ব্লগার সাড়ে চুয়াত্তর ব্লগে লিখেছিলেন যে, উনার ভগ্নিপতিকে জ্বীনেরা তুলে নিয়ে গিয়েছিলো; ২ সপ্তাহ পরে ভগ্নিপতিকে দিয়ে গিয়েছে; এই লোক, সামুর কাছে আমার বিরুদ্ধে ও অন্য অনেক ব্লগারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে। আমি ইহার প্রতিবাদ করছি।
শেখ হাসিনার সরকারের মানুষজন দেশের সম্পদ ডাকাতী করে দেশের অর্থনীতিকে পংগু করেছে ২০১৪ সালের পর থেকেই; শেখ হাসিানর পেছনে স্বাধীনতাকামীদের সাপোর্ট ছিলো; কারণ, দেশের সামরিক বাহিনী ক্যু'এর মাধ্যমে উনার পিতাকে হত্যা করে দেশে সামরিক শাসন চালু করে ছিলো । সামরিক শাসক জিয়া, ক্যান্টনমেন্টে বসে আইয়ুবী কায়দায় ১টি রাজনৈতিক দল গঠন করেছিলো শেখের কবরের উপর; এর পরে, দেশের স্বাধীনতা-বিরোধী: মুসলিম লীগ, জামাতে ইসলামীর পতিত নেতাদের নিয়ে সিভিলিয়ান সাইনবোর্ড লাগায়, "বিএনপি"; স্বাধীনতা-বিরোধীরা এই সাইনবোর্ডের নীচে এসে জমা হয়।
এর পর জিয়া পশ্চিম পাকিস্তানে লুকিয়ে থাকা জামাতকে দেশে নিয়ে আসে; জাতির ২০/২৫ ভাগ স্বাধীনতা-বিরোধরা, যারা অখন্ড পাকিস্তানে বিশ্বাস করতো, ৫৫ হাজার রাকাকার ও ১ লাখ শান্তি কমিটিে লোকদের পরিবার শেখ হত্যাকে স্বাগত জানিয়ে জিয়া সাপোর্টার হয়।
শতকরা ২০ ভাগ লোক ও মিলিটারীে সাহায্যে ভোটের রেজাল্ট বদলিয়ে জিয়া দেশ চালায়েছিলো ১৯৮১ সাল অবধি; এরপর জিয়াকে বাংলাদেশে মিলিটারীতে থাকা মুক্তিযোদ্ধা অফিসারেরা সরায়।
শেখের মেয়ে হিসেবে, শেখ হাসিনা দেশ চালানোের ভার পেয়েছিলো; উনি দেশের মোটামুটি উন্নয়ন করেছিলেন; কিন্তু উনার অজ্ঞতার কারণে উনার সরকারের লোকেরা দেশের বিপুল সম্পদ লুন্ঠন করে; মনে হয়, ইহাতে কৌশলে সাহায্য করেছে "স্বাধীনতা-বিরোঢীরাও" ( পাকিস্তানের আইএসআই)। শেখ হাসিনার পতনের দরকার ছিলো।
উনার পতনে পাকিস্তানের আইএসআই ও আমেরিকার হাত আছে। উনার পতন হয়েছে ভালো হয়েছে; কিন্তু দেশ সঠিক হাতে যায়নি। বর্তমানের অনিশ্চয়তার মাঝে একমাত্র ড: ইউনুস ছাড়া বাকীদের ভুমিকা সন্দেহজনক।
আজকের সভ্যতায়, সাড়ে চুয়াত্তরের মতো জ্বিনে বিশ্বাসীরা যে কোন সমাজের জন্য ভয়ংকর মানুষ।