১। মুক্তিযোদ্ধাদের ছেলেমেয়েকে কোটায় চাকুরী দেয়ার দরকার নেই। 'মেধাবীরা' চাকুরী পাক, আমাদের দরকার মেধাবীদের, মেধাবীরা দেশকে সামনের দিকে নিয়ে যেতে পারবে।
মেধার জয় হোক, কোটা নিপাত যাক।
কোটা সংস্কার আসলেই খুব জরুরী।
শুধু ছাত্র ছাত্রীরা আন্দোলন না করে তথাকথিত বুদ্ধিজীবিদেরও সময় হয়েছে কোটা সংস্কারের ব্যপারে বলার। অবশ্য যদি তাদের 'বিবেক' থাকে...
২। বিশ্বে কোনকালে পুটিনের মতো এমন ভয়ংকর ক্ষমতাশালী মানব বা দানব, কিছুই ছিলো না। সে যদি মানব সভ্যতাকে ধাুলার সাথে মিশায়ে দিতে চায়, কারো কিছু করার নেই। আগামী ৬ বছর মানব জাতির জন্য খুবই ক্রিটিক্যাল সময়। পুতিন তুখোড় রাজনীতিবিদ। সে বুশ পরিবারকে ছাড়িয়ে যাবে। আগে জানতাম অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্টই হল সব থেকে শক্তিশালী কিন্তু পুতিন সব কিছু ওলট পালট করে দিয়েছেন।
পুতিন দুর্নীতিবাজ এটা সবাই জানে। কিন্তু জনগন তাকেই চায়। তার মত লৌহমানব রাশিয়াতে বর্তমানে নেই। মানব জাতীর ক্রিটিক্যাল সময় অনেক আগেই শুরু হয়েছে। পাগলা ট্রাম্প, কসাই আসাদ, কট্টর মোদি...
কসাই আসাদ থেকে মিসাইল ম্যান কিম জং উন, সবাই ক্ষমতা চায়। তার জন্য যদি দেশকে বিকিয়ে দিতে হয়, তবুও।
পুতিন ঠান্ডা মাথার খুনি। বোকা ট্রাম্প রাজনীতি বোঝে না। তাই আগামির বিশ্বকে পরিচালিত করবে রাশিয়া ও চীন। এটা ভবিষ্যৎ পৃথিবীর জন্য খুব একটা সুখবর নয়। কারণ এদের হঠকারী সিদ্ধান্ত বিশ্বকে বিপর্যয়ের মুখে ফেলতে পারে।
৩। একটা অনায়াসে জিতে যাওয়া ম্যাচ হেরে গেল বাংলাদেশ। সাকিব খেলোয়ার হিসেবে যতটা সফল, অধিনায়ক হিসেবে ততটাই ব্যর্থ নয়? সৌম্যর মত একজন ব্যটসম্যান কেন শেষ ওভার বোলিং করবে? একজন মাশরাফির অভাব বোধহয় পুরন হবার নয়। রুবেল মনযোগ দিয়ে প্ল্যানিং করেনি। রুবেল একটু সময় নিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় বলগুলো করতে পারতো।
তবে লড়াইটা হয়েছে হাড্ডা হাড্ডি।
বাঘের ইমেজ থেকে নাগিনের স্ট্যাটাসে নেমে আসা কোনো ভাবেই গ্রহণ যোগ্য নয়।
তবে সময়ের সাথে সাথে যেভাবে বাংলাদেশ ক্রিকেট উন্নতি করছে চ্যাম্পিয়ন হওয়া আর বেশি দূরে নয়। শুধুমাত্র একটিমাত্র অনুরোধ আমার প্রিয় বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম এবং সমর্থকদের কাছে - প্লিজ এই জঘন্য কুৎসিত নাগিন ড্যান্স থেকে বিরত থাকুন।
ভাইরাল হওয়া গাভাস্কারের ভিডিও চিত্রটি দেখলাম। অন্ততঃ তার মুখে এসব কথা মানায় না।
প্রথম আলোর আবেগ আর উচ্ছ্বাসটা একটু বেশি। এতে দোষের কিছু নেই।
শ্রীলংকায় এখম মুসলিম বিদ্বেষ চলছে। আর বাংলাদেশ যেহেতু একটি মুসলিম কান্ট্রি, তাই বাংলাদেশের দর্শক বুলু চন্দ্র ঘোষও মারের হাত থেকে রক্ষা পায়নি। শ্রীলংকা ইন্ডিয়া ভাই ভাই, এর মধ্যে বাংলাদেশ কেন ঢুকল - এই জ্বলাতেই তারা জ্বলে পুড়ে শেষ।
৪। ডাক্তারেরা ভেবেছিলেন যে, তিন সামান্য সময় বেঁচে থাকবেন।
ডাক্তার বলেছিল তিনি আর দুই মাস বাঁচবেন। কিন্তু তিনি মারা গেল আরো ৫৪ বছর পরে।
মৃত্যুকে বিলম্বিত করা গেছে, একদিন আটকানোও যাবে।
তিনি মানব সমাজকে অনেক নতুন জ্ঞানের কথা বলে গেছেন, বিশ্ব সম্পর্কে সঠিক ধরণা দিয়ে গেছেন।
উনার শারীরিক অবস্হা ও গবেষণার প্রতি নিবেদিত-প্রাণ দেখে, বিশ্বের সবার মনে উনার জন্য সীমপ্যাথি ছিল।
মানুষকে বিজ্ঞানমনষ্ক করে মানব সভ্যতাকে অনেকটাই এগিয়ে দিয়ে গেছেন।
নতুন হকিংদের জন্ম হোক।
৫। পুরোনো বিমানও সমস্যা না।
আমেরিকায় এখনো ৪০ বছরের পুরান এফ ২৭ বিমান চলছে।
পাইলটকে দোষ দেবার কিছু নেই। হয়তো মৃত্যুর আগ মুহূর্তেও সে বিমানটি রক্ষা করার চেষ্টা করেছে?
'ত্রিভুবন বিমানবন্দর' পৃথিবীর অন্যতম বিপদজনক এয়ারপোর্ট বাট ক্যাপ্টেন আবিদের কাছে ছিল ডালভাত।
বিমান ভ্রমণকালে টেক অফ করার সময়টা সফরের সবচেয়ে বিপজ্জনক সময়। বিশ্বের বেশির ভাগ বিমান দুর্ঘটনা হয়েছে বিমান ছাড়ার ৩ মিনিটের মধ্যে অথবা ল্যান্ডিং বা নামার ৯ মিনিটের মধ্যে।
আমার মনে হয় বাংলাদেশের পাইলটরা সব চেয়ে দক্ষ। কিন্তু পুরাতন লক্কর ছক্কর বিমান চালানো কি আর সহজ কথা। তারপর যান্ত্রিক ত্রুটি যদি থাকে তাহেল তো কথাই নেই।
মালয়েশিয়ায় লং রোডের বাস চালানো হয় একাধিক চালক দিয়ে। এক জন চালক বিশ্রাম নেন । আবার ঘন্টাখানেক পর আরেক জন চালক ড্রাইভিং সিটে বসেন।
দুর্ঘটনা দুর্ঘটনাই। কপালে ছিল...
সমবেদনা ছাড়া জাতির হাতে আর কিছু নেই।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:৫৭