সামহোয়ারইনব্লগ.নেট!
বাংলাদেশের প্রথম কম্যুনিটি ব্লগিং সাইট!
চালু হয়েছে সম্ভবত ২০০৬এর দিকে, পেপারে বেশ কিছুদিন খবর দেখতাম উদ্ভোদনের সময়। মাঝে মাঝে ব্লগারদের বিভিন্ন প্রোগ্রামের কথাও আসত পেপারে (পুত্তুম আলু পড়ি সবসময়) কিন্তু সেই অর্থে নাম জেনে খোঁজা যেটা; সেটা কখনো হয়ে উঠেনি।
ব্লগিং কখনো করব, চিন্তাও করিনি। প্রচন্ড প্রেশার ছিল পড়াশুনার, দম ফেলার সময়ও পাইনি গত বেশ কটা বছর। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সামহোয়ারের সাথে পরিচয়ের ঘটনা বেশ মজারই বলতে হবে। এমএস পরীক্ষার সময় একদিন পরীক্ষা দিয়ে মেজাজ খুব খারাপ। বাসায় ফিরে, একজনকে মুখে দিতে না পারাটা গালিটা গুগল বাংলায় লিখে সার্চ দিলাম! কালজয়ী গালি ছিল কলেজ ফ্রেন্ডদের মাঝে, "লাথি মেরে পাছার বারান্দা ফাটিয়ে দেব" (আমি আজো জানিনা ঐ বারান্দাটা আসলে কি)। হাবিজাবি রেজাল্ট শো করল। তারপর লাথি মেরে লিখে সার্চ দিলাম যখন, তখন যে রেজাল্টগুলো এল তার মাঝে একটা ছিল নিচেরটা,
লাথি মেরে এই মুহূর্তে সকল সাহায্য সংস্থাগুলোকে দেশ থেকে বের করে দেয়া হউক
ব্লগার কৌশিকের একটা লেখা। কেন জানি লেখাটা পড়ে খুব ভাল লাগল। কয়েকদিন পরীক্ষার ফাঁকে ফাঁকে ঐ পেজের বিভিন্ন লিংকগুলো ঘাটলাম। কেমন জানি অন্যরকম একটা মজা লাগল। উল্লেখ্য, আমি ফেসবুক ইউজ করিনা, ইয়াহু ইউজ করতাম তখনো, কিন্তু পরিচিত সবাই দিনরাত ঝিমাত ফেসবকে, এখনো! অবসরে নেটে বিনোদন বলতে নতুন নতুন গানের লিংক খুঁজি, তখনো তাই ছিল। কিন্তু ব্লগিংটা অন্যরকম একটা আকর্ষণ জন্মিয়ে দিল মনে।
সরাসরি প্রথম পাতায় ঢুকতে হয় কিভাবে বুঝতাম না। ঢোকার জন্য লেখাঝোকা শামীমের একটা পোস্ট ইউজ করতাম প্রথমদিকে (কাজেই ওনার বেশকিছু বেহুদা ফাউ হিট আমার উসিলায় পাওয়া)। পরে সংকলিত পাতায় ঢুকার রাস্তা বের করে ফেলি। কিছু কিছু পোস্টে রাজাকারদের ছানাপোনাদের দম্ভভরা উক্তি দেখতাম আর ভাবতাম এখন লিখতে পারলে ওদের রাজাকারির সব ক্লাসিফিকেশন হাতে কলমে শিখিয়ে দিতাম। তখনই ঠিক করি ব্লগার হব।
রেজি. করার পর দেখি ৭দিনের ওয়াচ পিরিয়ড আর শেষ হয়না। মেইল করে জানতে পারলাম, আমার নিক চেন্জ না করলে আমাকে জেনারেল বানানো সম্ভব না, তখন নিক ছিল র্যাব২০০৮। শুধু র্যাব অফার করলাম, মানল না। নিজের নাম সরাসরি অফার করলাম, ঐ নামে ব্লগার আছে। নামের পর ২০০৮ লাগিয়ে বললাম, ওটাও নেই। তখন বিরক্ত হয়ে বললাম মহাকবি কালিদাশ নিক দিতে। না, মহাকবিকে অসম্মান করা তাদের পক্ষে সম্ভব না। প্রচন্ড বিরক্তি লাগছিল, তাই বলে বসলাম কালীদাস নিক দিতে, এটা মহাকবির নামও না, সাধারণ নাম, আবার অন্য কেউ এটা ইউজ করছেনা। পরেরদিন দেখি, আমি সেফ মোট ২মাসের মত লেগেছিল
তখন নিচের ছবিটা ইউজ করতাম প্রোফাইল পিক হিসেবে,
এটা সাংহাই নাইট ছবির একটা ক্যারেক্টার ছিল, নাম শার্লক হোমসের রচয়িতা আর্থার কোনান ডায়ালের নামে ছিল সম্ভবত। মজার ক্যারেক্টার ছিল সেটা। তারপর কয়েকদিন ইউজ করেছিলাম দ্যা লাভ গুরু মুভির গুরু তাগিনমাপুধার একটা হাস্যোজ্জল ট্যারা চোখের ছবি। গুগল আর্থে মক্কা উজ্জল দেখায় কেন- ব্যাখ্যা এই প্রোপিক থাকা অবস্হায় দিয়েছিলাম। রামধোলাই খেয়েছিলাম, ব্যাথা এখনো সারেনি ভালমত !
পরে রাহাত আমার ব্যাখ্যার সমর্থনে ডিটেইলস লিখে পোস্ট দেন। মাসখানেক আগে দেখলাম ধোলাই দেয়া পোস্টের লেখকও সেটাকে সাপোর্ট করে কমেন্ট করে এসেছেন- যদিও অন্য নিকে কাজেই জয় আমারই হইছে (তালগাছের ইমো হইবেক)
এরপর ইউজ করেছিলাম সিনেস্টার গেটসের একটা ছবি, আর এখন আছে এডাম জোন্টিয়ারের ছবি। পাল্টানো দরকার, অনেকদিন ধরেই আছে এটা!
অলরাইট, এবার তো লেখালেখির পালা। তিনবছর আগে, আমার কয়েকজন ক্লাশমেট আমার লেখা একটা গল্প সাইজ বড় অজুহাতে একেবারে বাদ দিয়ে দিয়েছিল (ছোট করার চান্সও দেয়নি আমাকে) আমাদের এক ম্যাগাজিনে। ওদের সাথে রেগে গল্প লেখা ছেড়ে দিয়েছিলাম, কারণ এর আগে কখনো কেউ আমার কোন লেখা একলাইনও ছাটেনি। তাই ভাবলাম ব্লগিং-এ নিজের সুপ্ত প্রতিভাটার চর্চা করব, যেটা আগে কখনো করিনি, গানের পোস্ট দেব, অবশ্যই হার্ডরক আর অল্টারনেটিভ মেটাল নিয়ে। তারপরও একদিন ভাবলাম কিছুটা ডায়েরি লেখার চেষ্টা করলে কেমন হয়। তখন ডিসেম্বর মাস, ডিজিটাল টাইম চলছে, কারেন্টের ভয়াবহ দশা, আর আমার থিসিসের খুব ভাইটাল কিছু এনালাইসিস করছি তখন! একদিন সকাল ১০টার দিকে ডায়েরির মত করে ব্লগ লিখতে যেয়ে যে কথাগুলো আসল আমার কিবোর্ডে-
ঘুম থেকে উঠে বাথরুম থেকে ঝাইড়া হাইগা বের হলাম, পিসিতে বসলাম আর কারেন্ট চলে গেল, হাসিনা আর তৌফিক দ্যা ইডিয়টরে দুইটা **** গালি দিয়ে ললেসের লাইফটাইম ডেটার বইটা আর আমার আগেরদিনের ক্যালকুলেশনগুলো নিয়ে বসলাম..........তারপর আরো ২টা গালি আগের রাতে করা ২টা ভুল ধরতে পেরে.......
লেখেই বুঝলাম, সর্বনাশ!! এই ব্লগিং করলে আমার কপালে সুলেমানি ব্যান আছে, কেউ আনব্লক করতে পারবেনা আমাকে, আর পোস্ট করি নাই
ততদিনে কয়েকটা গানের পোস্ট দিয়ে বেশ কয়েকজন ব্লগারের সাথে মুটামুটি পরিচয় হয়ে গেছে। শুরু থেকেই ব্লগার অপ্রয়োজন, স্বাধীনতার বার্তা এই দুজন ছিলেন আমার পোস্টগুলোর একনিষ্ঠ পাঠক, এদের দুজনের কমেন্টগুলো ছিল বিশাল ফিডব্যাক নতুন রুপে লেখালেখি শুরু করতে। তবে সত্যিকার অর্থে আমিও একজন অলস ব্লগার, পড়তে আর কমেন্ট করতেই বেশি ভালবাসি। আর সেখান থেকেই বিভিন্ন ক্যাঁচালে জড়িয়ে পড়ি বারবার। যারা দেখেছেন রেগুলার, তিনটা বাঁধা কমেন্ট ইউজ করি জায়গা বুঝে, (বিভিন্ন জায়গা থেকে মারা অবশ্য, খালি পরিপূর্ন প্রয়োগের জন্যই খানিকটা কৃতিত্ব দাবি করতে পারি আরকি)
অসম্ভব ভালো লিখেছেন। এক কথায় অনবদ্য।
বহুদিন পরে একটা ভালো লেখা পড়লাম। রবীন্দ্র পরবর্তী যুগে এধরনের লেখা আর আগে আসে নি। অনবদ্য...অসাধারণ...
পড়তে পড়তে চোখে পানি এসে গেল। শুধু যে প্রাসঙ্গিক ও সময়উপযোগী লেখা তাই নয় একেবারে সমস্যার মূলে কুঠারাঘাত করেছেন। লেখকের বক্তবের সাথে পুরোপুরি একমত। লেখাটিকে স্টিকি করা হোক...
অথবা,
জনাব/জনাবা,
আদ্যোপান্ত পাঠ করিলাম। জনস্বার্থে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তুলিয়া ধরিয়া একটি ধন্যবাদযোগ্য কাজ করিয়াছেন। রচনার ছত্রে ছত্রে আপনার মেধা, উন্নত রুচি ও মননশীলতার দ্যুতি বিচ্ছুরিত হইতেছে। কালোত্তীর্ণ রচনা হিসাবে ইহা নিশ্চিতই বিদগ্ধজনের হৃদয়ে স্থায়ী হইবে। সন্দেহ নাই এইরূপ রচনাই হইবে অনাগত প্রজন্মের নিকট সকল অনুপ্রেরণার উৎস।
আপনার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করিতেছি।
আর ইদানিং তালগাছবাদী কিছু আস্তিকের জন্য আরেকটা ইউজ করি,
সময়োপযোগী ও জরুরী একটি লেখা। পড়ে ভালো লাগলো। না বললে অবিচার হবে যে, প্রকৃত মুমিন ও বিদ্ব্যান মুসলমান ছাড়া এই রকম একটি মূল্যবান পোস্ট লেখা আসলেই সম্ভব নয়। যদিও জানি নাস্তিকরা অনেক কথাই বলবে (আল্লাহ তাদের হেদায়েত করুন), কিন্তু আপনি সত্য ও আলোর পথে আছেন এটাই সবচেয়ে বড় কথা। আপনার লেখার মাধ্যমে একজন মানুষকেও যদি প্রকৃত আলোর পথে আনতে পারেন, সেটাও কম কি?
আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন।
অতি উঁচু মাপের রামছাগল দেখলে (ছাগু না, ছাগুদের মুডের উপর ডিপেন্ড করে হয় গালি দিতাম অথবা হাতে সময় থাকলে বেহুদা ত্যাঁনা প্যাঁচাতাম)
বরাবরের মতোই চমৎকার। আগুন পোস্ট। ভিন্নমত পোষন করার কোন সুযোগই নেই। বস, অন্ধদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন, যদিও জানি যার চোখ নেই সে চিরকালই অন্ধ থাকবে। এটাই সান্তনা যে অন্তত যারা দুই চোখ খুলে জগতটাকে দেখতে চায়, তারা আপনার লেখা পড়ে জানতে পারবে, নতুন কিছু শিখতে পারবে।
এমন একটি পোস্টের জন্যে ধন্যবাদ।*****
*****দুরন্ত স্বপ্নচারীর পারমিশন নিয়েই ইউজ করি শেষ দুইটা!
তবে মাঝে মাঝে এমন কিছু রিপ্লাই পাই, আমি নিজেই হাসতে হাসতে উল্টে পড়ে যাই। একটা দেখুন; ইভ-টিজিং নিয়ে এক ডেসটিনি আবুলের গিয়ানগর্ভ পুস্টের ঘটনা,
Click This Link
আমার লেখাগুলো ক্লাশিফাই করে দেখলাম হাতেগণা কয়েকটা টাইপের মাঝেই ঘুরপাক খাই সবসময়। গান পোস্ট (এখানে রক, হার্ডরক, অল্টারনেটিভ মেটাল), সিরিয়াল পোস্ট (ঢাকা কলেজের মেগাসিরিয়ালটা আজো শেষ করতে পারিনি, ১১মাস হয়ে গেছে মনে হয়), ফান পোস্ট। হিসেবে ফান পোস্টের পাঠকই দেখলাম বেশি। সিরিয়াস পোস্ট যেটা দিয়েছি হাতে গণা যায়, যদিও লাস্টেরটা (পাবলিক/প্রাইভেটের প্রোফাইল এনালাইসিস) দিয়ে বেশ ভয়েই ছিলাম দৌড়ানি খাওয়ার। কপাল ভাল, ওটা কিভাবে জানি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়ে গেছে। ২৭জন ফেভারিট লিস্টে নেয়ায় মনে হচ্ছে (ব্যাপক ভাবের ইমো হইবেক), ভাড়াটে কলাম লেখক টাইপের কিছু হয়েও পেট চালাতে পারব বিপদে পড়লে
ব্লগিং-এ খুব মজা পেয়েছিলাম সোনার বাংলাদেশ চালু হওয়ার সময়টায়। ব্লগ খুললেই নাকে বাড়ি মারত বোটকা গন্ধ, অথচ গন্ধের উৎসই দাবি করত সামহোয়ারে আর ব্লগিং-এর পরিবেশ নেই ! এজন্যই, আমি মনেপ্রাণে চাই সোনার বাংলা সফলভাবে টিকে থাকুক! ইয়ে, ব্লগীয় আড্ডার আয়োজকদের একটা কথা না বলে পারলাম না, সোনার বাংলাদেশে কিছু বিশেষ ব্লগারের দলবেঁধে মাইগ্রেশন উপলক্ষ্যে একটা ব্লগীয় আড্ডা এবং মোরগের লেজ (ককটেল) পার্টির আয়োজন করা উচিত ছিল
কিছু কঠিন/রাশভারি কথা
নিজের সম্পর্কে আরো দুয়েকটা কথা বলি, হয়ত আমার ব্যাপারে কারো কারো ভুল ধারণা কাটতে পারে কিছু পয়েন্টে। বাংলাদেশে যে নোংরা রাজনীতি চলছে (দলগত এবং পরিবারগত), আমার মনে হয়না কোন সুস্হ/স্বাভাবিক মস্তিস্কের মানুষ রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে ঢোকার কথা ভাবে অথবা কোন পলিটিকাল পার্টিকে সাপোর্ট করে। আপনি যে সুস্হ রাজনীতি করতে ঢুকবেন/পরিবর্তন আনতে ঢুকবেন, আপনি তো আগের চেলাদের ভীড়ে দাবড়ানি খেয়েই ভাগবেন/পটল তুলবেন, পলিটিকসে সময়োপযোগী চেন্জ আনবেন কিভাবে, কখন?! এই জিনিষটাই ব্লগের বেশকিছু লোককে কখনো বুঝতে দেখিনা, যেন কোন দল না করে বাংলাদেশি হওয়া সম্ভব না; বিএনপির/জামাতের এগেইস্টে কমেন্ট করলেই লীগার (ইদানিং হাম্বা/কুত্তা ডাকা হয়) আর লীগের কাজের প্রতিবাদ করা মানেই যেন বিএনপি ছাড়া কেউ হতে পারেনা। অসুস্হ ভাষার চর্চা ছাড়া কিছু না এরকম মেন্টালিটি। আমার মেগাসিরিয়াল যারা পড়েছেন কখনো, তারা জানেন আমি লীগের দৌড়ানি খাওয়া পাবলিক, আর ফখরুদ্দীনের সময় পুরা স্ট্যাট ডিপার্টমেন্ট নিয়ে ছাত্রদলের সাথে গ্যান্জামে জড়িয়ে পড়া পাবলিক আমি। পলিটিকালি কাউকে সাপোর্ট করার প্রশ্ন উঠেনা। জামাতের ব্যাপারে কিছু বলা মানে সময় নষ্ট, এদের প্রত্যেকটার বিনা বিচারে ফাঁসি দেয়ার পক্ষে আমি। এই প্রশ্নে আমাকে হিটলার ডাকলেও কোন সমস্যা নেই।
তিক্ততা
বলা লাগবে? কি নিয়ে, তিক্ততা? দরকার দেখি না!
শুধু ব্লগার ছন্নছাড়ার পেন্সিলের একটা মনজয় করা কমেন্ট উল্লেখ করি, (হুবহু মনে নেই এখন), এই টাইপের কিছু লোকের হাতে কিবোর্ড আর মাউস ধরতে দেয়াই উচিত না, ব্লগ তো আরো বহুদূরের কথা!
ব্লগে যাদের মিস করি,
সুপরিচিত/বিখ্যাত ব্লগাররা, আমি সরি! আমি মিস করি এক বিরল প্রতিভাবান ব্লগারকে, যিনি ব্লগে অধিক সুপরিচিত ছিলেন টেক্রটাইল নামে মানুষ হাসে আমার ফানপুস্ট পড়ে, আমি নিজে হাসার জন্য টেক্রটাইলের পুস্ট ঘাটাতাম। ঘেটে দেখতে পারেন, আগাগোড়াই কঠিন এক ব্লগার, হাসতে হাসতে পেট ব্যাথা হয়ে যেত। কমেন্টগুলো পড়ত আরো মজার!! অনেক কিছু শিখেছি তখন ফটুচপের !!
ভবিষ্যত;
কয়েকদিন আগে ব্লগার অপ্রয়োজন ভাইয়া জানতে চাইলেন পরের পুস্ট কি হবে, হিন্ট দেয়া যায় কিনা। আমি লিস্ট করতে যেয়ে দেখি ১বছর লেখার মত সাফিসিয়েন্ট আইডিয়া মাথায় গিজগিজ করছে। তাহলে লেখা হয়না কেন? সময়ের অভাব, আলসেমি, সঠিক সময়ে অন্য টপিকসে লেখা, এইসব আরকি। লেখব, লেখব!
নিজের পছন্দের লেখা,
এটা বলাটা খুব টাফ হওয়া কথা যে কারোর জন্যই। আমার নিজের বেশিরভাগ লেখা লেখতেই ১দিনের বেশি সময় লেগেছে এখন পর্যন্ত। তবে সবচেয়ে বেশি ফিল করেছি যে লেখার প্রতিটা লাইন, লেখার সাতটা দিনই, সেটা হল নিচেরটা, এটাই আমার সবচেয়ে খেটা লেখা পুস্ট আজতক-
"A threshing machine devouring a military drum corps!"; অপরিচিত আওয়াজের মেটাল ঘরানার ব্যান্ডগুলো-৩; SlipKnot
যদিও, স্লিপনটের নাম শুনে ওভারঅল অনেকেই এড়িয়ে গেছেন, মেটালপ্রেমী এবং ঘনিষ্ঠ ব্লগাররা বাদে। তবে মেটাল বলেই হেলাফেলা করার না, এরা অন্যরকম!!
সবকথার শেষ কথা,
ব্লগিং-এর সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি কি জানেন? কয়েকজন অসাধারণ ধী-শক্তিসম্পন্ন মানুষের সাথে পরিচয় হয়েছে এখানে এসে, পেয়েছি অনেক চিন্তার খোরাক, কখনো কখনো জেনেছি নিজের সীমাবদ্ধতা, জেনেছি অনেক প্রসংগেই অনেক কিছুই। এটাই তো সবচেয়ে বড় কথা!! নিজের ব্লগীয় পরিচয়টা একটা ছবি দিয়েই বুঝিয়ে যাই শেষে, পরিপূর্ণভাবে;