স্যাটেলাইটের তরঙ্গবাহিত আমার স্বপ্ন। আসমানী আশায় লালায়িত। প্রবল আকাঙ্খায় বারংবার একচিলতে রামধনুর মাঝে হারাতে চায়। মাত্র একবার হারিয়েছিল। তোমার মনে আছে প্রিয়ংবদা? স্বপ্নের আনমনা তর্জনী তোমার ভয়ংকর তিলটি ছুয়েছিল। তারপর? তারপর লাজুক কাল্পনিক হাসি হেসেছিলে তুমি। জলতরঙ্গ হাসি তোমার। শেষমেষ তুমি বলেছিলে “বোকা স্বপ্ন”।
তোমার জলতরঙ্গ হাসির অর্থ আমি খুজেছিলাম। খুজেও পেয়েছি। আমার বোকা স্বপ্ন পারেনি। বোকারা সর্বদাই জলকেলিতে অজ্ঞ হয়ে থাকে। প্রকৃতির স্বাদ ওরা চিনেনা। ব্যাপারটা সাংঘর্ষিক। তুমি সংঘর্ষ। তুমি আমার সাদাসিদে স্বপ্নটাকে সাংঘর্ষিক বানিয়েছ।স্যাটেলাইটের চিলেকোঠায় তুমি তাকে কৃত্রিম সহবাসে নামিয়েছিলে। সে আর কখনোই বেহুলা-লখিন্দরের বাসরে ফিরতে পারবেনা।
জলপাই রং কি তোমার খুব পছন্দ, প্রিয়ংবদা? আমার সাদাসিদে স্বপ্নটা এখনও জলপাই রঙের অন্ধকারে তোমার ভয়ংকর তিল খুজে। রক্তিম কদম্বের জন্য প্রলাপ বকে। তুমি কি তাকে রক্তিম কদম্বের স্বাদ দিয়েছিলে? তোমার রামধনুর প্রতিটি ঝলকে কত শত কদম্ব ফুটে আমি জানি। জানল না শুধু আমার সাংঘর্ষিক বোকা স্বপ্নটা।
শাদা পানকৌড়ির ডানায় চড়ে তুমি এসেছিলে। শাদা বসন, শাদা বেলীর খোপা। সেই থেকে শাদা রঙ আমার চক্ষুশূল। এখন আমি স্বপ্নের সাথে সাংঘর্ষিক। আমার স্বপ্ন আমার কারাগার। আমায় মুক্তি দাও। আমি মুক্তি চাই।