সুশীল সাহিত্যমনারা ফাকে যান। অভদ্র, অশিক্ষিত লুকজন আসেন।
দিন দিন মনটা বিকৃত হইয়া যাইতাছে। খালি হাসি আসে। একটা হিন্দি গানের ভিডিও দেখলাম। মনে হইল এক আবাল আর এক আবালি হুদাই ব্যায়াম করতাছে আর ক্যাচ ক্যাচ করতাছে। হলুদিয়া পাখি সোনারই বরণ গানডা শুনতে আরম্ভ করলাম। হলুদ কথাডা মনে হইতেই গুয়ের রঙ মনে আইল। গানডা থিকা মনে হইতছিল গন্ধ বাইরাইতাছে। রাইতে বইলাম শরৎ নিয়া। পাগলের মত পড়তাম শরৎ। তার তারা দেবী অথবা চাঁদের দর্শনের কথা খুব ভালা লাগত। কিন্তু এ কি হইল আমার।
অরক্ষণীয়া
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
মেজমাসীমা, মা মহাপ্রসাদ পাঠিয়ে দিলেন-ধরো।
কে রে, অতুল? আয় বাবা আয়, বলিয়া দুর্গামণি রান্নাঘর হইতে বাহির হইলেন। অতুল প্রণাম করিয়া পায়ের ধুলা গ্রহণ করিল। (খ্যাক খ্যাক)
নীরোগ হও বাবা, ( হা হা প গে, কি ডায়ালগটাই না দিল

..................
.....................
এরপর দেহা যায় জ্ঞানদা আগে, মাথা হেট কইরা ঘাড়ের লগে লাগাইগা। কিন্তু ছেড়ির মনে মনে ঠিকই পিরীতের বাজনা বাজতাছে।
"কিন্তু একটু ভাল করিয়া দেখিলেই দেখিতে পাওয়া যাইত, যাবার সময়ে মেয়েটির চোখমুখ দিয়া একটা চাপা হাসি যেন উছলিয়া পড়িতেছিল"
খেক্স! পুলাপান সবসমই বজ্জাত। হেই আমলে মুবাইল থাকলে যে এই মাথা হেট ঘাড় বেকা জ্ঞানদা রাইতভর অতুল ছাগ্লার সাথে গেজাইত তা নিয়া কুন সন্দেহ নাই। তয় কথা হইল শরৎচন্দ্র কিন্তু একটু ভাল করিয়া দেখিলেই দেখিতে পাওয়া যাইত এই কথাডা কৈল কেন। বেটায় কি ওইহানে খাড়াইয়া খাড়াইয়া দেখতে আছিল নাকি পিরীতের কাহিনী। সাহিত্যিকের তৃতীয় নয়নের গুষ্টি কিলাই। নাকি বেটা নিজেই অতুল। অবশ্য কথাসাহিত্যিকের পথের দাবীতে উনারে বার্মাতে চিড়া চাবাইতে দেখা গিয়াছিল।
"আবার শুধু মেয়েটিই নয়। এদিকে একটুখানি নজর করিলে চোখে পড়িতে পারিত, এই সুশ্রী ছেলেটিরও মুখের উপর দিয়া একটা চাপা হাসি যেন উছলিয়া পড়িতেছিল"
হা হা প গে আবার। লুইচ্চা হাসিরে কয় চাপা হাসি। খাইয়া দাইয়া কাম নাই আর। চিন্তা করলাম শরৎচন্দ্রের কি ভূত মাথায় চাপছিল যে অতুলরে সুশ্রী বানাইয়া দিল আর জ্ঞানদারে সাধারন বানাইল। এক কাজ করা যাইতে পারে। নায়িকারা হৈব রুপসী, ফুপসী, ভুপসী, ঘুপসী ইত্যাদি ইত্যাদি।
ও হ্যা আসল হাসির জিনিসটাই তো কৈনাই। নাম একখান হোইচে বটে। জ্ঞানদা। কেমন জানি জ্ঞানদান জ্ঞানদান ভাব আছে। হে পৃথিবীর জনসংখ্যা তুমাদের এখন জ্ঞান্দান করা হৈবে। তুমরা থালাবাটি নিয়া বস।
এরপরে দুষ্কের কাহিনী। শরৎচন্দ্রের সেই মমতাময়ী নারী চরিত্র। এই মহাবিশ্বের যত কষ্ট আছে সব নারীদের ঘাড়ে চাপাইয়া বেটা একধরণের লৈখিক নির্যাতন চালাইছে নারীদের উপর। শরৎচন্দ্রের বিরুদ্ধে মামলা হওয়া দরকার। অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক। বেটা শুধু নির্যাতন কইরাই ক্ষান্ত দেয় নাই, কুটিলরুপে নারী চরিত্রের বহিপ্রকাশও ঘটাইছে।
আর পারতাম না লিখতে। গলা জ্বলতাছে।
মহান এই লেখকের প্রতি ক্ষমা প্রার্থনাপূর্বক, হলুদিয়া পাখির প্রতি ক্ষমা প্রার্থনাপূর্বক।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:৫৩