কারন বোঝেন তো ? তার আগে বলেন ৩জি কি তা বোঝেন ? না বুঝলেও অসুবিধা নাই, বললে বুঝবেন আমিশিওর।থ্রীজি হলো তৃতীয় প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্ক। ১জি প্রজন্মের নেটওয়ার্ক প্রথম স্থাপন হয়েছিল জাপানে ১৯৭৯ সালে।এই প্রজন্মটি ছিল এ্যানালগ মোবাইল টেলিকমিউনিকেশন।১৯৯১ সালে ২জি বা প্রথম ডিজিটাল মোবাইল নেটওয়ার্ক ফিনল্যান্ডে শুরু হয়।আর ৩জি নেটওয়ার্ক চালু হয়েছিল ১ অক্টবর, ২০০১ জাপানে, প্রথম।
১জি'তে শেয়ার করা যেত শুধু এনালগ ভয়েস। ২জি'তে এসে ডিজিটাল ভয়েস ও ডাটা, জিএসএম, জিপিআরএস, ইডিজিই ইন্টারনেট। আর ৩জি'তে এসে সব উল্টাপাল্ট হয়ে যায় ভয়েস, ডাটা সেই সাথে ভিডিও স্ট্রীমিং ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট।এখানে এসেই বিএনপি তথা চারদলীয় জোট ১৯৯৩ সালের মত আরেক ঐতিহাসিক সমস্যায় পরে।আপনাদের মনে থাকবে ওয়ারীদ বাংলাদেশে ৩জি'র আওয়াজ তুলেছিল ২০০৪ সালেই। ওয়ারিদকে মোবাইল নেটওয়ার্ক স্থাপনের লাইসেন্সের সাথে থ্রী-জি অনুমোদনের ফাইল গেলে সেদিন কেবিনেট মিটিং এ সকলে এর বিপক্ষে জোর দাবী তুলেছিল।শানেনজুল ছিল, "এটা দিলে আমাদের ইয়ং জেনারেশন নষ্ট হয়ে যাবে, ওরা ভিষন পাপ করবে, ফ্রি সেক্স হইয়ে যাবে, ঘরে বসে ওরা একে অন্যের ব্লুফিল্ম দেখবে।কোরান, হাদিস সব ঘেটে ঐ মিটিংয়েই ইসলামে ৩জি'র অনুমোদনের কোন সুযোগ নেই তা সেদিন মিটিংয়ে প্রমান হয়েছিল। এখনও এই নীতিই চলমান।
আর ইন্টারনেটের কথা আর কি বলবো, ১৯৯৩ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশকে ইন্টারনেট বাদ দিয়া মুখে আঙ্গুল দিয়া বসে থাকতে হয়েছে।আমি নিজে ২০০৭ সালে মোবাইল অপারেটররা ইন্টারনেট সেবা বিক্রি করার আগ পর্যন্ত ইন্টারনেটের নামই শুনিনি।তারপরও ২০০৬ সালে সাবমেরিন ক্যবলে যুক্ত হয়েও ১ মেগাবিট/সেকেন্ড এর দাম ১২৭,০০০/- হাজার টাকা যা বর্তমানে ১০,০০০/- টাকা মাত্র।
তাই হিসাবকিতাবের ইতিহাস পোষ্টমর্টাম করেই বললাম - চার দলিয় জোট ক্ষমতায় আসলে, ৩জি তো অবশ্যই না, ইন্টারনেটও বন্ধ - সব অন্ধকার।
এখনও না বুঝে থাকলে সিম্পলী আপনার ম্যাডামকে বাংলাদেশে ইন্টারনেট তথা তথ্যপ্রযুক্তির বা ইবাংলাদেশের একটা ফুল রোড ম্যাপ দিতে বলেন, পাবলিক দেখুক, তারা বুঝবো।দেখবেন দেবে না কারন মন্তব্যে দেখেন।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫০