অফিসের কাজে চিটাগং গিয়েছিলাম, চার দিনের কাজ একদিনেই শেষ
ভাবলাম হাতে সময় যখন আছে, তো কক্সবাজার থেকে ঘুরে আসি।
সমুদ্রে তখন বিকেলের শেষ আলো পুরোনো প্রচীন এই পৃথিবীতে
বিস্ময়ে আমি চুপ করে দাঁড়িয়ে আছি। চারিদিকে বেশ কোলাহল
একটি পুরুষ ও একটি রমনীকে দেখলাম- সমুদ্রের দিকে এগিয়ে যেতে
বাতাসে উড়ছে মেয়েটির শাড়ির আঁচল, ছেলেটির হাতে সিগারেট
অতি মন্থর যেন তাদের চলার গতি।
হঠাৎ আমার বুকে ধাক্কা লাগল, মনে হলো মেয়েটিকে আমি চিনি
খুব মন দিয়ে আরেকবার তাকিয়ে আমি নিশ্চিত হলাম, হুম নীলা।
আমি এক মুহূর্ত সময় নষ্ট না করে ঢাকা ফিরে এলাম,
নীলা যেন আমার ছায়াটাকেও আর দেখতে না পায়।
জন্ম থেকেই আমার অভিমান খুব বেশি তীব্র।
নীলা তার স্বামীর হাত ধরে সমুদ্রের পাড়ে
হেঁটে বেড়াক।
নীলাকে দ্বিতীয়বার দেখলাম- বইমেলায়
দেখা মানে একপক্ষের দেখা, আমিই শুধু
সাদার মধ্যে সাদা সাদা ফুল আঁকা শাড়িতে
হাতে বইয়ের প্যাকেট। বিয়ের পর বেশ স্বাস্থ্য হয়েছে
নীলার বুকের তিলটার কথা খুব মনে পড়লো!
বইমেলা থেকে বের হয়ে সিগারেট ধরিয়ে হাঁটা শুরু করলাম
আমার জীবনে নীলা নামে কেউ নেই, নেই ,নেই।
আমার কি মন খারাপ? একা একা হাঁটছি কেন?
তিন বছর আগে নীলার বিয়ে হয়ে গেছে।
অথচ নীলাকে দেখলেই বুকের মধ্যে
যুক্তিহীন দুরন্ত অভিমানবোধ জেগে ওঠে।
নীলাকে বলেছিলাম, বিয়ে করো না
আরও কিছু দিন অপেক্ষা করো
এতটুকু দয়া আমাকে করো।
নীলা আমার জন্য অপেক্ষা করেনি
আমিতো নিজেই জানি, ওর অনেক অসুবিধা আছে।
ঢাকা শহরটা খুব ছোট, তাই কিছুদিন পর আবার দেখা হলো
কমলাপুর রেলস্টেশনে একেবারে চোখাচোখি হয়ে গেল
একটা সিগারেট ধরালাম, এমনভাব করলাম, আমি দেখিনি-
এরপর সত্যি সত্যি তিন বছর পার হয়ে গেল, আর দেখিনি।
( আমি কবি নই। কবিতা লেখার সামান্য যোগ্যতা আমার নেই। তারপরও কবিতার মতোন কিছু একটা লিখেছি, বা বলা যায় লিখতে চেষ্টা করেছি। এজন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী। গতকাল রাতে ঘুম আসছিল। তখন এই কবিতার জন্ম।
সবাই ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।
ছবিটা আমারই তোলা সাত বছর আগে- বোটানিকেল গার্ডেনে)
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:০৮