somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শেয়ার বাজার: ট্রেইলিং স্টপ

১৪ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রফেশনাল কাজের জন্য পড়াশোনার বাইরে বই-পিডিএফ পড়ার অভ্যাস ভায়াবহ ভাবে কলে গেছে ইদানিং কালে। চিত্যবিনোদনের জন্য পড়া - এটা এখন প্রায় স্বপ্ন আমার জন্য। শেয়ার বাজার নিয়ে আমার অসম্ভব আগ্রহ ও খুব একটা কাজে দিচ্ছিলনা শেয়ার সম্পর্কিত বইপত্রে চোখ রাখতে। মাস খানেক আগে প্রায় নিজের উপর জোর খাটিয়ে 'Stock Investing for Dummies' পিডিএফটি পড়া শুরু করলাম। জানা অনেক বিষয় গুল ঝালাই হবার পাশাপাশি নতুন একটা টেকনিক শেখা হল, যার নাম ট্রেইলিং স্টপ।

যারা শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করেছেন তাদের অনেকেই ঠিক বুঝতে পারেন না যে কত দামে তার হাতে থাকা শেয়ারটি বিক্রি করবেন। তাই আমি শেয়ার কেনার সময়ই একটা টার্গেট ঠিক করে তার অপেক্ষায় থাকতাম। অভিষ্ট দাম পেলেই বিক্রি ! ফলে শেয়ার হাত ছাড়া করার পরই দাম অনেক বেড়ে যাবার ঘটনা ঘটেছে বেশ কবার। এমন অবস্থায় আফসোসে হাত কামড়ানো ছাড়া কোন উপায় নাই - দাম বাই জোনের বাইরে কিনে ধরা খাবার সম্ভবনা আছে আবার দাম ও ধীরে ধীরে বাড়ছে অর্থাৎ চেয়ে দেখা ছাড়া কোন উপায় নাই।

এই অবস্থা থেকে বাচার একটি ৯০ ভাগ সফল উপায় হল ট্রেইলিং স্টপ সেল অর্ডার। ধরুন ১০০ টাকায় কেনা একটি শেয়ারে আপনার সেল টার্গেট হল ১৩০। সে অনুযাই বিক্রির পড় দাম সর্বোচ্চ ১৭০ টাকায় উঠল। ফলে আপনি অতিরিক্ত ৪০ টাকা লাভ থেকে বন্চিত হলেন, ভাবুন যদি আপনি শেয়ারটি ১৫৩ বা ১৬২ টাকায় বিক্রি করতে পারতেন ! শুধু মাত্র জতিশী ও অতিভাগ্যবানদের পক্ষেই শেরারটি ১৭০ টাকায় বিক্রি করা সম্ভব। তাই আমরা ১৩০ এর চাইতে ১৫৩/১৬২ পেলেই আল্লহকে ধন্যবাদ জানানো উচিত।

এখন আমি আপনাদের এই উপায় যা আমাদের ১৫৩/১৬২ পেতে সাহায্য করবে তার বিবরণ দিচ্ছি। ট্রেইলিং স্টপ - নাম থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে আমাদের শেয়ার মূল্য কে ট্রেইল বা অনুসরন করতে হবে, যা আমরা সবাই করি কিন্তু ঠিক উপায়ে করি না। অস্ভাবিক অবস্থা না হলে কোন শেয়ারের দামই টানা বাড়ে না। ২-৪ দিন বাড়ে ১-২ দিম কমে আবার বাড়ে, অর্থাত উঠা-নামার মধ্যে উঠার গতি বেশি বলেই দাম বৃদ্ধি পেতে থাকে।

এবার আমাদের উদাহরনটিতে ফিরিয়ে আনি, ১০০ টাকার শেয়ারটি যখন ১২০ টাকায় পৌছে তখনই আমাদের টেনশন শুরু কারন সেল টার্গেট আর ১০ টাকা দূরে। এই অবস্থায় আপনি ১০% ট্রেইলিং স্টপ প্রয়োগ করুন। ফলে আপনার নতুন সেল টারগেট হল 120X0.9=108। ১০৮ টাকা হলে আপনি বিক্রি করে দিবেন। দাম কমে ১২০ থেকে ১১৫ হল। শে্যারটির দাম ১৩০ টাকা হবার কোন নিশ্বয়তা কিন্তু নাই , হতে পারে ১২০ টাকাই এ বছরে শেয়ারটির সর্বোচ্চ মূল্য। এ ক্ষেত্রে আপনি ১০৮ টাকায় শেয়ারটি সেল করে লাভ সহ বেরুতে পারবেন না হলে ১৩০ টাকার আশায় লোকশানে পড়বেন বা কেনা দামে ছেড়ে আসবেন। কিন্তু যদি শেয়ারটি ১১৫ টাকা থেকে ১২৫ টাকায় আসে তখন আপনি আরেকটি সেল টারগেট পাবেন 125X0.9=113। এভাবে ১৩০ এ ১১৭, ১৪০ এ ১২৬ টাকা আপনার সেট টারগেট হল। যেহেতু দাম এখন ১৪০ মানে আপনার টার্গেটের চাইতে ১০ টাকা বেশি সেহেতু আপনি আরো আক্রমনাত্বক হলেন ট্রেইল পারসেন্টেজ ১০ থেকে ৫ এ নিয়ে আসলেন। ফলে ১৪০ এ 140X0.95=133 , ১৬০ এ ১৫২ আর ১৭০ এ ১৬২। আর যার আক্রমনাত্ব না হয়ে ১০% স্হির ছিলেন তারা ১৫৩ টাকা সেল টারগেট ঠিক করবেন। শেয়ারের দাম ১৭০ থেকে এবার পড়তে শুরু করল ১ দিন বাড়ে ৩ দিন পরে এই অবস্থায় দাম ১৬২ বা ১৫৩ তে আসলেই সেল করুন। ১৩০ এর চাইতে কি ১৫৩ বা ১৬২ অনেক বেশি আকর্ষনীয় নয় ? ইউটিউবে সার্চ করলেই এই টেকনিকের অনেক সুবিধা-অসুবিধা পেয়ে যাবেন। তখন ১০% ও ৫% ট্রেইলিং স্টপ সেট করার মাজেজা আরো ভাল বুঝবেন। তবে বিশেষগ্ঙরা কিন্তু ৮% ই স্হীর থাকতে উৎসাহীত করেন আর আমার পড়া বইটির লেখক ১০% কেই অনুসরন করতে উৎসাহ দিয়েছেন।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:১৬
৫টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশ, চীন ও ভারত: বিনিয়োগ, কূটনীতি ও ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ

লিখেছেন শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু, ২৯ শে মার্চ, ২০২৫ ভোর ৫:১০


প্রতিকী ছবি

বাংলাদেশের বর্তমান আন্তর্জাতিক সম্পর্কের সমীকরণ নতুন মাত্রা পেয়েছে। চীন সফরে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ ও আর্থিক প্রতিশ্রুতি নিয়ে ফিরছেন, যা দেশের অর্থনীতির জন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

অদৃশ্য দোলনায়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৯ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ৮:৩৮



ভোরের রোদ্র এসে ঘাসের শিশিরে মেঘের দেশে চলে যেতে বলে
শিশির মেঘের দেশে গিয়ে বৃষ্টি হয়ে ঘাসের মাঝে ফিরে আসে-
বৃষ্টি হাসে শিশিরের কথায়। তাহলে আমরা দু’জন কেন প্রিয়?
এক জুটিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ড. ইউনূসকে পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ২৯ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১২:১৪

ড. ইউনূসকে পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান....

বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে চীনের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করেছে। শনিবার (২৯ মার্চ) এক বিশেষ অনুষ্ঠানে ক্ষুদ্রঋণ ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

ড. ইউনুস: এক নতুন স্টেটসম্যানের উত্থান

লিখেছেন মুনতাসির রাসেল, ২৯ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭


ড. মুহাম্মদ ইউনুস ধীরে ধীরে রাজনীতির এক নতুন স্তরে পদার্পণ করছেন—একজন স্টেটসম্যান হিসেবে। তার রাজনৈতিক যাত্রা হয়তো এখনও পূর্ণতা পায়নি, তবে গতিপথ অত্যন্ত সুস্পষ্ট। তার প্রতিটি পদক্ষেপ মেপে মেপে নেয়া,... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রধান উপদেষ্টার চীন সফর কেমন হলো ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২৯ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:৪৮


প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস এখনো চীন সফরে রয়েছেন। চীন সফর কে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে এক শ্রেনীর মানুষের মধ্যে ব্যাপক হাইপ দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন সাসেক্সফুল সফর আর কোনো দলের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×