তিতে। কোন পোস্টের বিষয়ে ফিডব্যাক এলে (পোস্টে স্টিকি করা হোক জাতীয় নয়) সেই পোস্টের মেধা, উপস্থাপনা ও সমসাময়িক তাৎপর্য বিবেচনায় পোস্ট স্টিকি করা হতে পারে।)
প্রথম আলোতে প্রকাশিত সংবাদটি ঈষৎ সংক্ষেপিত ভাবে তুলে দেয়া হল।
বাংলাদেশে দুর্নীতি কমেনি
দুর্নীতির ব্যাপকতা সবচেয়ে বেশি—এমন দেশগুলোর তালিকা থেকে বের হতে পারছে না বাংলাদেশ। এ বছর ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) দুর্নীতি ধারণা সূচকে (করাপশন পারসেপশনস ইনডেক্স বা সিপিআই) বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বাদশ। ১০ নম্বরের (স্কোর) মধ্যে বাংলাদেশ পেয়েছে মাত্র ২ দশমিক ৪। গত বছরও তা-ই ছিল। তবে গতবার অবস্থান ছিল ১৩তম।
এর আগে ২০০৬ সালে দুর্নীতিতে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল তৃতীয়, ২০০৭ সালে সপ্তম এবং ২০০৮ সালে দশম। তার আগে ২০০১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের অবস্থান প্রথম ছিল। যে দেশগুলোর পয়েন্ট ১০-এর মধ্যে ৩ বা তার চেয়ে কম, সিপিআই অনুযায়ী সেই দেশগুলোতে দুর্নীতির ব্যাপকতা সবচেয়ে বেশি। আর যে দেশের পয়েন্ট যত বেশি অর্থাৎ ১০-এর কাছাকাছি, সে দেশে দুর্নীতির ব্যাপকতা তত কম।
বার্লিনভিত্তিক আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা টিআই গতকাল মঙ্গলবার একযোগে সারা বিশ্বে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে। জাতীয় প্রেসক্লাবে গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বাংলাদেশে এটি প্রকাশ করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
বাংলাদেশের সঙ্গে এবার যৌথ অবস্থানে আছে আজারবাইজান, হন্ডুরাস, নাইজেরিয়া, ফিলিপাইন, সিয়েরা লিওন, টোগো, ইউক্রেন ও জিম্বাবুয়ে। ১৭৮টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩৪।
প্রতিক্রিয়া: এ বছরের সূচকের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে টিআইবির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান এম হাফিজউদ্দিন খান বলেন, ‘আমাদের সৌভাগ্য যে, পরিস্থিতি খারাপ হয়নি। আর দুর্ভাগ্য পরিস্থিতি ভালো হয়নি।’ তিনি বলেন, সরকার তথ্য অধিকার আইন করাসহ কিছু কিছু ভালো উদ্যোগ নিয়েছে। এ কারণে হয়তো গত বছরের চেয়ে দুর্নীতি বাড়েনি।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘বাংলাদেশের এবারের স্কোর সমপর্যায়ে থাকাটা হতাশাজনক। বাংলাদেশে এখন যে সরকার, তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে দুর্নীতিবিরোধী দৃঢ় অবস্থান ছিল। আমরা ভেবেছিলাম অবস্থানের উন্নতি হবে। সরকারের শুরুতেও সেই মনোভাব ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটি নেই।’
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ভবিষ্যতে বাংলাদেশের অগ্রগতি হবে কি না, সেটি নির্ভর করছে সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছার ওপর। বিশেষ করে, জাতীয় সংসদ, দুর্নীতি দমন কমিশন, নির্বাচন কমিশন, তথ্য কমিশন, বিচার বিভাগ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সরকারি প্রশাসন এবং মানবাধিকার প্রশাসনের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো যদি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও সৎভাবে কাজ করতে পারে, সেটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
টিআইবি ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য মোজাফ্ফর আহমদ বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় এসে সংসদে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলেছিলেন। সব সাংসদের হিসাব জমা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অর্থমন্ত্রী ছাড়া কেউ এখন পর্যন্ত হিসাব দেননি। বারবার এই প্রক্রিয়া আটকে যাচ্ছে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, প্রতিবেদনে ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১০ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ের প্রতিফলন হয়েছে। এখন যা হচ্ছে, তার প্রতিফলন আগামী বছর থাকতে পারে।
মোজাফ্ফর আহমদ বলেন, ভিন্ন নামে এখনো চাঁদাবাজি চলছে। বিভিন্ন সংসদীয় কমিটিতে ব্যবসায়ীরা আছেন। দুদক এখনো ঠিকভাবে কাজ করতে পারছে না। প্রতিবছরই কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। এগুলো ভালো লক্ষণ নয়।
এম হাফিজউদ্দিন বলেন, শুধু বক্তব্য-বিবৃতি দিলে হবে না। সরকারকে দুর্নীতি দমনের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে হবে। এ জন্য সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
সূচকে ব্যবহূত তথ্য: সিপিআইয়ে ব্যবহূত তথ্যের মূল প্রতিবাদ্য বিষয়গুলো হলো: দুর্নীতি ও ঘুষের আদান-প্রদান, স্বার্থের দ্বন্দ্ব ও তহবিল অপসারণ, দুর্নীতিবিরোধী উদ্যোগ ও অর্জনে বাধা দান, ব্যক্তিগত বা রাজনৈতিক দলের স্বার্থে সরকারি পদমর্যাদার অপব্যবহার, প্রশাসন, কর আদায় ও বিচার বিভাগের কাজে বিধিবহির্ভূত অর্থ আদায় এবং সর্বোপরি এ ধরনের অনিয়ম প্রতিরোধে ও দুর্নীতি সংঘটনকারীর বিচার করতে সরকারের সামর্থ্য, সাফল্য ও ব্যর্থতা।
রাজনীতি ও প্রশাসনে বিরাজমান দুর্নীতির ব্যাপকতা সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণার ওপর ভিত্তি করে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের দুর্নীতির তুলনামূলক অবস্থান নির্ণয়ে এ সূচক ব্যবহার করা হয়।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, অন্তত তিনটি আন্তর্জাতিক জরিপ না থাকলে টিআইর প্রতিবেদনে কোনো দেশকে অন্তর্ভুক্ত করা হয় না। কিন্তু সিপিআই-২০১০-এর জরিপে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে তথ্যসূত্র হিসেবে সাতটি আন্তর্জাতিক জরিপ ব্যবহূত হয়েছে।
টিআইর প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের পয়েন্ট কম মানে এই নয়, বাংলাদেশের মানুষ সবাই দুর্নীতি করে। বরং আপামর জনগণ দুর্নীতির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ও ভুক্তভোগী। এ ছাড়া ক্ষমতাবানদের দুর্নীতি ও তা প্রতিরোধে দেশের নেতৃত্ব ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যর্থতার কারণে দেশ ও জনগণকে কোনোভাবেই দুর্নীতিগ্রস্ত বলা যাবে না।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই নভেম্বর, ২০১০ সকাল ১০:৩৮