আমার বন্ধু লাবনীর ধারনা আমি সব কিছু জানি। সব সমস্যার সমাধান আমার কাছে আছে। তাই যে কোনো বিষয়েই সে আমার সাথে আলোচনা করে।
১। প্রশ্নঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কে?
উত্তরঃ একজন কবি। একসময় ইউরোপের লোকজন তাকে চিনতো। এখন সবাই ভুলে গেছে। আমেরিকার অধ্যাপকরাও তার নাম জানেন না। পৃথিবীতে এত কবি, ক-জনের নাম আর মনে রাখা যায়! এই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা ধর্মীয় বিষয় নিয়ে, ভাষা খুবই পুরোনো ও অপ্রচলিত, কেই বা কষ্ট করে পড়বে? ও হ্যা, তিনি নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন, তা নিয়ে বাঙালিরা এখনও গর্ব করে।
২। প্রশ্নঃ ওমরাহ করতে যাচ্ছি। প্লেন এ পড়ার জন্য বইয়ের নাম দাও।
উত্তরঃ ওমরাতে যাচ্ছো। এখানে বই না পড়লেই ভালো। এক মহান আল্লাহর ধ্যানেই থাকো। বই পড়লে চিন্তা ভাবনা, অথবা প্রার্থনা নড়ে যেতে পারে। প্রার্থনা যথাযথ ভাবেই করা উচিত।
খুব পড়তে মন চাইলে প্লেনে ম্যাগাজিন পাওয়া যাবে। কোন প্লেন? এমিরাটস? না বলাকা?
৩। প্রশ্নঃ নিজেকে খুব হতভাগা মনে হয়। আমার কোনো ক্ষনতাবান মামা চাচা নেই। আমি খুবিই তুচ্ছ, অতি সামান্য। আমাকে কেউ দাম দেয় না। কেউ আমাকে ডাকে না। রিকশাওয়ালা, বাসের হেল্পার, পরিচিত অপিচিত কেউ না। লোকজন এত তুচ্ছ তাচ্ছিল করে যে নিজের কাছেই অপমান লাগে।মাথা নিচু হয়ে আছে। আসলে আমি সবার পায়ের নিচে আছি। কিন্তু এতটা নিচে থাকার কথা ছিল না।
উত্তরঃ আপনি একাই একশো আর কাওকে লাগবে না।
৪। অফিসে এত কাজের চাপ। বাসায় ফিরতে ফিরতে রাত ৯/১০ টা বেজে যায়। আর ভালো লাগে না।
উত্তরঃ এটাই ভাল। কাজ-চাকরি অব্যহত রাখতে হবে। কাজই শান্তি। কাজের মধ্যেই আনন্দ খুজে নিতে হবে। যতদিন বাচবেন কাজ করে যাবেন। তিন জনের কাজ একা করবেন। যারা বেশি কাজ করে, ভাল কাজ করে তাদের সবাই ভালোবাসে। কাজ দিয়েই মানুষকে আপন করে নিতে হয়। তোমার কি মনে হচ্ছে আমি বেশি পাকনামি করছি? মনের মধ্যে তীব্র সাহস রেখে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। মানব জীবন তো একটাই। নিজের যা দায়িত্ব এই সমাজের প্রতি, সংসারের প্রতি সব সুন্দর করে পালন করতে হবে। ভালোকে গ্রহন করতে হবে। খারাপকে বরজন করতে হবে। সবার আগে নিজের পায়ের নিচের মাটিটা শক্ত করতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৫২