somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

আজকের ডায়েরী- ১৩৪

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ছবিঃ আমার তোলা।

আমি যে এলাকায় বাজার করি-
সেই বাজার ভেঙ্গে দিয়েছে সিটি করপোরেশন। ছোটবেলা থেকেই আমি এই বাজারে নিয়মিত বাজার করি। কমপক্ষে এই বাজারের বয়স ৫০ বছর। বাজারের সমস্ত বিক্রেতারা আমাকে চিনে, আমিও তাদের চিনি। দীর্ঘদিন ধরে আমি এই বাজারেই বাজার করি। বিশাল বাজার। এক বাজারেই সব পাওয়া যায়। মাছের বাজার আছে, মূরগীর বাজার আছে, কামার, কুমার, তাতী। এক বাজারেই সব পাওয়া যেতো। অসংখ্য দোকান। অন্যান্য বাজার থেকেই এই বাজারে জিনিসপত্রের দাম কিছুটা কম। আমি ছোটবেলা থেকেই এই বাজারে বাজার করি। বাজার করতে আমার ভালো লাগে। বহু পুরাতন বাজারটা ভেঙ্গে দিয়েছে। অসংখ্য ব্যবসায়ী একদিনের মধ্যে বেকার হয়ে গেলো। এত এত দোকানদার এখন কোথায় যাবে?

বাজার ভাঙ্গার কাহিনী হচ্ছে-
সিটি করপোরেশন বলছে বাজারের জায়গাটা তাদের, এদিকে রেলওয়ে বলছে জায়গাটা তাদের। দুইপক্ষ কোর্টে গেলো। মামলা চললো দীর্ঘদিন। গত তিন মাস ধরেই শুনছি বাজার ভেঙ্গে দিবে। ভেঙ্গে দিবে। সেদিন বাজারে গিয়ে দেখি বাজার ভেঙ্গে দিয়েছে। ব্যবসায়ীরা তাদের মালসামান সরাতে সময় পর্যন্ত পায়নি। সিটি কর্পোরেশন পুরো বাজার ভেঙ্গে ফেলল। এখন এখানে বিশাল এক বিল্ডিং হবে। বিল্ডিং এ বাজারের পুরাতন দোকানদারদের কিছু দোকান দেওয়া হবে। আর বিল্ডিং এর কাজ শেষ হতে ২/৩ বছর লাগবে। ব্যবসায়ীদের মন খারাপ। কেউ কেউ রেলওয়ের কলোনীর চিপায় চাপায় অস্থায়ী হবে দোকান খুলেছে। আমাকে দেখেই তারা ডাকলো। তাদের মন ভীষন খারাপ। এখন বাজার করতে আমাকে দূরে যেতে হবে।

আমার পায়ে ব্যথা। টানা তিন দিন ধরে ব্যথা।
হাটলেই ব্যথা করে। শুয়ে বা বসে থাকলে ব্যাথা করে না। কেন ব্যথা করছে সেই কারনটা খুজে পাচ্ছি না। যদি সিড়ি থেকে পা পিছলে পড়ে যেতাম, তাহলে একটা কথা ছিলো। তিন দিন ধরে খুড়িয়ে খুড়িয়ে হাঁটছি। এখনও ডাক্তারের কাছে যাইনি। একটু সমস্যা হলেই ডাক্তারের কাছে দৌড়ে যাবো আমি এমন মানুষ না। গত দশ বছর ডাক্তারের কাছে যাইনি। যাইহোক, সেদিন ইনকাম টেক্স অফিসে গিয়েছি। ৩১ তারিখ কাগজ জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিলো। সেদিন আমার হাটাহাটিটা অনেক বেশি হয়ে গিয়েছিলো। রাস্তায় জ্যাম থাকার কারনে গন্তব্যে হেঁটে হেঁটে গিয়েছি। আর জুতটা টাইট ছিলো। এরপর থেকেই পায়ের গোড়ালিতে ব্যথা। ছোট ভাইয়ের বন্ধু আছে, ডাক্তার। সে আবার আমার মহা ভক্ত। আগামীকাল তার চেম্বারে যাবো।


আজ শুক্রবার। দুপুরে তেহারি খেলাম।
এই তেহারি আমাদের বাসায় রান্না হয় নাই। ঘটনা হলো- আমাদের এলাকায় একলোক বাড়ি করছে। সাত তলা বাড়ি হবে। বাড়িতে লিফট থাকবে। সেই লোক তার বাড়ির ছাদ ঢালাই দিয়েছে। এই উপলক্ষ্যে তেহারী রান্না করেছে তিন ডেগ। আমাদের বাসায় বড় দুই বোল পাঠিয়েছে। রান্না ভালো হয়েছে। একদম আসল স্বাদ। মাংসের পরিমান ভালো ছিলো। দুপুরে প্রচুর তেহারি খেলাম। এই লোকের ঢাকায় আরো তিনটা সাত তলা বাড়ি আছে। একসময় এই লোক সৌদিতে আতর, তজবি আর জায়নামাজ বিক্রি করতো হাজীদের কাছে। সুরভি বাসায় নেই। সে তার বাবার বাড়ি গেছে। এক সপ্তাহ সেখানে থাকবে। ফারাজা ফোন দিয়ে বলছে, বাবা আসো। আমরা রিকশায় করে ঘুরবো। কন্যা গাড়ির চেয়ে রিকশা বেশি পছন্দ করে।

এবছর আমি বইমেলাতে যাবো না।
বানিজ্য মেলাতেও আমি যাই নাই। লোকজন পাগলের মতো তিন শ' ফিট যাচ্ছে। ছবি তুলছে, টিকটক করছে। বিকেলের দিক থেকেই ভিড় হতে শুরু করে। আমি বুঝি না সরকার নতুন রাস্তা করেছে, সেখানে গিয়ে কেন ছবি তুলতে হবে, টিকটক ভিডিও করতে হবে? টিকটক মানুষকে কুলাঙ্গার বানিয়ে দিচ্ছে। কতিপয় টিকটকারদের আমার জুতা দিয়ে মারতে ইচ্ছা করে। মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব, সেই মানুষ কেন এতটা নিলর্জ হবে। বর্তমান প্রজন্ম নিয়ে আমি হতাশ। এরা জাতিকে কিছু দিতে পারবে না। মেট্রোরেল, টার্নেল, সেতু, রাস্তাঘাট সব বিদেশীরা এসে করে দিয়ে যাচ্ছে। দেশের লোকজন কোরআন হাদীস নিয়ে ব্যস্ত। কোরআন হাদীস দিয়ে তারা দেশ ও দশের উপকার করতে পারছে না।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৮
১৭টি মন্তব্য ১৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পাগলের প্রলাপ' যখন সত্যি হয়......

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:১৯

'পাগলের প্রলাপ' যখন সত্যি হয়......
[/সব

আমার এক মামা ততকালীন পূর্ব পাকিস্তানে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে জব করতেন হোটেলের শুরু থেকেই। সেই মামা মাঝেমধ্যে আমাদের জন্য হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল থেকে মুখরোচক কেক, পেস্ট্রি ছাড়াও বিভিন্ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তার চাওয়া পাওয়ার কিছু ছিল না, তবুও

লিখেছেন খাঁজা বাবা, ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৩২



শেখ হাসিনার নাকি বায়ক্তিগত চাওয়া পাওয়ার কিছু ছিল না। শেখ মুজিবের বেয়ে নাকি দুর্নীতি করতে পারে না। সে এবং তার পরিবার যে হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি করতে পারে... ...বাকিটুকু পড়ুন

দেশের বর্তমান পরিস্থিতি সংক্রান্ত বিষয়ে সামু কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি

লিখেছেন সাড়ে চুয়াত্তর, ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৬

ছাত্র-জনতার সম্মিলিত অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গত ৫ আগস্ট, ২০২৪ তারিখে ফ্যাসিস্ট হাসিনা এবং তার দলের পতন ঘটানো হয়। এটা আমাদের একটা জাতীয় গৌরবের দিন। এটা নিয়ে কারও সন্দেও থাকলে মন্তব্যে লিখতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জ্বীনভুতে বিশ্বাসী বাংগালী ও ঢাকায় ৫০ হাজার ভারতীয় একাউন্টটেন্ট

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৩




ব্লগার সাড়ে চুয়াত্তর ব্লগে লিখেছিলেন যে, উনার ভগ্নিপতিকে জ্বীনেরা তুলে নিয়ে গিয়েছিলো; ২ সপ্তাহ পরে ভগ্নিপতিকে দিয়ে গিয়েছে; এই লোক, সামুর কাছে আমার বিরুদ্ধে ও অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

বেছুর নিজস্ব একটি জ্বীন ছিলো!

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:২৪



আমাদের গ্রামের খুবই সুশ্রী ১টি কিশোরী মেয়েকে জংগলের মাঝে একা পেয়ে, প্রতিবেশী একটা ছেলে জড়ায়ে ধরেছিলো; মেয়েটি ঘটনাকে সঠিকভাবে সামলায়ে, নিজের মাঝে রেখে দিয়েছিলো, এটি সেই কাহিনী।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×