সুন্দর কোন ছবি দেখলেই আমি 'থ' হয়ে যাই, কেমন যেন অদ্ভূত একটা ভাল লাগা মন ছুয়ে যায়। আবেশী মন নিয়ে ছবি দেখি আর ভাবি ইশ ! এমন একটা ছবি যদি আমি তুলতে পারতাম!
ছবি প্রীতির এই ভূতটা ঘাড়ে চেপেছে ইউনি থেকেই কিন্তু বছরে ৩ টা সেমিস্টার আর প্রতি সেমিস্টারে ৩২-৩৬ টা ছোট-বড়-মাঝারি সাইজের পরীক্ষার চোখ রাঙ্গানীতে ফটগ্রাফীর ভূত বাবাজী মনের কোনেই আস্তানা গাড়ল, বের হয়ে আসার সাহস পায়নি।
৩ বছর ৪ মাসে অনার্স শেষ করে (থিসিসটা তখন ও বাকি) কোথায় একটু দম ফেলব তা না, রেজাল্ট বেরুবার ১৪ দিনের মধ্যে চাকরী আমি হতভাগা বেকার জীবনের মজাটাই টের পেলাম না।
স্টুডেন্ট লাইফে ভাবতাম, 'দাড়া শালা, পাশ করে নেই, চাকরী পেয়ে গেলে ৯-৫ টা অফিস ছাড়া পুরো দিনটাই ত আমার। মাস শেষে মোটা অংকের টাকা পকেটে পুড়ে ছুটির দিনে শুধু ঘুরে বেরাব।' কিন্তু কিসে কী অফিসে এসে ৯-৫ টা চেয়ার-টেবিল পাহারা দেয়ার জন্য মেরাথন শুরু হত সকাল ৭ টায় আর শেষ হত রাত ৮ টায়, শুক্র-শনি মরার মত করে ঘুম।
বন্ধুদের সাথে হুট-হাট ঘুরতে যাওয়া আর বাত্সরিক অফিসিয়াল পিকনিক গুল যেন মরুর বুকে এক ফোটা বৃষ্টি হয়ে নেমে আসত। পকেটে থাকা নোকিয়া এন ৭০ এর বাটন টিপে চারপাশটা ফ্রেম বন্ধি করে ভেতরকার ফটো-ভূতটাকে শান্তনা দিতাম, এ যেন দুধের তৃষ্না ঘোল খেয়ে মেটানর বৃথা চেষ্টা ।
ঘোল খাওয়া ছবি Click This Link
২০০৯ এর শুরুতে নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মারলাম আর কী, হুজুগের মাথায় মাসটার্সে গিয়ে ভর্তি হলাম। এবার পড়াশোনা সাথে যোগ হল চাকরি, পুরো ত্রাহী মধুসুদন অবস্থা। চাকরি - পড়াশোনা সেম রাখি না কুল রাখি অবস্থা। সুতরাং ফটগ্রাফী বন্ধ....পড়া শুরু। পড়াশোনার ভূত সেই যে মাথায় উঠল তা আর নামার যো নাই......দেশ ছেড়ে বিদেশে পাড়ি দেয়ার পর মুক্তি।
স্কলার্শিপটা শেষ হবে অক্টোবরে, পড়াশোনার পাশাপাশি আবার তাই ফটো-ভূত মাথা চারা দিয়ে ওঠল, এবার মনে হয় ভূতটা ভাল সময়ই বেছে নিয়েছে......কিছু একটা হতেও পারে।
সুতরাং শুরু করে দিলাম ফটগ্রাফির অ, আ, ক, খ। তবে দুঃখ একটাই কারো কাছ থেকে হাতে-কলমে শিখতে পারছি না শেষ ভরসা তাই নেট। যা ভাবা তাই করা... শুরু হোল অনলাইন ফটগ্রাফির হাতে খড়ি.....।
এর পরেই ভাবনা টা এল, যা শিখছি কোথাও তা ডকুমেন্ট আকারে জমা রাখতে পারলে মন্দ হয় না, পরে রিভিও করা যাবে। বেছে নিলাম সামুকে, ডকুলেন্টেশনও হবে আবার অন্য কেউ এটা থেকে শিখতেও পাড়বে আর অভিগ্য করো কমেন্ট পেলে ত একেবারে সোনায় সোহাগা মানে কিনা উপরি পাওনা।
আসুন তবে একদম বেসিক থেকেই শুরু করি।
পাঠ-১ : যে ভাবে কেমেরাটা ধরবেন
অনেকেই হয়ত মনে মনে ভাবছেন 'কেমেরা ধরা' য় আবার শেখার কী আছে? আমিও প্রথমে এমনই ভেবেছি কিন্তু পরে বুঝলাম এটাই বেজ, কেমেরার কাপা-কাপি রোধ করা গেলে অনেক সহজেই ভাল লাগা মূহূর্তগুলকে সুন্দর ভাবে ফ্রেম বন্ধি করা যায়।
শেখার আগ্রহটা এখও থাকলে লিংকটা দেখুন, আমি শিক্ষক নই, নিজেই ছাত্র। এই সিরিজের সকল পোস্টেই আমি বিভিন্ন টেক্সট, অডিও-ভিডিও লিংক দেবা যেগুল আমি নিজে পড়েছি-শুনেছি বা
দেখেছি, কতটা কী শিখেছি তা আমার তোলা ছবিগুলই হয়ত বলতে পারবে।
লিংক -১ : Click This Link
ইংরেজী পড়তে ইচ্ছে করলে ভাল, না ইচ্ছে করলে আরও ভাল শুধু কেমেরা ধরার সঠিক পদ্ধতিগুলর ছবি দেখুন ।পড়া শেষ হলে ভিডিও দেখুন
একে বারে কিছু না জানার চাইতে অন্প কিছু জানাও অনেক ভাল কি বলেন ?
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ ভোর ৫:১২