১। আমাদের দেশের নিয়ম হচ্ছে- সকলের মন রক্ষা করে চলা, মানে তেল দেওয়া। সাহিত্যিক, সাংবাদিক, চাকরীজীবি, ব্যবসায়ী, দালাল সবাইকে তেল দেওয়া।
আজকাল তো কারো মধ্যে মনুষ্যত্ব দেখি না! এযুগে প্রান ভরে প্রেম করা যায় না। ভালোবাসা যায় না। এমনকি প্রান ভরে কাউকে ঘৃ্নাও করা যায়।
২। স্পিকার: মাননীয় সাংসদ, আপনার প্রশ্ন উত্থাপন করুন ।
সাংসদ: মাননীয় স্পিকার, আপনাকে ধন্যবাদ । ধন্যবাদ আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে । বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা, ডটার অব পিস, শান্তির পায়রা, দেশের লক্ষ্মী শেখ হাসিনাকে জানাই শত সহস্র সালাম । তিনি এ দেশের জন্য যে আত্মত্যাগ…
স্পিকার: আপনি প্রশ্ন করুন, মাননীয় সাংসদ । সাংসদ: ধন্যবাদ, মাননীয় স্পিকার । আজ আমাদের দেশ ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে । আমাদের দেশ পরিচালনায় নিপুণ দক্ষতার পরিচয় দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে মাইলফলক স্থাপন করেছেন, তা যুগ যুগ ধরে…স্পিকার: আপনি আপনার প্রশ্ন করুন, মাননীয় সাংসদ… সাংসদ: জি, জি, মাননীয় স্পিকার । ধন্যবাদ । এই মহান সংসদে দাঁড়িয়ে আমি শুধু বলতে চাই, আমাদের দেশ ও জাতি এখন যে সোনার বাংলায় বাস করছে, যা একদিন স্বাধীনতার একমাত্র ঘোষক, শ্রেষ্ঠ বাঙালি, এ দেশের স্বাধীনতার নায়ক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপ্ন দেখেছিলেন, তা শুধু সম্ভব হয়েছে তাঁরই যোগ্য কন্যা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কল্যাণে এবং…
স্পিকার: প্রশ্ন করুন, প্রশ্ন করুন, মাননীয় সাংসদ । আপনি প্রশ্ন করুন । সাংসদ: ধন্যবাদ, মাননীয় স্পিকার । ধন্যবাদ আপনাকে এই মহান সংসদে কথা বলার সময় এবং সুযোগ দেওয়ার জন্য । আমি এই মহান সংসদের সময় নষ্ট করতে চাই না । আমার খালি একটা কথা বলার আছে । আজকে জনগণ যেভাবে জেগে উঠেছে, বঙ্গবন্ধুর লালিত সোনার বাংলা বাস্তবায়নে যে প্রচেষ্টা, পরিকল্পনা, ও উন্নতির জোয়ার বয়ে যাচ্ছে, তা…
স্পিকার: ধুৎ !
৩। এই ঢাকা শহরে একটা কলেজ আছে। এই কলেজের ছাত্রলীগের সভাপতি এখন অনেক টাকার মালিক। হাতে তিনটা আংটি। গলায় সোনার চেন। নিজের গাড়ি আছে। এটা কিভাবে সম্ভব? সে তো আসলে ফকিন্নির পোলা। যাই হোক, সে বিয়ে করলো। তারপর তাকে কলেজের ছাত্রছাত্রী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি করা হয়। ফ্লাইওভাবের পিলারে তাদের বিশাল বিশাল ছবি। এই ছবি দেয়ালে লাগিয়ে তারা কি বুঝাতে চায়?
পুরো কলেজে তার বিশাল বিশাল ছবি। আবার বর্তমান যে সভাপতি তারও ছবি। বিল্ডিং এর দেয়াল দেখা যায় না। মনে হয় এটা কলেজ না। তাদের বাপের সম্পত্তি। তাদের কি একটুও লজ্জা করে না? সবচেয়ে বড় কথা এই কলেজে তাদের একটা রুম আছে। ভিআইপি রুম। সেই রকম ডেকোরেশন। এসি আছে। কলেজের শিক্ষকদের রুমে কি এসি আছে?
সহজ কথায়, ছাত্রদের জন্য পড়াশোনা করাই হচ্ছে মূখ্য বিষয় । বৃটিশ-বিরোধী আন্দোলন, পাকিস্তান-বিরোধী আন্দোলন, সমাজতন্ত্র কায়েমের আন্দোলন- এগুলোর দিন শেষ হয়ে গেছে অনেক দিন আগেই । বৃটিশ-রা চলে গেছে, পাকিস্তানী-দের বিতাড়িত করা হয়েছে এবং পৃথিবীতে সমাজতন্ত্রের পতাকাও প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে । আমাদের দেশের জন্য ছাত্র রাজনীতি কতো-টা জরুরী, তা ভাবার সময় অনেক আগেই এসেছে কিন্তু একমাত্র প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জেনারেল এরশাদ ছাড়া আর কোন রাজনীতিবিদ এই বিষয়-টা তেমন ভাবে ভেবেছেন এবং ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের পক্ষে কিছু বলেছেন বলে মনে হয় না ।
মিছিলে যেতে হবে, ভাংচুর করতে হবে, লাঠি, রাম-দা, ছুরি, পিস্তল নিয়ে বিপক্ষ দলের উপর ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে, চাঁদাবাজি করতে হবে, টেন্ডারবাজী করতে হবে, শিক্ষক-দের হুমকি দিতে হবে, এই সব ।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:০৭