কন্যারা বড় হয়ে যাচ্ছে, ওদের পড়ার চাপ বেড়ে গেছে। বড় কন্যা ও-লেভেল পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতির কোচিং শুরু করেছে। সপ্তাহে ৬ দিন কোচিং থাকে, আমাকেই দিয়ে আসতে আর নিয়ে আসতে হয়। ফলে কোথাও বেড়াতে চাওয়ার সময় পাওয়া যায় না। ডিসেম্বরের ২৫ তারিখ থেকে জানুয়ারির ৩-৪ তারিখ পর্যন্ত ওর ছুটি আছে। ছুটি আছে ছোট কন্যারও। এই সুযোগে একটি ২-৪ দিনের ট্যুর দেয়া যেতো। কিন্তু আমি আটকে গেছি বাড়ির কাজ নিয়ে। জানুয়ারির ১ তারিখে ৬ষ্ঠ তলায় ভাড়াটিয়া উঠবে, কাজ এখনো শেষ হয়নি। শেষ মুহুর্তের ফিনিশিং কাজ চলছে। তাই চাইলেই বের হতে পারছি না বেশি সময়ের জন্য। সবদিক বিবেচনা করে প্লান করেছি নাটোর ডে ট্রিপের। পরিকল্পনাটা হচ্ছে এমন -
২৭ তারিখ রাত ১০টায় বাসা থেকে বের হবো কমলাপুর রেল স্টিশনের উদ্দেশ্যে।
রাত ১১টা ৩০ মিনিটের পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনে করে ভোর ৪টার দিকে পৌছে যাবো নাটোর রেল স্টিশন।
সেখান থেকে সারাদিনের জন্য একটি সিএনজি চালিতো অটো রিজার্ভ করবো।
সকাল ৬ টায় নাটোর স্টিশন থেকে রওনা হয়ে সকাল ৭টা ৩০মিনিটের মধ্যে বীরকুৎসা জমিদার বাড়ি / হাজারদুয়ারি জমিদার বাড়ি দেখে ফেলবো।
সকাল ৮টা ৩০মিনিটের মধ্যে দেখা হয়ে যাবে গোয়ালকান্দি জমিদার বাড়ি।
সকাল ৯টা ৩০মিনিটের মধ্যে তাহেরপুর রাজবাড়ি বেড়ানো শেষ করবো।
সকাল ১১টার মধ্যে দেখা হয়ে যাবে তারাপুর হাওয়া খানা।
দুপুর ১২টা ৩০মিনিটের মধ্যে দেখা শেষ করবো পুঠিয়া রাজবাড়ি।
দুপুর ১টা ৩০ মিনিটের মধ্যে লাঞ্চ করবো।
বিকেল ২টা ৩০মিনিট পর্যন্ত থাকবো উত্তরা গণভবন / দিঘাপতিয়া রাজবাড়ি।
বিকাল ৫টায় শেষ হবে নাটোর রাজবাড়ি দেখা।
বিকাল ৫টা ৩০মিনিটে পৌছে যাবো নাটোর রেল স্টিশন।
বিকাল ৫টা ৩৫মিনিটের ফিরতি ট্রেন পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ধরে রাত ১০টা ৩০মিনিটে পৌছাবো কমলাপুর রেল স্টিশন।
রাত সারে ১১টার মধ্যে বাসায় পৌছে যাবো।
১০০ কিলোমিটার পথ, ৭টি মূল পয়েন্টে অনেকগুলি দর্শনীয় স্থাপনা। শীতকালের দিনগুলি হয় খুব ছোট, দেখাযাক পরিকল্পনার কতটুকু কভার করতে পারি।