বেগম খালেদা জিয়ার জন্য আফসোস। আশেপাশে ভুন্দাছুন্দা লোকজনের প্রাচুর্য্য ঘটালে যা হয় আর কি। এরা আপনাকে নিজের মতো অন্তত সম্মানটা নিয়ে মরতেও দিবে না।
আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন নানা রকম ভিক্ষুক দেখতাম, তাদের মধ্যে একটা দল ছিলো অন্যরকম। তিনজনের গ্রুপ। তিনজনেই পঙ্গু। অন্তত তখন মনে করতাম পঙ্গু আর কি। দুই জনের হাটুর নিচ থেকে পা ছিলো না। তাদের হাটু এবং কুনুইতে কাপড় পেচিয়ে পট্টি বান্ধা থাকতো এবং সেইসব কাপড় এবং তাদের শরীরের সব কাপড় রাস্তার ধুলাবালিতে কালো হয়ে থাকতো। তারা রোলিং সিস্টেমে গড়িয়ে গড়িয়ে চলতো, দেখার মতো একটা দৃশ্য ছিলো।
তাদের মাঝে একজন, যার গলা সবচেয়ে উঁচু, সে একটা গড়ান দিয়ে হাঁক ছাড়তো, দয়া কইরা ভিক্ষা দেনগো গরীবেরে হায়, তারপর বাকি দুইজন গড়ান দিতে দিতে চিৎকার দিতো, আমার আল্লাহ নবীজির নাম। প্রথমজন আবার একটা শ্লোকের মতো বলতো, আবার বাকি দুইজন বলতো, আমার আল্লাহ নবীজির নাম।
এই দলটার ব্যতিক্রমী টেকনিক সবার নজর কাড়তো এবং তারা তুলনামূলকভাবে বেশিই উপার্জন করতো।
আজকে বিএনপি বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে সারা দেশের সব জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি দিয়েছে। এরপর হয়তো ওসিদেরকে দিবে, ইউএনওদেরকে দিবে। আজরাইলে সময় দিলে ক্রমান্বয়ে মেম্বার ও চৌকিদারদেরকেও স্মারকলিপি দিবে। বাদ যাবেনা একটি শিশু।
সুতরাং কর্মসূচীকে গতিময় করতে আমার পরামর্শ হলো, দলটার কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এখন সুরে সুরে আমার আল্লাহ নবীজির নাম বলে রাস্তায় গড়ানো শুরু করতে পারেন। তেমন কোন ফারাক নাই। করতেছে যখন ভালোভাবে করাই ভালো।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৫০