আশি/নব্বই দশকের কথা। সিডি মাত্র বাজার পাওয়া শুরু করেছে কিন্তু অডিও ক্যাসেটের চরম জয়জয়কার চলছে তখনো। যারা বেশি সংগীতপিপাসু প্রায়ই এমপ্লিফায়ার দিয়ে মুটামুটি পাড়া কাঁপিয়ে গান শোনেন তখন, যেটাকে প্রচলিত ভাষায় বলা হত 'ডেকসেট', উফার তখনো বাজারে আসেনি। ব্যান্ড মিউজিক বাংলাদেশে তখন স্পেসিফিক কিছু শ্রোতাদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় অন্য পপ টাইপের বাংলা গানেরও প্রচুর শ্রোতা। কিন্তু ইংলিশ গানের শ্রোতা সে তুলনায় বেশ কম, যাও অল্প যে কজন আছেন, ঘুরে ফিরে খালি অল্প কিছু গানই বাজাতেন। বেশিরভাগ বাসাতেই বাংলা আর হিন্দি গানের ভক্তই বেশি, দুয়েকজন যাও একটু আধটু শুনতে চাইত, প্লেয়ার নিয়ে কাড়াকাড়ির জন্য, বরাদ্দকৃত টাইম পেতও কম ছাড়লে গানের টাইপ নিয়ে হাজার কথা, মারামারি পর্যন্ত গড়াতে দেখেছি এলাকার বড়দের মাঝে বেশিরভাগ গানই এখন মনে নেই, পিসির পুরান কালেকশন ঘাটলে এখন মনে পড়ে গানগুলোর কথা, আহারে কতদিন রাস্তায় শুনেছি মাইকেল জ্যাকসনের বিট ইট, এলটন জনের স্যাক্রিফাইস, এস অফ বেসের অল দ্যাট সি ওয়ান্টস.....
মুটামুটি ৯৫/৯৬ পর্যন্ত শোনা গানগুলো কাউন্ট করছি পোস্টের জন্য। সেলিন ডিওনের হার্ট যায় গা, এত বেশি বাজিয়েছে পাবলিক- শুনলেও এখন বিরক্তি লাগে (বাঙালি যেটা ধরে একবারে শেষ করে তারপরে ছাড়ে ) আর বিভিন্ন রকমের বালক নামধারী কতিপয় ব্যান্ডকেও এই পোস্টে কনসিডার করছিনা; ইয়াং পোলাপাইন সবকটা, নিজেরা কোন ইনস্ট্রুমেন্ট বাজায় না, খালি নতুন কুড়ির বাচ্চাদের মত হেলেদুলে গান গায়, বিরক্তিকর । এতগুলো লোক আলাদা ইন্সট্রুমেন্ট বাজাচ্ছে তোদের জন্য- তোদের যখন গান গাওয়া ছাড়া কোন কাজ নাই, ব্ল্যাক মেটাল গা, ডেথ মেটাল গা, তা না, ধুপুর ধুপুর বিটের ফফ ঘান গায় (তবে ওয়েস্টলাইফকে বাংলাদেশের স্যালুনগুলো খুব ভাল পায়, বেশিরভাগ দোকানেই দেখি ওদের পোস্টার) যাকগে, এরকম অল্প কিছু গান নিয়েই আজকের পোস্ট। মেটালহেডদের কথা বলছিনা এই পোস্টে, বড়জোড় রক! কোন পছন্দের সিরিয়াল মেইনটেইন করলাম না, কেবল আর্টিস্টদের নামের ক্রমানুসারে লিখছি। অনেক ছোটবেলার কথা, বেশিরভাগ গানই হয়ত মিস হবে (যেই গানগুলো সবচেয়ে বেশি শুনেছি বলে মনে পড়ে পোস্টে সেগুলোর কথাই লিখছি), তাই আশা করব সবার কাছে, আরো কোন গানের কথা মনে পড়লে কমেন্টে উল্লেখ করবেন, পরের পর্বে দেয়ার চেষ্টা করব। ঐ প্রজন্মের হলে প্রথম কয়েক সেকেন্ড শুনলেই মনে পড়ার কথা বেশিরভাগ গান। দেখা যাক, মনে পড়ে কিনা!
Ace of Base - All That She Wants
বড় বিরক্তিকর গান আমার মত পাবলিকদের জন্য। তবে গানটা আশেপাশের পাবলিকরা এত বাজিয়েছে, এটা দিয়েই পোস্ট শুরু করতে হল ২০০০সাল পর্যন্ত অনেকবার শুনেছি গান দূর থেকে! এস অফ বেস সুইডেনের গোথেনবার্গের ব্যান্ড, ফর্মড হয় ১৯৮৭ সালে। মেইনলি Berggren-দের ফ্যামিলি ব্যান্ড, দুই বোন জেনি, লিন আর তাদের ভাই জোনাসের সাথে ব্যান্ডের ফাউন্ডিং মেম্বার ছিলেন উলফ একবার্গ। এখন অবশ্য লিন আর জেনি ব্যান্ড ছেড়ে দিয়েছেন। প্রথম থেকেই ইউরোপের বেশকিছু দেশে ইউরোপপ ড্যান্সপপ টাইপের গানের জন্য জনপ্রিয় হয় ব্যান্ডটি। আলোচ্য গানটা এমনিতে বড় বিরক্তিকর গান আমার চোখে। গতানুগতিক ধুপুর ধুপুর বিট সর্বস্ব গান মনে হয়েছিল প্রথম থেকেই। কিন্তু আমি মনে করলেই তো হবে না, ১৯৯২এর শেষের দিকে রিলিজ হওয়া গানটি ইউরোপের অনেক দেশেই নাম্বার ওয়ান সিঙ্গেলসে পরিণত হয়, ইভেন ইউএসেও পায় বিলবোর্ডের হট হান্ড্রেডে ২নং পজিশন। আর গতকাল দেখলাম গানটা নাকি জার্মানির সর্বকালের শ্রেষ্ঠ গানের লিস্টে ৭১নং পজিশনে আছে মিউজিক ভিডিওটা দেখুন,
ইউটিউব লিংক, বড় করে দেখতে
Baltimora - Tarzan Boy
জর্জ অফ দ্যা জাঙ্গল, টিনেজ মিউট্যান্ট নিনজা টারটেলস ৩, বেভারলি হিলস নিনজা- এই মুভি তিনটা যারা দেখেছেন, গানটা কয়েক সেকেন্ড শুনলেই চিনতে পারবেন। সম্ভবত সেই সুত্রেই গানটার বাংলাদেশে আগমন(এটা আমি শিওর না)। বাল্টিমোরা ছিল ইটালিয়ান নিউওয়েভ, ইউরো-ডিসকো ব্যান্ড। এমি রেকর্ডসের সাথে চুক্তিবদ্ধ ব্যান্ড ছিল টিকেছিল টেনেটুনে মাত্র দুই বছর (১৯৮৫-৮৭)। তবে ওদের নাম না শুনলেও টারজান বয়(১৯৮৫) গানটা অসম্ভব জনপ্রিয় হয়েছিল অনেক দেশেই, এর অসাধারণ ইন্ট্রোটার জন্য। গানের শুরুতে থাকে টারজানের একটা মেলোডিক ক্রাই, এবং গানটার মেইন আকর্ষণ সেটাই (অবশ্য অনেকে সেটার জন্যই গানটা দুই চোক্ষে দেখতে পারেন না) রিদমিক স্ট্রাকচার এবং সহজবোধ্য ইংলিশ লিরিকের জন্যই গানটা ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। অরিজিনাল মিউজিক ভিডিওটা স্টপ মোশন এনিমেশন ইউজ করে বানানো এবং বেশ বিরক্তিকর, বলতে গেলে কিছুই বোঝা যায়না। জর্জ অফ দ্যা জাঙ্গলের আরেকটা রিমেক আছে সেটাই আপলোড করলাম
ইউটিউব লিংক, বড় করে দেখতে
Boney M. - Rivers of Babylon
বনি এম নিয়ে কিছু বলা আমার শোভা পায় না। পপ, ডিসকো, ইউরো-পপে জগৎজোড়া খ্যাতি অর্জন করা ব্যান্ড, ওদের সবচেয়ে হিট গান কোনটা আমি জানি না, বেশিরভাগ সিঙ্গেলসই এতটা জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। ব্যান্ডের বেস ছিল ওয়েস্ট জার্মানি কিন্তু মেম্বারদের ২জন ছিলেন জ্যামাইকান আর বাকি দুজন ছিলেন মনটসেরাটের। জ্যামাইকান মিউজিকের বেশ ভাল প্রভাব এদের অনেক গানেই দেখা গেছে। রিভারস অফ ব্যাবিলন নয়, আমার চোখে ওদের সবচেয়ে ফেভারিট গান ছিল নাই, নাই! কিন্তু এই গানটা মনে হয় আমার বাসার আশেপাশের জনগোষ্ঠী অতটা পছন্দ করত না, তাই অনিচ্ছা সত্ত্বেও বাদ দিলাম পোস্টে রিভারস অফ ব্যাবিলন গানটা কিন্তু ঠিক ওদের গান না, আরেক জ্যামাইকান ব্যান্ড দ্যা মেলোডিয়ানসের গান, ১৯৬৫ সালের। বনি এম গানটা কভার করে ১৯৭৮সালে, এবং সেটাই মেইন গানটাকে ছাড়িয়ে বহুদূর চলে যায় জনপ্রিয়তার মাপকাঠিতে। গানের লিরিকে; বনি এমের গানটাতে কত গভীর কথা যে বলা হয়েছে না শুনলে বিশ্বাস করা যায় না। প্রাচীন মেসোপটেমিয়ার ব্যাবলিন শহরে প্রার্থনারত কয়েকজনের গান, অথচ রিদম শুনলে বুঝার উপায় নেই, ইংলিশ না বুঝলে তো কথাই নেই কোন ডেথ মেটাল গ্রুপকে গানটা শোনালে মন্দ হত না, ঈশ্বরকে যে রিদম সহকারেও ডাকা যায়, বুঝত
ইউটিউব লিংক, বড় করে দেখতে
Bryan Adams - (Everything I do) I do it for you
বড় রোমান্টিক গান। ব্রায়ান এডামস ক্যানাডিয়ান সিঙ্গার, যতদিন যাচ্ছে ততই ইয়াং হচ্ছেন যেন। ব্রায়ানের ব্যাপারে নতুন করে কিছুই বলবার নেই, ক্যানাডার শ্রেষ্ঠ গীটারিস্ট এবং ফটোগ্রাফারদের একজন; অর্ডার অফ ক্যানাডা এবং অর্ডার অফ ব্রিটিশ কলাম্বিয়া জেতা পাবলিক! যাকগে, গানটার কথা বলি। ১৯৯১ সালের ওয়েকিং আপ দ্যা নেইবারস এলবামের গান, ব্যালাড। এভরিথিং আই ডু ভাল লাগেনি এরকম পাবলিক কম, (বরং আমারই কিছুটা কম ভাল লেগেছে ব্রায়ানের অন্যান্য গানের তুলনায়) সাউন্ড ট্র্যাক ছিল রবিনহুড, প্রিন্স অফ থিফ মুভিতে। ব্রায়ান এডামস আজ পর্যন্ত ১৫টি গ্র্যামি নমিনেশন পেলেও জিতেছেন একটা, সেটা এই গানটার মিউজিক ভিডিওর জন্য, ১৯৯২ সালে। টানা ১৬ সপ্তাহ ইউকে চার্টের নাম্বার ওয়ান ছিল (ব্রিটিশ চার্টের জন্য হায়েস্ট রেকর্ড এটা), বিলবোর্ডে হট হান্ড্রেডে নাম্বার ওয়ান ছিল ৭ সপ্তাহ! জটিল লিরিকস, দেখুন ভিডিওটা-
ইউটিউব লিংক, বড় করে দেখতে
Elton John - Sacrifice
স্যার এলটন হারকিউলিস জন! মিউজিক জগতে যেই অবদান রেখেছেন তাকে লিজেন্ডই বলা উচিত। চার যুগের মিউজিক ক্যারিয়ারে আজ পর্যন্ত তার কমপক্ষে ২৫০ মিলিয়ন রেকর্ডস বিক্রি হয়েছে (বুঝলাম না কেমনে সম্ভব- আমি একটাও কিনি নাই, কিনব সেই সম্ভাবনাও নাই)ক্যান্ডেল অফ দ্যা উইন্ড শুনে একজনকে আমি লেডি ডায়ানার শোকে যতটুকু কাঁদতে দেখেছিলাম, নিজের আপন ভাই মরার পরও তাকে অতটা কাঁদতে দেখিনি। তারপরও এই লিজেন্ডের নাইটহুড পেতে দেরি হয়েছিল কেবল গৌরবজ্জ্যোল পারসোনাল লাইফের জন্য। আজকের পোস্টে আমি এলটন জনের স্যাক্রিফাইসের উল্লেখ করছি কারণ ক্যান্ডেল অফ দ্যা উইন্ডের তুলনায় স্যাক্রিফাইসটা অনেক বেশি শুনেছি আশেপাশে। নতুন এফেয়ার হয়েছে স্যাক্রিফাইস শুনেনি এরকম পাবলিক রেয়ার পপুলেশনেই পড়ে কে জানে আমাদের বাসার আশেপাশে হয়ত ওরকম লোকই বেশি থাকত (নতুন এফেয়ার হওয়া আরকি)!! তবে মজার ব্যাপার কি, এই গানটাই ছিল এলটন জনের প্রথম নাম্বার ওয়ান সিঙ্গেলস, (এর আগে কোলাবরেশনে বেশ কয়েকটা থাকলেও নিজের একার ছিলনা) ইউকে টপচার্টে গানটা লিখেছিলেন জন এবং তার দীর্ঘদিনের লিরিকস লিখার পার্টনার Bernie Taupin. ভিডিওটা দেখুন-
ইউটিউব লিংক, বড় করে দেখতে
Europe - The Final Countdown
পোস্টের অল্প কিছু রক গানের মধ্যে এটা একটা। অল্প কয়েকজন রকলাভার থাকত বাসার আশোপাশে, তাদের বেশিরভাগ সময়েই এই গানটা বাজাতেই দেখতাম। একবার মারামারি পর্যন্ত হয়েছিল এক বাসায় এই গানটা বাজানো নিয়ে (ডিটেইলস কাহিনী এখন মনে নেই) বাংলাদেশের এ্যাড মিডিয়াতে গানটা তুমুল জনপ্রিয় এখনো, কত এ্যাডে যে এই গানটার মিউজিক ইউজ করা হয়েছে, আল্লাহয় জানে! ইংলিশ গান বাজায় এরকম সব দোকানে গান মুটামুটি রোজই বাজানো হয়।
যাকগে, ইউরোপ আসলেই ইউরোপের ব্যান্ড, সুইডেনের হার্ড রক/হেভি মেটাল ব্যান্ড। ১৯৭৯ সালে ফর্মড হয়ে ১৯৯২ পর্যন্ত টিকেছিল, তারপর ভেঙে যায়। ২০০৩ সালে আবার জোড়া লাগে, তবে লেটেস্ট অবস্হা বা নতুন এলবাম বা সিঙ্গেলস সম্পর্কে তেমন একটা জানি না। ইউরোপের আজ পর্যন্ত সবচেয়ে জনপ্রিয় গান বলতে একবাক্যে দ্যা ফাইনাল কাউন্টডাউন-কেই বলতে হবে। ১৯৮৬ সালের সেম নামের এলবামের লিড সিঙ্গেলস ছিল, ঐ সময়ে ২৫টা দেশের নাম্বার ওয়ানে পরিণত হয়। তবে যতটুকু শুনেছি, গানটা হার্ড রক বা ঐ ধাঁচের ঠিক মনে হয়নি, গ্লাম রক বা মেটাল হবে সম্ভবত। অপ্রাসঙ্গিক একটা কথা যোগ করি এখানে, গানটা অনেক ব্যান্ড কভার করলেও ফিনিশ ব্যান্ড চিলড্রেন অফ বডম কখনো কভার করেনি-যেটা নিয়ে অনেকের কনফিউশন আছে।যদিও নর্দার, ডিসপ্যাচড এই ব্যান্ডগুলো এই গানটাকে কভার করেছিল। ভিডিওটা যোগ করলাম, এটা অরিজিনাল কিনা জানি না, তবে ম্যাক্সিমাম জায়গায় এটাই দেখেছি।
ইউটিউব লিংক, বড় করে দেখতে
George Michael - Careless Whisper
প্রথম কয়েক সেকেন্ড শুনলে চেনার কথা এটাও। জর্জ মাইকেল আরেকজন, যিনি ব্যাক্তিজীবনের জন্য যথেষ্ট আলোচিত। ১৯৮০ থেকে সংগীত জগতে ক্যারিয়ার শুরু করলেও সবচেয়ে বড় ব্রেকথ্রুটা পান ১৯৮৪ সালের সিঙ্গেলস কেয়ারলেস হুইসপারের বদৌলতে। অসাধারণ মন উদাস করা ইন্ট্রো, স্যাক্সোফোনের আনকমন রিফ, লিরিকসে বিষন্নতার ছায়া গানটাকে এতটা বিখ্যাত হতে সাহায্য করেছে। ২৫টারও বেশি দেশে নাম্বার ওয়ান সিঙ্গেলসে পরিণত হয়, বিক্রি হয়েছে আজ পর্যন্ত প্রায় ৬মিলিয়ন কপি। কতজন যে গানটা কভার করেছে ইয়ত্তা নেই। তবে আমার কাছে সবচেয়ে ভাল লেগেছে সাউথ আফ্রিকান ব্যান্ড সিদারের টা, সিদারের একজন বড় ফ্যান বলেই শুধু না, সিদারের কভারটা আমার কাছে মেইন গানটার চেয়েও বেশি ভাল লেগেছে। সিদারের লাস্ট এলবামে কভার করে গানটা (২০০৯ সালে)! শন মর্গানের গলায় জোস হয়েছে গানটা! স্যাক্সোফোনের রিফ গীটারে জটিল তুলেছেন শন। ভিডিওটা দেখুন, সেকেন্ডটাতে সিদারের টাও যোগ করলাম, যদিও সিদারেরটা এনিমেটেড!
ইউটিউব লিংক, বড় করে দেখতে
ইউটিউব লিংক, বড় করে দেখতে
এমপিথ্রী ডাউনলোড লিংক:
Ace of Base - All That She Wants
Baltimora – Tarzan Boy
Boney M. - Rivers of Babylon
Bryan Adams – (Everything I do) I do it for you
Elton John – Sacrifice
Europe - The Final Countdown
George Michael - Careless Whisper
Seether - Careless Whisper (George Michael Cover)
***এই আর্টিস্টদের অন্য কোন গানও সাজেস্ট করতে পারেন। পরের পর্বে আরো কিছু থাকবে, মাইকেল জ্যাকসনের সহ!!
পরের পর্ব