
রামুর ঘটনা যে সেখানকার প্রশাসন, পুলিশ, চেয়ারম্যান, এসপি, ডিসি, এমপির অবহেলা, ফেইসবুক অজ্ঞতা, মূর্খতা তা এখন দিবালোকের মত স্পষ্ট। সে খবর কোন ভাবেই যেন গোপন হতে না পারে।একে প্রকাশ করতেই হবে, জাতির অনেক বড় স্বার্থে, ঐ রাতের প্রশাসন সহ অনেকের বক্তব্য অনেকে অবশ্যই রেকর্ড করেছে।সেগুলি ফেইসবুকে আপলোড করার জন্য লেগে পরা উচিত ...
রামু ফাইনালঃ রামুর ইউএনও এবং ওসির ফেইসবুক সম্পর্কে কোন জ্ঞান না থাকায় রামুর ঘটনাটি ঘটেছে!!!
মিডিয়া ও সরেজমিন রিপোর্টে সব স্পষ্ট যে, সেখানকার বৌদ্ধপাড়ায় আর মন্দিরগুলোতে হামলার ব্যাপারে স্থানীয় আওয়ামী লীগ-বিএনপি সহ সব দলের মোছলমান নেতা-কর্মীরা ঐকমত্যের ভিত্তিতে কাজ করেছে! তারা কাজটি করেছেন ইসলাম রক্ষার জন্যেই! জনৈক বিধর্মী বৌদ্ধ খোকন বড়ুয়ার ফেসবুক ওয়ালের ট্যাগকৃত একটি ছবির কারনে বাংলাদেশ থেকে-দুনিয়া থেকে ইসলাম চলে যাবে, মহানবীর(দঃ) ইজ্জত বলতে কিছু থাকবেনা, এটা সেখানকার কোন দলের মোছলমান নেতাকর্মীরাই মানতে চাননি! না মানতে চেয়েছেন? শুধু তাই না, এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালে বিধর্মী বৌদ্ধদের বিরুদ্ধে এ্যাকশনে গিয়ে তাদের বাড়িঘর-মন্দির পুড়িয়ে-গুড়িয়ে সম্ভাব্য জেহাদি সওয়াব হাসিলের সুযোগ মিস করতে চাননি সেখানকার সব দলের মোছলমান নেতাকর্মী, সাংবাদিক, পুলিশ কেউই! অতএব সেখান থেকে পাওয়া সবগুলো রিপোর্টের সার-সংক্ষেপ হলো, এর প্রস্তুতি নিতে প্রকাশ্যে সভা-বক্তৃতা হয়েছে, ইউএনও খবর দিয়ে এমপি, পৌর মেয়রকেও ডেকে এনেছেন! ওসি সহ পুলিশও ছিল উপস্থিত! এরপর আবার বাস-ট্রাক দিয়ে লোক আনা হয়েছে! আনা হয়েছে গান পাঊডার-পেট্রোল, বিশেষ ধরনের পাথর! এরসব কিছু নিয়ে বেশ সময় নিয়েই বেয়াদব বিধর্মী বৌ্দ্ধদের শায়েস্তা, দুনিয়া ও আখেরাতের অশেষ নেকি হাসিলের কাজ হয়েছে!
উত্তম কুমার/খোকন বড়ুয়া যদি ঢাকা বা নিউইয়র্ক বসে ছবিটা ট্যাগ করতেন তাহলে সেখানে কিছুই হতো না, এটা ব্যাপার না।এর কারন এখানে ২০-৮০% ফেইসবুক ইউজ করে, বিষয়টি বোঝে।
কিন্তু এই উত্তম কুমার যদি রামু বসে ফেইসবুকে ছবিটা ট্যাগ করে, যেখানে সাধারন পাবলিক দূরে থাক ইউএনও, ওসি, এমপি, এসপি, ডিসি চৌদ্দপুরুষে ফেইসবুক দেখে নাই, সেখানে ভিষন বিপদ।ইউএনও এসে বক্তিতা দিবে এই ফেইসবুক খাইলো, আমরা এটা মানতে পারি না, ওসি এসে আরেক চোট, ভাবছে ফেইসবুক রেলগাড়ী।
এবার বলুন এদের কি করা উচিত।ছাগল এমপি, নেতা না চিনতে পারে, সরকারী কর্মকর্তা হয়ে তোদেরতো চেনার কথা, ও ফেইসবুক, এইডা ব্যাপার না।মিটিং শেষ।
..................................................
প্রশাসনের ব্যর্থতায়ই যদি কক্সবাজারে সংঘাত হয়ে থাকে তবে ওসি কেন প্রত্যাহার হবে? ওসি সাহেব তো প্রশাসনের হর্তা কর্তা নন। থানার একজন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার অবহেলায় এত বড় নৈরাজ্য ঘটতে পারে না।
সংশ্লিষ্ট এলাকার সাংসদ,জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী,জেলা প্রশাসক,রেঞ্জ ডি.আই.জি,পুলিশ সুপার কি তাহলে প্রশাসনিক এখতিয়ারের বাইরে? কথা নাই বার্তা নাই সকল দোষ এখন ওসি'র ঘাড়ে, সেলুকাস !! সত্যিই সেলুকাস আমার আজব বাংলাদেশ।
ধর্মীয় উপাসনালয়ে নিরাপত্তা বৃদ্ধি করে লাভ নাই, প্রশাসন ও জনগণকে ফেইসবুক সচেতন করতে হবে ...
বাংলাদেশের আমলারা ফেইসবুক প্রিন্ট করে দেখে ... সত্যি কথা।