somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দেশের বর্তমান পরিস্থিতি সংক্রান্ত বিষয়ে সামু কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ছাত্র-জনতার সম্মিলিত অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গত ৫ আগস্ট, ২০২৪ তারিখে ফ্যাসিস্ট হাসিনা এবং তার দলের পতন ঘটানো হয়। এটা আমাদের একটা জাতীয় গৌরবের দিন। এটা নিয়ে কারও সন্দেও থাকলে মন্তব্যে লিখতে পারেন। মাস খানেকের এই আন্দোলনে ১ হাজারের অধিক মানুষ মারা গেছে, ১৮ হাজারের বেশী মানুষ আহত হয়েছে, পঙ্গু হয়েছে বা অন্ধ হয়েছে। এতো কিছুর পরেও কেউ যদি এই অভ্যুত্থানের বিপক্ষে অবস্থান নেয় সেই ক্ষেত্রে তাকে জাতীয় বেঈমান বলা উচিত বলে আমি মনে করি। ছাত্র-জনতার এই আন্দোলনের বিপক্ষে কেউ থাকলে দয়া করে তারা কারণ সহ মন্তব্য করতে পারেন। এই অভ্যুত্থানকে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীও সমর্থন দিয়েছে। এমন কি জাতিসংঘ সহ পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশ সমর্থন দিয়েছে। এখন কেউ যদি এই অভ্যুত্থানের মধ্যে ষড়যন্ত্র দেখেন তার মানে আপনি ষড়যন্ত্র তত্ত্বে বিশ্বাসী।

এই গণঅভ্যুত্থানের পরে গত ১ মাসে ব্লগে প্রচুর পরিমান পোস্ট এবং মন্তব্য আসছে যেগুলি গণঅভ্যুত্থান বিরোধী। সারা দেশের মানুষ যখন রাস্তায় নেমে এসে একটা সরকারের পতন ঘটায় তখন বুঝতে হয় যে ঐ সরকার বড় কোন অন্যায় করেছে। অনেকে বলতে পারেন যে এই অভভুত্থানে জামাত, শিবির এবং বিএনপি ছিল। যে কোন গণঅভ্যুত্থানে সর্বস্তরের মানুষ অংশ গ্রহণ করে থাকে। জামাত, শিবির বা বিএনপি তো জনগণের রাজনীতি করে তাহলে তারা কেন এই অভ্যুত্থান থেকে দূরে থাকবে। একমাত্র আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসর ছাড়া সবাই এই আন্দোলনে ছিল। তবে এই আন্দোলনের মূল ক্রেডিট হল ছাত্রদের। বাকিরা শেষের দিকে অংশ নিয়েছে।

জামাত, শিবির বা বিএনপির কারণে এই আন্দোলন সফল হয়েছে এটাও বলা ঠিক হবে না। আন্দোলনের মূল শক্তি ছিল সাধারণ ছাত্র-ছাত্রিরা। এই ধরণের একটা জনগণ সমর্থিত অভ্যুত্থানকে নিয়ে যারা কুৎসা রচনা করে, ষড়যন্ত্র খোঁজে তারা আসলে শেখ হাসিনার হত্যার সমর্থক। ব্লগে ইদানিং কয়েকজন দেশীয় ব্লগার এই অভ্যুত্থান বিরোধী কথা বলছেন কোন প্রমাণ ছাড়া। অনেকেই উস্কানি মুলক কথা বলছেন, অনেকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হওয়ার মত মন্তব্য করছেন। তাদের পোস্ট এবং মন্তব্যের স্বপক্ষে কোন প্রমাণ তারা উপস্থাপন করছেন না বরং অনুমান নির্ভর মনগড়া কথা তারা ব্লগে লিখছেন। বাক স্বাধীনতার নামে এই ধরণের উস্কানিমূলক কথা, ষড়যন্ত্র তত্ত্ব এবং প্রমাণহীন কথা বলা কখনই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। দেশের মানুষের ঐক্যের বিরুদ্ধে কথা সামু ব্লগে থাকুক এটা আমি চাই না। ঐক্য বলছি কারণ একমাত্র ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ছাড়া সবাই এই অভ্যুত্থানের পক্ষে অবস্থান নিয়ে এই সরকারের পক্ষে আছে। যারা এই ঐক্যকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে তারা জাতির শত্রু।

শুধু দেশীয় ব্লগার না কয়েকজন ভারতীয় ব্লগার একই কাজ করছে বা এই জাতীয় দেশীয় ব্লগারদের সমর্থন করে যাচ্ছে। আমি আশা করবো ব্লগ কর্তৃপক্ষ জনগণের ঐক্য বিরোধী এই ধরণের ব্লগারদের মন্তব্য এবং পোস্টের বিষয়ে পদক্ষেপ নিবে। আমি চাই না সামু ব্লগে গণ অভ্যুত্থান বিরোধী কোন কথা থাকুক। কারণ যারা গণঅভ্যুত্থানের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে তারা দেশের মানুষের ঐক্য চায় না। যে অভ্যুত্থান এবং নতুন এই সরকারকে সারা দেশের মানুষ এবং বিশ্বের বহু দেশ সাদরে গ্রহণ করেছে সেই অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে যারা লিখছে তারা আসলে দেশের ভালো চায় না। এদের বড় একটা অংশ আফসোসলীগের সমর্থক। সবচেয়ে বড় কথা কোন প্রমাণ ছাড়া উস্কানি মুলক কথা তারা বলছে, ষড়যন্ত্র তত্ত্ব তৈরি করতে চাচ্ছে এবং ফ্যাসিস্ট সরকারের পক্ষ নিচ্ছে। পৃথিবীর কোন দেশে সরকার পতনের পরে স্বৈরাচারী সরকারের পক্ষে কথা বলতে দেয়া হয় না বাক স্বাধীনতার নামে। বাক স্বাধীনতা যদি দেশের মানুষের ঐক্যে ফাটল ধরায় তবে সেটা বাক স্বাধীনতা না। সেটাকে অপরাধ হিসাবে গণ্য করা হয়। দেশের ঐক্য বিরোধী কথা কখনও বাক স্বাধীনতা হতে পারে না। আশা করি ব্লগ কর্তৃপক্ষ এই জাতীয় দেশী এবং ভারতীয় ব্লগারদের ব্যাপারে পদক্ষেপ নিবে। আমি নীচে এই ধরণের দেশের স্বার্থ বিরোধী কিছু মন্তব্য নমুনা হিসাবে দিলাম পাঠকদের সুবিধার জন্য। গত ১ মাসে আরও বহু পোস্ট এবং মন্তব্য এসেছে যেগুলি বাংলাদেশের মানুষের ঐক্য বিরোধী কথা।

অভিযোগ সমুহঃ

১। ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে এবারের জনগণের বিজয় এবং অভ্যুত্থানকে অনেকেই ব্যাঙ্গ, বিদ্রুপ করছেন। কোন প্রমাণ ছাড়া বানোয়াট এবং মনগড়া অভিযোগ করা হচ্ছে ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে। এটার অর্থ পরোক্ষভাবে হাসিনার ফ্যাসিস্ট সরকারকে সমর্থন করা। ফ্যাসিস্ট সরকারকে সমর্থন করা মানে বাক স্বাধীনতা না। বরং এটা একটা অপরাধের পর্যায়ে পড়ে। ছাত্রদেরকে জামাত শিবির বলা হচ্ছে । বলা হচ্ছে যে ছাত্ররা ট্রেনিংপ্রাপ্ত কমান্ডো – এরা এখন ভেড়ার চামড়া পড়ে ঘুরছে। আরও বলেছে, এরা বইয়ের কেহ নয়, এরা পাকি আইএসআই'এর কমান্ডো, ১৯৯৩ সালে এদের মতো লোকজনকে পাকীরা আফগানিস্তানে এক্সপোর্ট করেছিলো। একজন পোস্ট দিয়েছে, এই আন্দোলনের মাষ্টার-মাইন্ড হচ্ছে পাকিস্তান মিলিটারীর ইন্টেলিজেন্স। বলা হচ্ছে, কোন দেশের প্রতিটি তরুণ ২০০৯ সাল থেকে ফাঁষকরা প্রশ্নপত্র ক্রয় করছে? এরা কিসের তরুণ, এরা নেকড়ে। দেশের তরুণ সমাজকে নেকড়ে বলা হচ্ছে। এগুলি কিসের আলামত? আমাদের ভাবতে হবে। এরা কি দেশপ্রেমিক মানুষ?

কি প্রমাণ আছে এই বক্তব্যের সমর্থনে। প্রমান ছাড়া এই ধরণের কথা অত্যন্ত আপত্তিকর এবং সমাজ বিধ্বংসী। ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে হেয় করার জন্য প্রমাণহীন এই সব কথা ছড়ানো হচ্ছে।

কেউ বলেছেন ছাত্ররা দেশকে ধ্বংসের মুখে নিয়ে গেছে। কেউ বলেছেন যে ছাত্ররা জামাত শিবির এবং তারা এনারখি করছে । ছাত্রদের দ্বারা দুর্নীতিবাজ এবং দলবাজদের সরিয়ে দেয়ার কারণে এগুলি বলা হচ্ছে ছাত্রদের বিরুদ্ধে। কেউ বলেছেন যে কোমলমতিদের কি ঠেঙ্গায়ে মাঠ – ছাড়া করতে হবে? কেউ বলেছে, কোমলমতিরা টাকা আয় করেছে বস্তায় বস্তায়। আবার বলেছে, আদোলনকারীরা দীর্ঘ সময় প্ল্যান করে, জেনেশুনে, বেকুব সাধারণ ছাত্রদের পুলিশের রাইফেলের সামনে নিয়ে গেছে।

প্রমাণ ছাড়া এই ধরনের কথা বলার অর্থ গণ আন্দোলনের বিপক্ষ শক্তিকে (ফ্যাসিস্ট হাসিনার পক্ষের লোকদেরকে) উস্কে দেয়ার চেষ্টা। ব্লগে প্রমাণ ছাড়া কোন অভিযোগ কেউ করুক এটা চাই না। মনগড়া লাগাম ছাড়া কথা সমাজে অশান্তি তৈরি করছে এবং জনগণের ঐক্য নষ্ট করছে। সামু ব্লগে ফ্যাসিস্ট সরকারের পক্ষে কেউ কথা বলুক এটা দেখতে চাই না।

২। অনেকেই উস্কানিমুলক কথা বলছে এবং ষড়যন্ত্র তত্ত্ব হাজির করছেঃ যেমন,
মালাউনরা এই দেশে থাকতে পারে ।
তবে অবশ্যই জিজিয়া কর দিয়ে থাকতে হবে।
এছাড়া তাদের থাকার অন্য কোন উপায় নেই ।
এটা ইসলামী রাষ্ট্র ।
এর ধর্ম ইসলাম।

উপরের বক্তব্যটা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার এবং হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা বাধাবার একটা পরিষ্কার উস্কানি।

উস্কানিমুলক বক্তব্য আরও আছে। যেমন কেউ বলেছেন;

বাংলাদেশ আফগান হলে, বাঙালি তালিবানরা তাদের মহান ধর্মীয় আদর্শ দারা অনুপ্রাণিত হয়ে বাংলাদেশের হিন্দু বৌদ্ধদের নির্যাতন করবে, হত্যা করবে, রমণীদের ধর্ষণ করবে।তখন হিন্দু বৌদ্ধদের বাঁচাতে ভারত মায়ানমার বাধ্য হয়ে বাংলাদেশকে চিপা দিয়ে মমিন মুসলমানদের বিচি গালাইয়া দিবে।

৩। সরকার প্রধান ডঃ মুহাম্মাদ ইউনুসকে নিয়ে আপত্তিকর কথা বলা হচ্ছেঃ
যেমন;
একজন বলেছে, ট্র্যাম্প জিতুক, আমেরিকা অন্য দেশে নাক গলানো আর যুদ্ধে ইন্ন্ধন দেয়া বন্ধ করবে। আমাদের ইউনুস চুরা ধরা খেতে পারে।


৪। যাকে তাকে জামাত- শিবির ট্যাগ করা হচ্ছেঃ
যেমন; একজন বলেছে, আমি মওলানার আওয়ামী লীগের সামান্য সাপোর্টার; আপনি মওদুদীর শিষ্য; আমি বাংগালী সংস্কৃতির মানুষ, আপনি পাকি ও বেদুইন সভ্যতার অপভ্রংশ।

৫। ভারতীয় কয়েকজন ব্লগার উস্কানিমুলক কথা বলছেঃ

যেমন একজন বলেছে,
তোমরা বাংলাদেশের মানুষের এরা, সাধারণ মানুষ কে কয়েক হাজার মানুষ মিলে কুপিয়ে গণ হত্যা করছো, তারপরও জ্ঞান দিছেন,উৎসব কে কি করেছো, শালা পাপীর গোষ্ঠী, আর পরিস্কার করে শুনে রাখ ভারতে .বিনা পাসপোর্টতে আসতে গেলে আমরা মনে করবো তোমরা সন্ত্রাসী তো আসতে গেলে গুলি খাবার জন্য প্রস্তুতি নিয়েই আসবে।

দেশের আইন অনুযায়ী উৎসব নামের ছেলেটার উপর আক্রমণ সমর্থনযোগ্য না। উপরের এই ভারতীয় ব্লগার মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে। কারণ আইএসপিআর থেকে বলা হচ্ছে যে ছেলেটি এখনও জীবিত আছে। এই ব্লগার বাংলাদেশের মানুষকে গালি দিয়ে বলছে ‘শালা পাপীর গোষ্ঠী’। আবার হুমকি দিয়েছে যে আমরা যেন গুলি খাবার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে আসি। বিনা পাসপোর্টে গেলেই তাকে সন্ত্রাসী হিসাবে ধরে নেয়া হবে। এগুলি পরিষ্কার হুমকি।

বাংলাদেশের বন্যা নিয়ে ঠাট্টা করছে ভারতীয় ব্লগার, যেমন;

বাংলাদেশে বন্যাদুর্গতদের জন্য ৪০ লাখ ডলার বরাদ্দ ঘোষণা জাতিসংঘেরআহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে, ধন্য ধন্য নুতন পূর্ব পাকিস্তান

বাকস্বাধীনতার নামে এই ধরণের নির্দয় মন্তব্য শুনতে হচ্ছে।

উস্কানিমুলক কথা-ও বলছে ভারতীয় ব্লগার, যেমন;

আজকের দিনে ভারত আর শরণার্থী নিতে প্রস্তুত না হোক সে হিন্দু বা যে কোন জাতির সে ক্ষেত্রে 2027 শে অনেক ক্ষেত্রের মানচিত্রে পরিবর্তন দেখতে পারি
মানচিত্রের পরিবর্তন মানে কি? বাংলাদেশের মানচিত্রে পরিবর্তন আসবে ভারতের দিকে নাকি ভারতের মানচিত্রে পরিবর্তন আসবে বাংলাদেশের দিকে। অর্থ যেটাই হোক না কেন মানচিত্র পরিবর্তন একটা দেশের সার্বভৌমত্বের অংশ। এগুলির পক্ষে তার কাছে কি প্রমাণ আছে? কেন এই উস্কানিমুলক কথাগুলি বলা হচ্ছে।

ভারতীয় আরেকজন ব্লগার লিখেছেন;

আমাদের উৎসব!
সত্যিকারের উৎসব হবে গেঞ্জি (Gen_Z) জিহাদী পতনের পরে !

উনি বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার অভভুত্থানের বিরুদ্ধে এই কথা লিখেছেন। আর সাধারণ ছাত্রদেরকে জিহাদি বলেছেন। কি প্রমাণ আছে যে আমাদের ছাত্ররা জিহাদি। আমাদের গর্বের এই ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পতন হলে তারা উৎসব করবেন। উৎসব তখন ফ্যাসিস্ট হাসিনাও করবে। তারমানে এই ভারতীয় ব্লগার ফ্যাসিস্ট হাসিনার আদেশে সংঘটিত হত্যার সমর্থক। হত্যার পক্ষে এই ব্লগে কথা বলাটা কি ধরণের বাক স্বাধীনতা? বাক স্বাধীনতা মানে কি আমি হত্যাকারীর পক্ষেও কথা বলতে পারবো? হাসিনা যে হত্যাকারী এটা নিয়ে কি এখনও সন্দেহ কারও মনে আছে। সারা জাতি মিলে যে আন্দোলনকে সফল করা হল তার বিরুদ্ধেও কথা বলা যাবে? তাহলে ১৯৭১ সালে জামাতের কি দোষ ছিল। তারাও তো পাকিস্তানের পক্ষে বলেছিল। এখন অনেকে ফ্যাসিস্ট হাসিনার পক্ষে বলছে। তার মানে কি ব্লগে ফ্যাসিস্টের পক্ষে কথা বলা যাবে? এটার নাম বাকস্বাধীনতা? তাহলে ১৯৭২ সালে জামাতকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল কেন? তার মানে কি জামাতের অপরাধ অনেক বেশী ছিল আর আওয়ামী লীগের অপরাধ কম ছিল তাই তাদের করা অপকর্ম, হত্যা, ধর্ষণ, গুমের সমর্থনে কথা বলা যাবে?

অল্প সময়ের প্রস্তুতিতে পোস্টটা দিলাম। তাই পরিবেশন ভালো ছিল না হয়তো। তবে আশা করি ব্লগাররা আমার মূল বক্তব্য বুঝতে পারবেন। আর ব্লগ কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করবো আপনারা একটু শক্ত হন যারা দেশের ঐক্য বিরোধী কথা বলছে। এদের মধ্যে প্রতিহিংসা কাজ করছে। তাই ছাত্র জনতার ঐক্যের এই আন্দোলনকে তারা সহ্য করতে পাড়ছে না। তারা চায় আবার একটা প্রতি–বিপ্লব হোক। এরা বাংলাদেশের ভালো চায় না। তাই বাক স্বাধীনতার নামে এই সব প্রমাণহীন মন্তব্য, উস্কানিমুলক কথা, মিথ্যা তথ্য যেন কেউ ছড়াতে না পারে। আমি চাই না সামু ব্লগ বাক স্বাধীনতার নামে এই ধরণের কুলাঙ্গারদেরকে কথা বলার সুযোগ দিক। ১৯৭১ সালের সাথে এই আন্দোলনের তুলনা আমি করতে চাই না। তবে এই অভ্যুত্থান একটা ইতিবাচক অভ্যুত্থান যেটা ইতিহাসের পাতায় ইতিমধ্যে স্থান নিয়েছে এবং সর্ব রাষ্ট্র কর্তৃক প্রশংশিত হয়েছে। সামু কর্তৃপক্ষের উচিত হবে এই সব ব্লগারদের থামানো যারা জনগণের বিপরীতে অবস্থান নিয়েছে এবং অনেক মিথ্যা এবং বানোয়াট তথ্য ব্লগে ছড়াচ্ছে। এই বক্তব্যগুলি আমাদের সার্বভৌমত্বের উপরে হুমকিও তৈরি করতে পারে এবং সমাজে বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে পারে। সমাজ বিধ্বংসী কোন কথা সামু ব্লগে আশা করি না।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৬
২৫টি মন্তব্য ২৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কথা নয় কাজে পরিচয় জনবান্ধব সরকারের

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:২৬

চীন বাংলাদেশকে শতভাগ শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা দেবে। গত বৃহস্পতিবার রাতে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান পররাষ্ট্রসচিব মো. জসিম উদ্দিন।

পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভাগ্যিস বিখ্যাতগণ নেই.......

লিখেছেন জটিল ভাই, ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:১৩

♦أَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشِّيْطَانِ الرَّجِيْمِ (বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহ্'র নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি)
♦بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ (পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহ্'র নামে)
♦ٱلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ (আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক)


(ছবি নেট হতে)

সকল... ...বাকিটুকু পড়ুন

শেখ হাসিনার শেষের ঘন্টা ও কিছু কথা!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:৩২

এই বৃষ্টি ভেজা রাতে আজ অনেক ঘটনাই মনে পড়ছে, কোনটা রেখে কোনটা লিখি তা নিয়েও ভাবতে হচ্ছে! তবে প্রথম যে ঘটনা লিখতে ইচ্ছা হচ্ছে তা হচ্ছে শেখ হাসিনার পলায়নের শেষের... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ্‌ সাহেবের ডায়রি।। আমি পদত্যাগ করিনি , ডাইনী করেছে

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৪০

ছোট গল্পঃ আংটি

লিখেছেন সামিয়া, ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৩



ভিন্ন ভিন্ন ওয়েদারের উপর কি মানুষের মনের ভালো মন্দ অনুভূতির পরিবর্তন হয়! মন হু হু করে ওঠে কোন কারন ছাড়াই! বিষণ্ণ রোদ মিষ্টি মোলায়েম সূর্যের আলো গাছে গাছে উঁচু... ...বাকিটুকু পড়ুন

×