তেমনি একটা বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে এক ডাক্তারের আত্মহত্যার কাহিনী। আমি মনে করি আমাদের সকল ব্যার্থতার দায় আমাদের নিজেদের, কেউ যদি আমাদের ঠকিয়েও যায় তবুও। একজনের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে দেশের আপামর জনগণের যে উৎসাহ, আর জাতীয় পত্রিকা গুলির এই সংবাদ প্রচারের যে উদ্দীপনা তা সত্যিই লজ্জার।
যে মানুষ নিজের সামর্থ্য না বুঝে কাউকে প্রতিজ্ঞা দেয়, যে নিজের কাছের মানুষকে বছরের পর বছর ধরে চিনতে পারেনা এমনকি নিজের প্রতি অন্যায় হতে দেখেও সহ্য করতে বাধ্য হয় তার আসলেই বেঁচে থাকার কোন মানে নাই। এমন অথর্ব মানুষ যারা নিজের জীবনে শান্তি আনতে পারেনা তারা অপরের জন্য কি করবে? অনেকেই দেনমোহরের টাকার প্রশ্ন তুলেছে, আচ্ছা আমরা যখন কিছু বিক্রি করতে যাই তখন কি ইচ্ছে করে কম দামে বিক্রি করি? আবার যখন কিনতে যাই তখন কি ইচ্ছে করে বেশি দামে কিনে আনি? এবার সবাই আমার মুণ্ডুপাত করবে আর বলে বিয়ে কোন বেচাকেনা না, তাহলে ভাই এই লাখ লাখ টাকার মানে কি? আর যার এই টাকা দেয়ার ক্ষমতা নাই সে কেন মেনে নেয়?
আমাদের এই নাবালক জাতি এখনো নিজেদের সংস্কারের দিকে মন না দিয়ে অপরের ভুল নিয়ে গল্প করতে পছন্দ করে, যা আমাদের দিনে দিনে উন্নতির দিকে না নিয়ে অবনতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আমাদের পরিবার এবং সমাজ ছোট বেলা থেকেই আমাদের পরনির্ভরশীলতা শিখায়। এখনো একটা মেয়ে এই মানসিকতা নিয়ে বড় হয় যে একদিন সে আরেক জনের বউ হয়ে সংসার করবে। তার নিজের জীবন বলতে কিছু যে আছে সেটা মনে রাখেনা। এই পরনির্ভরশীলতা আমাদের মাঝ থেকে যতদিন বিলুপ্ত না হবে, সবাই নিজের ভার নিজে না বহন করবো ততদিনে এমন সব ঘটনা বন্ধ হবেনা।
আমাদের সকলের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক, অপরের না নিজেদের ভালোমন্দ নিয়ে চিন্তা করার আলোচনা করার ইচ্ছে হোক।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৮