somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটি নস্টালজিক পোস্ট- 8-| 8-| মনে পড়ে আশি/নব্বইয়ের দশকে অসংখ্যবার শোনা এই গানগুলো? পার্ট-২

২৮ শে জুলাই, ২০১০ রাত ৮:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আগের পর্ব

আশি/নব্বইয়ের দশকের বাংলাদেশে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাওয়া ইংলিশ গানগুলোকে একসাথে করে নস্টালজিক গানের পোস্ট/সিরিজ শুরু করেছিলাম। মুটামুটি ৯৫/৯৬ পর্যন্ত শোনা গানগুলো কাউন্ট করছি পোস্টের জন্য। কোন পছন্দের সিরিয়াল মেইনটেইন করছিনা, কেবল আর্টিস্টদের নামের ক্রমানুসারে লিখছি। ঐ প্রজন্মের হলে প্রথম কয়েক সেকেন্ড শুনলেই মনে পড়ার কথা বেশিরভাগ গান। দেখা যাক, মনে পড়ে কিনা! আগের পর্বে কভার;) করেছিলাম এস অফ বেস থেকে শুরু করে জর্জ মাইকেল পর্যন্ত আর্টিস্টদের। কিছুটা ভুলে, কিছুটা ইচ্ছাকৃতভাবে বাদ পড়ে গিয়েছিল ইগলসের কালজয়ী গানটা। আজকের পর্ব ওটা দিয়েই শুরু করছি।


Eagles - Hotel California
ইগলস আমার বাপ/জেঠাদের জমানার ব্যান্ড;) ১৯৭১ এ ফরমড হয় এই রক ব্যান্ডটি লস এন্জেলস, ক্যালিফোর্নিয়াতে। ব্যাপক ব্যান্ড, এদের ব্যাপারে নতুন করে আমি আর কি বলব? পুরা আশির দশক হায়েটাসে ছিল নানা কারণে, পরে আবার ১৯৯৪ এ জোড়া লাগে। (এই ব্যান্ডগুলোকে দেখি আর প্রতীক্ষার প্রহর কাটাই, সিসটেমরা কবে আবার জোড়া লাগবে, আমেরিকার প্রেসিডেন্টের চোদ্দগুষ্ঠী উদ্ধার করে গান গাবে :D :D )। ইগলসের সবচেয়ে জনপ্রিয় গান নিঃসন্দেহে হোটেল ক্যালিফোর্নিয়া। ১৯৭৭ সালের গান হোটেল ক্যালিফোর্নিয়া! বাংলাদেশে ইয়াং পাবলিক নতুন ইংলিশ গান শুনা শুরু করেছে ইগলসের হোটেল ক্যালিফোর্নিয়া শুনেনি, পাওয়া টাফ। আমি নিজে গানটা শুনেছি অনেক বড় হওয়ার পর, এবং কয়েকবার শোনার পর বিরক্ত হয়েছি একটা কারণে। ডিপার্টমেন্টে এক ক্লাশমেট পারলে ডিপার্টমেন্টের প্রত্যেকটা প্রোগ্রামে ক্যালিফোর্নিয়া রাখত, সেটাই বিরক্তির সূচনা ঘটিয়েছিল।


যাই হোক, রোলিং স্টোনস ম্যাগাজিন গানটাকে ৪৯ নাম্বার পজিশনে রেখেছে সর্বকালের সেরা ৫০০গানের লিস্টে। গীটার সোলোটা অসাধারণ, অনেক সেরা গীটারিস্টের চোখে, গীটার ম্যাগাজিন গীটার সোলোটাকে রেখেছে সর্বকালের সেরা গীটার সোলোর লিস্টের ৮নং পজিশনে! গানের লিরিকস বড় সিম্পল, একটা লাক্সারিয়াস হোটেলের কমফোর্ট ফিলিংসের বর্ননা একজন ক্লান্ত-শ্রান্ত ট্যুরিস্টের জন্য, সহজ ভাষায় বললে। তবে নব্বইয়ের দশকে গানটির অন্যতম সুরকার ডন হ্যানলে জানান এই গানে তারা আমেরিকার সাধারণ মানুষের কিছু ফিলিংসকে তুলে ধরেছেন! ১৯৭৮ সালে গানটা জিতেছিল এলবাম অফ দ্যা রেকর্ডের গ্র্যামি! গানটার মিউজিক ভিডিও একটাই পাওয়া যায় সবার কাছে, ১৯৯৪ সালের একটা লাইভ। সেটাই দেখা যাক-

ইউটিউব লিংক, বড় করে দেখতে



Glenn Medeiros - Nothing Gonna Change My Love for You
একজন সিঙ্গার হিসেবে গ্লেনের শুরুটা ছিল চমৎকার। এবং তা এই আলোচ্য গানের বদৌলতেই। নাথিং গনা চেন্জ মাই লাভ ফর ইউ আসলে জর্জ বেনসনের গান, ১৯৮৪ সালের ২০/২০এলবামে ছিল গানটা। ১৯৮৭ সালে আমেরিকার হাওয়াইয়ের এক লোকাল রেডিও কনটেস্টে গানটা কভার করেন গ্লেন, এবং জিতে নেন ফার্স্ট প্রাইজসহ বড় এক রেকর্ড কোম্পানির দৃষ্টি! ১৯৮৮ সালে বের হওয়া গানটা ইউকে টপচার্টে ৪ সপ্তাহ নাম্বার ওয়ান সিঙ্গেলস ছিল। গ্লেন এখন বলতে গেলে গান গাওয়া ছেড়েই দিয়েছেন, লাস্ট এলবাম বেরিয়েছিল ২০০৫এ। জনপ্রিয় এক প্রোগ্রামের হোস্ট এখন গ্লেন। যাই হোক, নতুন এফেয়ার হওয়া বড় ভাইদের সুবাদেই এই গানটা প্রথম কানে ঢুকেছিল। কম্পোজিশনটা সুন্দর, ভাল লাগার মতই গান। জরিপ তাই বলে, রাস্তার পাশে এভারগ্রীন লাভ সং-এর এমপিথ্রীগুলো ঘাটালে এই গানটা পাবেন, মাস্ট;) ভিডিওটা দেখুন।

ইউটিউব লিংক, বড় করে দেখতে



Kaoma ft. Loalwa Braz - Lambada
বাংলাদেশে কত এ্যাডের জিঙ্গেলে যে এই গানটার মিউজিক ইউজ করা হয়েছে ইয়ত্তা নেই, এখনো করা হয়! একবার সুরটা শুনলেই চিনতে পারবেন। এবং আজ পর্যন্ত যত গানের পোস্ট দিয়েছি এই গানটা আমাকে সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছে, পিসির পুরান গানের সাথে ছিল কিন্তু নামটা ভুল লেখা ছিল। আক্ষরিক অর্থেই আন্তর্জাতিক গান এটা। গানের নাম অর্থাৎ ল্যামবাডা ব্রাজিলের একধরণের নাচের নাম, স্পেশালি কাপলদের জন্য। এই নাচটা ব্রাজিলে জনপ্রিয়তা পাওয়া শুরু করে আশির দশকের গোড়ার দিকে, তবে আন্তর্জাতিকভাবে নাচটা জনপ্রিয়তা পায় ক্যাওমা গ্রুপের ল্যামবাডা গানটার কল্যানেই! মেইন গানটা ছিল বলিভিয়ার গ্রুপ Los K’jarkas -এর ১৯৮২ সালের গান Llorando se fue. পরে গানটাকে ট্রান্সলেট করেন Chico de Oliveira এবং গানটা প্রথম গাওয়া হয় ১৯৮৯ সালে। আমরা যে গানটা শুনি এটা ফ্রেঞ্চ পপ গ্রুপ ক্যাওমার গান তবে কোলাবরেশনে গাওয়া এই গানে ভোকাল ছিলেন ব্রাজিলের তখনকার জনপ্রিয় একজন পপ আর্টিস্ট Loalwa Braz, চারটা ভাষায় সমান দক্ষ একজন ভোকাল ছিলেন তিনি। গানটা আনঅথোরাইজড-ভাবে ট্রান্সলেট করায় আইনি জটিতার সৃষ্টি হয়েছিল, পরে অবশ্য ব্যাপারটার আইনি সুরাহা হয় এবং ক্যাওমার পক্ষেই যায় সেটা।


ক্যাওমা এখন নেই, ১৯৯৯ সালে ডিসব্যান্ডেড হয়ে গেছে ব্যান্ডটা। তবে ওদের সবচেয়ে জনপ্রিয় গান হয়ে এখনো মানুষের মুখে মুখে আছে ল্যামবাডা! ব্যান্ডের ডেব্যু এলবামের গান ছিল ল্যামবাডা। বিশাল সামার হিটে পরিণত হয়েছিল গানটা, কোন দেশেই টপচার্টের নাম্বার ওয়ান হতে না পারলেও মোট ৫ মিলিয়ন কপি বিক্রি হয় সিঙ্গেলসটা (রেকর্ডটা আরকি) এর মধ্যে ফ্রান্সে ২মিলিয়ন কপি! বিলবোর্ডে ৪৬ নাম্বার পজিশনে ছিল সম্ভবত ব্রাজিলিয়ান গানগুলোর মধ্যে অন্যতম রেকর্ড এটা। (অধুনা সেপালচুরা, সোলফ্লাই টপচার্টে এর চেয়ে অনেক ভাল পজিশন পায় মেইনস্ট্রিম রকচার্টে)। ব্যাপক জনপ্রিয়তার জন্য জন্য ক্যাওমা পরে গানটার ইংলিশ আর ফ্রেঞ্চ ভার্সনও বের করে। মিউজিক ভিডিওর শ্যুটিং হয়েছিল ব্রাজিলের কোকোস বীচে। ভিডিওটা আমার খুব একটা ভাল লাগেনা। যাকগে, দেখুন ল্যামবাডার মিউজিক ভিডিও-

ইউটিউব লিংক, বড় করে দেখতে



Maddona - Papa Don't Preach
পপের রাণী বলতে একবাক্যে সবাই ম্যাডোনাকেই চেনে, যদিও আমি মানি না;) ঐ পজিশনে কাউকেই কেন জানি খুব একটা সুইটেবল মনে হয়নি:| (গানের আবার রাজারাণী কি, মাইকেল জ্যাকসন কি ম্যাডোনার জামাই ছিল নাকি?;)) ম্যাডোনার জনপ্রিয় গানগুলোর একটা ছিল ১৯৮৪ সালের ট্রু ব্লু এলবামের গান- পাপা ডোন'ট প্রীচ! বিলবোর্ডের হট হান্ড্রেডে ম্যাডোনার ক্যারিয়ারের চতুর্থবারের মত নাম্বার ওয়ান সিঙ্গেলসে পরিণত হয়েছিল এটা। লিরিকস ব্যাপক বিধ্বংসী টাইপের, নিজের আরলি লাইফের খানিকটা (না পুরাটাই?) রিফ্লেক্ট হয়েছে গানের কথায়। টীনএজারদের প্রেগনেন্সী এবং এবরেশন ছিল গানের বিষয়বস্তু! উল্লেখ্য, এই গানের থেকেই শুরু হয় ভ্যাটিকানের সাথে ম্যাডোনার দ্বন্দ, ১৯৮৭ সালের ম্যাডোনার ওয়াল্ড ট্যুরে ইটালিয়ান ভক্তদের না যেতে আহ্বান জানান পোপ জন পল সেকেন্ড।

ইউটিউব লিংক, বড় করে দেখতে



Michael Jackson – Beat It; Thriller; They Don’t Care About Us
পপের রাজা বলতে একবাক্যে সবাই জ্যাকসনকেই চেনে (গানের আবার রাজারাণী কি, ম্যাডোনা কি মাইকেল জ্যাকসনের বউ ছিল নাকি?;)) আর দশটা দেশের মত বাংলাদেশেও ইংলিশ গানের আগ্রাসনের নেতৃত্বে ছিল মাইকেল জ্যাকসনের গান। ইংলিশ গান অল্প হলেও শুনেছে অথচ জ্যাকসনের গান শুনেনি- এরকম পাবলিককে ইজিলি যেকোন মিউজিয়ামে স্হান দেয়া যাবে;)। জ্যাকসনের বিচিত্র/বর্ণময় লাইফস্টাইল নিয়ে নতুন কিছু বলার নেই, এবং সিরিজের যত গান আছে নিঃসন্দেহে জ্যাকসনের গানগুলো এড়িয়ে যাওয়ার চান্সই বেশি এগুলো এতবার শোনা হয়েছে:| সব আর্টিস্টের ম্যাক্সিমাম ১টা গান রাখার নীলনকশা নিয়ে সিরিজ শুরু করলেও জ্যাকসন মরেও আমার প্ল্যানে বাধ সাধল;)


তিনটা গানের কথা বলব। বিট ইট নিঃসন্দেহে সারা পৃথিবীতেই জ্যাকসনের সবচেয়ে সেরা গান। কত কোটিবার গানটা বাজানো হয়েছে সেটাই একটা ভাল স্ট্যাটিসটিক্স হতে পারত;) থ্রিলার (জ্যাকসনের সবচেয়ে সফল এলবাম) এর গান ছিল, ১৯৮২ সালে রিলিজ হওয়া গান থ্রিলারের ট্র্যাকলিস্টে ৫নংএ ছিল গানটা! এলবামটা নিয়ে কয়েকটা কথা বলি, এটা সম্ভবত পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে সফল এলবাম। সারা পৃথিবীতে আজ পর্যন্ত সম্ভবত ১০০ মিলিয়নেরও বেশি বিক্রি হয়েছে, ১৯৮৪ সালের গ্র্যামিতে রেকর্ড ৮টা গ্র্যামি এনেছিল এলবামটা বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে, কোন আর্টিস্টই আজ পর্যন্ত এই রেকর্ড ভাঙতে পারেননি! এমনিতে বিট ইট গ্র্যামি পেয়েছিল ২টা, আর রোলিং স্টোনসের সর্বকালের সেরা ৫০০গানের লিস্টে ছিল ৩৩৭নং পজিশনে। অনেক মুভিতেও গানটা ইউজ করা হয়েছে, সাপোজ বলতে পারি ব্যাক টু দ্যা ফিউচারের পার্ট২ এ (আমার অন্যতম প্রিয় ট্রিলজি এটা:)) ছিল! আর লেটেস্ট একটা জরিপের নিউজ দেই, সনি এরিকসনের ২০০৫ সালের ৬০দেশের ৭০০,০০০ লোকের ওপর চালানো জরিপের ফল বলছে বিট ইট সর্বকালের চতুর্থ ফেভারিট গান! ইতিহাস/রেকর্ড আর না ঘাটিয়ে গানের মিউজিক ভিডিওটা দেখা যাক-

ইউটিউব লিংক, বড় করে দেখতে


এরপর অবশ্যই বলতে থ্রিলার গানটার কথা। গানটা থ্রিলার এলবামের ৪নং ট্র্যাকলিস্টে ছিল, এটার জনপ্রিয়তার মেইন কারণ এটার মিউজিক ভিডিও। বাংলাদেশের অনেক পুরান মিউজিক লাভার এখনো বলেন, 'মিউজিক ভিডিও একটা ছিল থ্রিলারের, মারাত্মক জিনিষ!!' মাইকেলের পরের বেশকটা এলবামের ডিভিডিতে এই গানটা আর বিট ইট গানটা বারবার যোগ করা হয়েছে, জনপ্রিয়তায় এতটাই এগিয়ে ছিল গান ২টা!

ইউটিউব লিংক, বড় করে দেখতে


মাইকেলের সর্বশেষ জনপ্রিয়তা পাওয়া গান বাংলাদেশে- দে ডোন'ট কেয়ার এবাউট আস! অত আহামরি গান না, বাংলাদেশে বা অন্যান্য দেশে এতটা জনপ্রিয়তা পাওয়ার অন্যতম কারণ থ্রিলারের রেশ আর মাইকেলের চেহারা সম্পূর্ণ বদলে যাওয়ার পরের গান বলে (আমার নিজের তাই মনে হয়েছে:|) ১৯৯৬ সালে রিলিজ হওয়া HIStory: Past, Present and Future, Book I এলবামের গান। তবে গানের মিউজিক ভিডিওটা ছিল মাইকেলের জন্য খুব দুরুহ একটা কাজ। ব্রাজিলের রিও ডি জেনরির এক ঘিন্জি এলাকাতে ভিডিওটা করা হয়, ব্রাজিলের সরকার পারমিশন দিতে চায়নি প্রথমে লোকসমাগম ঠেকানো সমস্যা হবে এবং এলাকার নোংরা অংশ সারা দুনিয়া দেখবে এই ভয়ে, কোর্টের ইনজাংকশন পর্যন্ত জারি হয়েছিল ঐ ভিডিওর শ্যুটিং ঠেকাতে! মাইকেল এবং ঐ এলাকার লোকজন সবাই মিলে ব্যাপারটা চমৎকার সামাল দেন। ১৫০০ পুলিশ ছাড়াও লোকাল ৫০জন পাবলিক ক্রাউড সামলানোর দায়িত্ব নেন এং শেষ পর্যন্ত ভালয় ভালয় কাজটা শেষ হয়। পরবর্তীতে ব্রাজিল সরকার বাধ্য হয় ঐ এলাকার জনউন্নয়নমূলক কাজ বাড়াতে এবং জীবনযাত্রার মান বেটার করতে। এটার আরেকটা ভার্সন আছে, প্রিজন-ভার্সন। তবে সবচেয়ে জনপ্রিয় মনে হয় ব্রাজিলের রিও ডি জেনরিতে বানানোটাই!

ইউটিউব লিংক, বড় করে দেখতে



Michael Learns to Rock – Someday; Sleeping Child
মাইকেল লারনস টু রক!! নব্বয়ের দশকে বাংলাদেশের ঘরে ঘরে সবচেয়ে বেশি বাজা ইংলিশ গানটা সম্ভবত ওদেরই (সেলিন ডিয়নের হার্ট যায় গা এর আগে পর্যন্ত X( X( )! গানের কথা বলার আগে ওদের পরিচয় দেই খানিকটা। এমএলটিআর ডেনমার্কের পপ-রক ব্যান্ড, উইকিতে দেখলাম কে জানি সফট রকও লিখে রেখেছে (রক নামধারী কিছু ঠান্ডা পপ জাঁনরের নাম আমার মেজাজটা খারাপ করে দেয়, তার মধ্যে অন্যতম সফট রক, মেলো রক আর ইন্ডি রক X( X(( X(( )। ১৯৮৮ সালে ফরমড হওয়া এই ব্যান্ডের মেইন সাকসেস সবসময়ই এসেছে এশিয়ার দেশগুলোতে। কারণ, ডেনিশ ব্যান্ড হওয়ার পরও ইংলিশে গান গাওয়া, গানের সহজ স্ট্রাকচার, সহজ-সুন্দর লিরিকস এবং বিগেনারদের জন্য সহজে শেখা যায় এরকম মিউজিক! এমি রেকর্ডসের সাথে চুক্তিবদ্ধ ব্যান্ড, এমি কতৃপক্ষ একবার বলেছিল এমএলটিআর-এর জনপ্রিয়তার কারণ তাদের বিভিন্ন অঞ্চলের গানের সুন্দর সংমিশ্রণ পপ জাঁনর এবং ব্যান্ড মিউজিক ফর্মে সেটা প্রেজেন্টেশনের জন্য। যদিও ব্যান্ডের ভোকাল এবং মেইন সং-রাইটার Jascha Richter এর সাথে পুরাপুরি একমত হতে পারেননি। যাই হোক, ১৯৯৫ সালে রিলিজ হওয়া এলবাম প্লেইড অন পিপার এর ২নাম্বার গান ছিল সামডে। কত হাজারবার যে শুনেছি আশেপাশে ইয়ত্তা নেই, এবং গানটা এতই সুন্দর ছিল বারবার শোনার জন্য অধীর আগ্রহে ওয়েট করতাম। ভিডিওটা সিম্পল, কিন্তু খুব সুন্দর একটা লোকেশনে শ্যুট করা। ভাল লাগার মতই একটা গান। ভিডিওটা দেখুন,

ইউটিউব লিংক, বড় করে দেখতে


এই গানটা সামডের পরে শুনেছি, যদিও সময়ের হিসেবে এটা সামডের ৩বছর আগের গান। ১৯৯৩সালের এলবাম কালারস প্রায় ১মিলিয়ন কপি বিক্রি হয় ওয়াল্ডওয়াইড! এবং তার মধ্যে আমার আশেপাশে ব্যাপক শোনা অন্যতম গানে পরিণত হয় স্লিপিং চাইল্ড। গানের কথাগুলো খুবই সিম্পল কিন্তু ভাল লাগার মত গান সহজ স্ট্রাকচার এবং ভিডিওটাও বেশ সুন্দর বানিয়েছিল। দেখুন ভিডিওটা।

ইউটিউব লিংক, বড় করে দেখতে





এম.পি.থ্রী ডাউনলোড লিংক:
Eagles - Hotel California
Glenn Medeiros - Nothing Gonna Change My Love for You
Kaoma ft. Loalwa Braz - Lambada
Maddona - Papa Don't Preach
Michael Jackson - Beat It
Michael Jackson – Thriller
Michael Jackson – They Don’t Care About Us
MLTR - Someday
MLTR - Sleeping Child



******পরের পর্বে শেষ হবে নস্টালজিক গানের সিরিজ। বিটিভির এ্যাডওয়ালাদের আরেকটা ব্যাপক ফেভারিট গান (একই সাথে চরম ক্ষ্যাত একটা গানও বটে;)) থাকবে পরের পর্বে, সাথে থাকবে আরো কয়েকজন ফেভারিট আর্টিস্টের বাংলাদেশ জয় করা গান এবং উইন্ড অফ চেন্জ!



পরের পর্ব
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা মার্চ, ২০১২ সকাল ৭:৫২
৪৫টি মন্তব্য ৪৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা

লিখেছেন মুনতাসির, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:২৪

বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন

আত্মপোলব্ধি......

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৫১

আত্মপোলব্ধি......

একটা বয়স পর্যন্ত অনিশ্চয়তার পর মানুষ তার জীবন সম্পর্কে মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যায়। এই বয়সটা হল পঁয়ত্রিশ এর আশেপাশে। মানব জন্মের সবকিছু যে অর্থহীন এবং সস্তা সেটা বোঝার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন থেকে নেয়া ইলিশ মাছের কিছু স্মৃতি !

লিখেছেন হাসানুর, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৩২



হঠাৎ ইলিশ মাছ খেতে ইচ্ছে হল । সাথে সাথে জিভে ..জল... চলে এল । তার জন্য একটু সময়ের প্রয়োজন, এই ফাঁকে আমার জীবন থেকে নেয়া ইলিশ মাছের কিছু স্মৃতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ট্রাম্প ক্ষমতায় আসছে এটা ১০০% নিশ্চিত। আমেরিকায় ইতিহাসে মহিলা প্রেসিডেন্ট হয়নি আর হবেও না।

লিখেছেন তানভির জুমার, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৩৩

আর এস এস সহ উগ্র হিন্দুদের লিখে দেওয়া কথা টুইট করেছে ট্রাম্প। হিন্দুদের ভোট-আর ইন্ডিয়ান লবিংএর জন্য ট্রাম্পের এই টুইট। যার সাথে সত্যতার কোন মিল নেই। ট্রাম্প আগেরবার ক্ষমতায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ট্রাম্প জিতলে কঠোর মূল্য দিতে হবে ইউসুফ সরকারকে?

লিখেছেন রাজীব, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৪২

ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক মন্তব্যে বাংলাদেশের মিডিয়ায় ঝড় উঠেছে। ৫ তারিখের নির্বাচনে ট্রাম্প জিতলে আরেকবার বাংলাদেশের মিষ্টির দোকান খালি হবে।

আমি এর পক্ষে বিপক্ষে কিছু না বললেও ডায়বেটিসের রুগী হিসেবে আমি সবসময়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×