এই বৃষ্টি ভেজা রাতে আজ অনেক ঘটনাই মনে পড়ছে, কোনটা রেখে কোনটা লিখি তা নিয়েও ভাবতে হচ্ছে! তবে প্রথম যে ঘটনা লিখতে ইচ্ছা হচ্ছে তা হচ্ছে শেখ হাসিনার পলায়নের শেষের কয়েক ঘন্টা! তিনি কিভাবে পাশের দেশে নিখুঁতভাবে পালিয়ে গেলেন। এই বিষয়ে এখন পিএইচডি থিসিস লেখা যায় কারন এটা পুরাই রহস্যময়। আমি এই ঘটনার বেশ লেখা ও ভিডিও দেখেছি শুনেছি, সাংবাদিকেরা খুব একটা যে চরম সত্য লিখতে পেরেছেন তা এখনো মনে হয় নাই, রুট সিলেকশন, কোথা থেকে দিল্লির গাজিয়াবাদ গেলেন, ফ্লাইট সহ ডিটেইলস অনেক কিছুতে মিল পাওয়া গেলেও একদম সত্য এখনো আসছে না, কল্পনা অনুমান নিয়েই লেখা, যদিও তার এই সাকসেস পালিয়ে যাওয়া পুরাই আমাদের আর্মিরা করে দিয়েছে, তবে এই আর্মিদের নাম দল হেড সব কিছুই এখনো গোপনে। যাই হোক, এই নিয়ে আমাদের কয়েকটা পত্রিকা লিখেছে গল্পের মত করে, মুল একুরেইট তথ্য নেই।
এই বিষয়ে সর্বশেষ সাংবাদিক গোলাম মুর্তাজা সাহেবের ভিডিওটা পুরা সত্য না বলা গেলেও এই ভিডিও ঘটনার বর্ননা কাছাকাছি বা বলা চলে এভাবেই শেখ হাসিনা পালিয়েছিলেন তা স্পষ্ট। যাই হোক, এই বিষয়ে একদিন স্পষ্ট এই অপারেশনের হেড কোন আর্মি অফিসার আমাদের লিখে বা ভিডিও করে জানাবেন বলে আশা রাখি, আর তখন সেটা ইতিহাসের পাতায় স্থান পাবে। তিনি এই দেশের ছাত্র জনতার ক্ষোভ থেকে প্রাণ বাঁচাতে পালিয়েছেন, এটা দিব্য সত্য কথা, তাকে এই দেশে তখন রক্ষা করার কেহ অবশিষ্ট ছিলো না, পালানোই ছিল একমাত্র পথ। তিনি যদি গণভবনে থেকে যাবার চেষ্টা করতেন তবে আরো হাজারো মানুষ অকাতরে প্রাণ দিতো, তিনি তার হারিয়ে ফেলা প্রধানমন্ত্রীত্ব পেতেন না বা তাকে পেলে জনতা কি করত কে জানে?
সেই দিন গণভবনে দুপুরের খাবার রান্না হয়েছিল, সাদা ভাত, দেশী মুরগী, সবজি সহ আরো অনেক পদের রান্না, যা পরে ভিডিওতে দেখেছি। যারা খেয়েছেন তাদের খাবার কথা ছিলো না, অথচ রিজিক তাদের টেনে নিয়েছে, আর যার জন্য রান্না হয়েছে তিনি সেই দিন দুপুরে কি খেয়েছেন তা এখনো অজানা, তবে পানি ছাড়া হয়ত আর কিছুই সেইদিন দুপুরে জুটে নাই, আর এই অবস্থায় সাধারন মানুষ হলে রুটি কলা বিস্কুট হয়ত ভাগ্যে জুটত!
যাই হোক, শেখ হাসিনার শেষ সময়ের এই ঘটনাকে প্রথম পলায়ন লিখে দৈনিক মানবজমিন, তাদের হেডিং ছিলো, 'দেশ ছেড়ে পালালেন হাসিনা-রেহানা'।
শেষে একটা কথা স্পষ্ট বলে যেতে চাই, শেখ হাসিনার অনেক জ্ঞান ছিলো, তবে সেটা সুপথের জ্ঞান ছিলো না, সব চিন্তা জ্ঞান ছিলো কুপথের, এভাবে এই চিন্তায় তিনি অনেক দিন মাস বছর শত হাজার মায়ের বুক খালি, প্রাণের স্বামী হারানো, ভালবাসার পিতার গুম খুন, সন্তানের জীবন নষ্ট করলেও নিজের পরিনতির সামান্য চিন্তা করতে পারেন নাই। অথচ যে সময় পেয়েছিলেন, তাতে তিনি দেশের সাধারন মানুষের মাথার মনি হয়ে উঠতে পারতেন, শুধু তার চারিপাশের নষ্ট চরিত্রদের শাসনে এনে, গরীব দুখি মানুষের জন্য সুশাসন প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করলেই, তিনি ভেতরে বাইরে কখনো এক ছিলেন না, কাকে ক্ষমা কাকে শাস্তি, তাতেও তার কোন দিশা ছিলো না!
ভালবাসার বাংলাদেশ নুতন করে এগিয়ে যাবে একদিন, যদি এরা না পারে তবে অন্যেরা এসে আবারো হাল ধরবে, আর এই সময়ে শেখ হাসিনার ফেলে যাওয়া দুই প্রধান ব্যক্তি যতদিন থাকবে বা তার সেটাপ অনেক প্রতিষ্ঠান হেড যতদিন থাকবে, ততদিন এখনো এই জাতির দুরাশা থাকবেই, অনেক কাজ এগুবেই না। বিপ্লবের পরে নির্ভীক স্পষ্ট একজন ব্যক্তির দরকার হয়, যে স্পষ্ট পুরানো পাপীদের বিচার ও শাস্তির বিচারে কোন পিছে মুড়েও দেখবে না, পুরানো পাপীদের স্থান হতে পারে জাহান্নামে, যারা পুরা দেশের কোটি কোটি মানুষকে বলা চলে পুরাই জিম্মি করে ফেলেছিল।
মালিবাগ, ১৫ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ইং
ভিডিওটা দেখতে পারেন।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:৩২