লোকটার বদ অভ্যাস একটাই! সেটা হলো বিভিন্ন জায়গাতে, লোক সমাবেশে তাঁর
বিশৃঙ্খলার সাথে বায়ু নির্গত করা।
বায়ু ছাড়লেও পরিবেশ বুঝে ছাড়া উচিৎ। একটু চাপিয়ে চুপিয়েও তো ছাড়া যায়।
তা নয় সে বিকট শব্দে বায়ু পরিত্যাগ করবে!
মনীব "জোয়াদ্দার সাহেব" তাঁকে কয়েকবার সাবধান করেছে।
কিন্ত কে শোনে কার কথা! সে বায়ু চাপিয়ে রাখতে পারে না।
গাড়ি চালায় আর মাঝে মাঝে নিতম্ব উঁচিয়ে বায়ু বিসর্জন দেই। পিছে বসে
"জোয়াদ্দার সাহেব" হাত দিয়ে নাক বন্ধ করে রাখে।
এসির বাতাস দুষিত হয়ে যায়। জোর পূর্বক বাঁচার জন্য গাড়ির জানালা খুলে দেই
"জনাব জোয়াদ্দার। অনেক পুরনো সম্পর্কের তাই চাকরী থেকে বাদও দিতে পারে না।
সেদিন জোয়াদ্দার সাহেবের অফিসে মিটিং চলছিল। হঠাৎ মিটিং রুমে
"অমেদ আলীর" ডাক পড়ে।
জনাব, জোয়াদ্দার সাহেব" অমেদ আলীকে বলে গাড়িতে ভুল করে মোবাইল
ফোনটা রেখে এসেছে, সেটা নিয়ে আসতে।
"অমেদ আলী" গাড়ি থেকে মোবাইল ফোনটা নিয়ে এসে মিটিং রুমের এক জায়গাতে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে। জোয়াদ্দার সাহেবের ব্যাস্ততা দেখে কিছু বলার সাহস পায় না।
কয়েকবার ফোনের কথা বলতে যায়, বলতে পারে না। এক পর্যায়ে ইশারাতে জোয়াদ্দার সাহেব তাঁকে চেয়ারে বসতে বলে।
দরজার পাশের চেয়ারটাতে অমেদ আলী বসে বসে ঝিমাচ্ছে। এসির ঠাণ্ডা বাতাসে শরীর কাবু হয়ে আসছে। এক একবার ঝিমাতে ঝিমাতে পড়ে যাবার উপক্রম হয়, পুনরায় আবার ঠিক হয়ে বসে।
হঠাৎ ঘটলো আজব এক ঘটনা। মুহূর্তের মধ্যে মিটিং রুম খালি। উপস্থিত সবাই ভেবেছিল বোম ফুটেছে! কিন্ত না। এটা "অমেদ আলীর" বিখ্যাত "পাদ" ছিলো। এটার আওয়াজ এতটাই প্রকাণ্ড ছিলো
যে "অমেদ আলীর" চেয়ারই দুমড়ে মুচড়ে যায়! :3
পরদিন সকালে অফিসের পিওন অমেদ আলীকে ডেকে বলছে,
"এমন পাদা পাদলিরে তুই অমেদ আলী ড্রাইভার,
পাদের চোটে চেয়ার ফাটে চমকে ওঠে জোয়াদ্দার! :O