এলাকার সকলেই জানেন আমরা নাগরিতে জমি কিনে আশ্রম তৈরি করেছি। সেখানে আমরা প্রায়ই যাই, পার্টি-পিকনিক হয়। ফেসবুকে ছবি দেখে, ভিডিও দেখে প্রচারনা ভালোই হয়েছে। এলাকার বড় ভাইদের মাঝেও আশ্রম সম্পর্কে বেশ ভালোই আগ্রহ তৈরি হয়েছে। অনেকেই দেখতে যেতে চান আশ্রমটা আসলে কি? কি কি আছে সেখানে? দেখতে কেমন? পরিবেশ কেমন?
তাদের এই আগ্রহের কারণে আমরা একটি নৌ-ভ্রমণের আয়োজন করেছি, গন্তব্য আশ্রম। কিন্তু নানান কারণে সময় করে উঠতে না পারার কারণে ঈদের পরপর যাওয়ার কথা থাকলেও সেটি পিছিয়ে আগামী কাল ০৬/০৮/২০২২ শনিবার করা হয়েছে। লোক সংখ্যা ৪৫ জন। ৩৫ জন যাবো ট্রলারে করে। বাকিরা সড়ক পথে।
বেরাইদ থেকে সকাল ৯ টায় ট্রলার ছেড়ে ইছাপুরা-উলুখোলা হয়ে পৌছানের চেষ্টা করবো আশ্রমে। কিন্তু ইতোমধ্যে জলের লেভেল গেছে নেমে। অন্যদিকে আশ্রমের শেষ যে অংশটুকু ধানক্ষেত পার হয়ে যেতে হয় সেখানে জমে আছে প্রচুর কচুরিপানা। কচুরিপানা ঠেলে, অল্পজলে ট্রলার যাওয়াটা প্রায় অসম্ভব। তবুও আমরা চেষ্টা করবো। যদি শেষ পর্যন্ত নাই পারি ঐপথে যেতে তাহলে ফিড়ে অন্যপথে যাওয়ার চেষ্টা করবো কামিনী ঘাট হয়ে নাগরিতে। সেখানেও যদি পৌছতে ব্যর্থ হই তখন ফিরে এসে নামবো উলুখোলা ঘাটে। উলুখোলা বাজার থেকে ইজিবাইকে ১৫ মিনিট লাগবে আশ্রমে পৌছতে।
তো দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কি হয়।
যাত্রা পথের ট্রলার ভাড়ার খরচ আমাদের কয়েকজন বড় ভাই মিলে দিয়ে দিয়েছেন।
আরেক বড় ভাই, হাজী আব্দুল মান্নান ভাই আশ্রমকে কয়েকটি চেয়ার কিনে উপহার দিয়েছেন।
দুপুরের কাচ্চি খাওয়ানোর দায়িত্ব নিয়েছেন আমাদের মামু হাজী মোঃ দুলাল মিয়া মামু।
আশ্রমের পক্ষে থেকে বড় ভাইদের অশেষ ধন্যবাদ জানাই চমৎকার এই আয়োজনে অংশ নিয়ে আমাদের উৎসাহিত করার জন্য।
খানা-খাজানা
আশ্রমে পৌছনের পরে-
কাসুন্দি দিয়ে পেয়ারা মাখা।
আমড়া, জাম্বুরা, কামরাঙ্গা গ্রামের দেশী ফল যা বাজারে পাওয়া যাবে তাও থাকবে। না পাওয়া গেলে নাই।
দুপুরের খানার আয়োজন-
বাসমতি চালের বিফ কাচ্চি, সাথে ডিম, সালাদ, কোমল পানীয়।
বিকেলে-
গাছ পাঁকা কাঠাল।
মুড়ি-চানাচুড়
গরুর দুধের কফি।
ফেরার আগে-
গরুর দুধের পায়েস।
পুকুরে সাঁতার প্রতিযোগিতা থাকবে।
মাঠে ডিগবল প্রতিযোগিতা হবে।
রোদ যদি বেশী থাকে তাহলে হাত পাঁখায় বাতাস প্রতিযোগিতাও হতে পারে।

সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:০৯