০১।
ডাক্তারের চেম্বারে একজন তরুণী মেয়ে একটি রুগ্ন শিশু কোলে নিয়ে এসে ডাক্তারকে বললো- "ডাক্তার দেখুন খােকা একেবারে খেতে চায় না। দিন দিন কেমন রােগা হয়ে যাচ্ছে।"
তখন ডাক্তার তরুণী মেয়েটির জামা তুলে ভালাে করে বুকটা পরীক্ষা করে হতাশকণ্ঠে বললেন,— বাচ্চার স্বাস্থ্য কি করে ভালাে হবে বলুন, আপনার বুকে তো এক ফোঁটাও দুধ নেই।
তখন মেয়েটি জানালো, সে খোকার মা নয় বরং মাসী।
বি.দ্র.: ডাক্তার কিন্তু মহিলা ছিলেন।
০২।
একজন ভদ্রমহিলা গিয়েছেন ডাক্তারের কাছে। ডাক্তার ভদ্র মহিলার কাছে তার সমস্যার কথা জানতে চাইলেন। তখন ভদ্রমহিলা তার সমস্যার কথা বলতে শুরু করলেন -
আমার মাথার বাঁ-দিকটা ব্যথা হয়।
তলপেট থেকে কেমন গরম ভাপ বেরুচ্ছে মনে হয়।
বাঁ-কানটা কটকট করে।
পায়ের বুড়াে আঙুল ফুলে উঠেছে।
ডান চোখ টিপটিপ করে।
জল খেলে খালি হেচঁকি ওঠে।
ঘুম হচ্ছে না একদম, আর চুল পড়ে যাচ্ছে খুব।
এইসব শুনে ডাক্তার ভদ্রমহিলাকে বললেন ঠাণ্ডা বরফ-গােলা জলে বেশ কয়েক ঘন্টা ভালাে করে স্নান করে এসি আর পাখা এক সাথে চালু করে দিয়ে তার নিচে জন্মদিনের ড্রেসে আধঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে।
ভদ্রমহিলা অবাক হয়ে জানতে চাইলেন এই করলেই তার রোগ সারে যাবে কিনা।
তখন ডাক্তার বললেন এইসব করলে ভদ্র মহিলার নিউমোনিয়া হবে। আর নিউমোনিয়া কি করে সারাতে হয় তা ডাক্তারের জানা আছে।
০৩।
কলেজের প্রধান শিক্ষক দেশের একজন নামকরা বকলম নেতাকে রাজি করিয়েছন তার কলেজে মোটা অংকের একটি অনুদান দেয়ার জন্য। এইখবর শুনে প্রধান শিক্ষকের প্রধান শত্রু সহকারী প্রধান শিক্ষক গিয়ে সেই বকল নেতার সাথে দেখা করলো।
সহকারী প্রধান শিক্ষক : আপনি যে কলেজে টাকা ঢালতে চলেছেন সেই কলেজে একসঙ্গে ছেলেমেয়েরা গ্র্যাজুয়েট করে, সে খবর রাখেন?
নেতা : ছিঃ ছিঃ, কি বলছেন আপনি?
সহকারী প্রধান শিক্ষক : এতো কিছুই নয়। সেই কলেজে ছেলেমেয়েদের একই ক্যারিকুলাম ব্যবহার করতে হয় ?
নেতা : কি ঘেন্নার কথা। এত জঘন্য কাণ্ড হয় সেখানে ?
সহকারী প্রধান শিক্ষক : পুরুষ প্রফেসাররা যখন-ই মেয়েদের থিসিস দেখতে চাইবে, তখনই মেয়েরা তাদের থিসিস দেখাতে বাধ্য হয় ?
নেতা : এ যে নরক মশাই। না না, আমি ঐ অসভ্য নােংরা কলেজে এক পয়সাও দন করব না, এক আধলাও না।
০৪।
স্বামী আর পেঁচার মাঝে কোন পার্থক্য নেই।
কারণ স্বামীরা নাকি তাঁদের বউদের সব ভালো জিনিস শুধু রাতের বেলাই খুঁজে পায়।
০৫
অফিস থেকে বাড়ি ফিরে স্বামী বলল, ‘শুরু করার আগে ভাতটা দাও, খেয়ে নিই।’
স্ত্রী ভাত বেড়ে দিল। ভাত খেয়ে স্বামী ডেয়িংরুমের সোফায় বসতে বসতে বলল, ‘শুরু করার আগে এক গ্লাস পানি দাও…বড্ড তেষ্টা পেয়েছে।’
স্ত্রী পানি দিয়ে গেল। পানি খেতে খেতে স্বামী বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়ল। তারপর বলল, ‘শুরু করার আগে এক কাপ চা দাও না আমাকে।’
এইবার স্ত্রী রেগে খেয়ে, ‘অ্যাই, পেয়েছ কী তুমি আমাকে, আমি তোমার চাকর? অফিস থেকে ফিরে একটার পর একটা খালি অর্ডার মেরেই যাচ্ছ…নির্লজ্জ, অসভ্য, ছোটলোক, স্বার্থপর…
স্বামী কানে তুলা গুঁজতে গুঁজতে বলে, ‘এই যে…শুরু হয়ে গেল।’
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জুন, ২০২২ রাত ৮:৫৪