এক দিন আগে আশ্রমের পুকুরে ছাড়া মাছ গুলি ধরে ফেলতে হয়েছে। কারণ হঠাত জোয়ারের পানি বেড়ে যাওয়ায় পুকুরের পাড়ের নিচু অংশ (গালা) ডুবে গিয়ে মাছ বেরিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।
১৫ দিন আগের ও পরের ছবি
এবার জোয়ারের পানির অবস্থা খারাপ। অন্ততো ১৫ দিন আগেই পানি এসে গেছে। বেশীর ভাগ ধানই আধপাকা অবস্থায় কাটতে হয়েছে, যার বেশীর ভাগই নষ্ট হয়ে যাবে। গত দুই তিন দিনে হুট করেই পানি খুব বেড়ে গেছে। আগাম এই পানির জন্য বিপাকে পড়ে গেছে কৃষকেরা। নাগরি এলাকায় সাধারণ হিসেবে আরো ১৫ দিন পরে আসার কথা জোয়ারের পানি। ততো দিনে ক্ষেতের ধান পেকে যেতো। কৃষক সেই ধান কেটে নিয়ে যেতো। কিন্তু হঠাত করেই জোয়ারের পানি বেড়ে যাওয়ায় ক্ষেতে কাঁচা বা আধাপাকা ধান গেছে তলিয়ে। কোনো কোনো ক্ষেত হয়তো এখনো তলায়নি তবে প্রায় অর্ধ ডোবা অবস্থা আছে।
কাঁচা ধান কেঁটে নেয়ার কোনো মানে হয়না কৃষকের। তারা অর্ধ-পরিপক্ক ধান গুলি কেটে নেয়ার চেষ্টা করছেন। সমস্যা দেখা দিয়েছে কামলা নিয়ে, যারা দিন মজুরের হিসেবে ধান কাটবে। সুযোগ বুঝে তারা তাদের রেট বাড়িয়ে দিয়েছে। তারা এখন দৈনিক মজুরি নিচ্ছে ৭০০ টাকা। সেই সাথে দিতে হবে সকাল ও দুপুরের খাবার। বাইরে থেকে আসা ধান কাটিয়েরা ৩ বেলাই খাবার চাইছে।
মন্টু নামের একজনের ক্ষেত থেকে ধান কেটে নিয়ে আসছে কয়েকজন দেখতে পেলাম। কয়েক যায়গায় প্রায় কোমর পানি পেরিয়ে আসতে হচ্ছে তাদের। এক দিনে একজন কামলা যে পরিমান ধান কেঁটে নিয়ে আসছে সেখান থেকে যে পরিমান চাল পাওয়া যাবে তার মূল ৭০০ টাকা হবে না কিছুতেই। তবুও কৃষক নিজের হাতে ফলানো ধান ছেড়ে আসতে পারেনা কোনো ভাবেই।
এটা শুধু নাগরির চিত্র নয়। প্রায় সারা দেশেই এবার ধানি জমি জলে তলিয়ে যাচ্ছে সময়ের আগেই। এবছর চাল উৎপাদনের ঘাটতি থাকবে। শেষ দিকে চালের দাম নিয়ে করামিতি হওয়ার আশংকা আছে।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:২০