লেখক : হুমায়ূন আহমেদ
লেখার ধরন : ফিকশন গল্প সমগ্র
সতর্কীকরণ : কাহিনী সংক্ষেপটি স্পয়লার দোষে দুষ্ট
কাহিনী সংক্ষেপ :
অঁহক বইটি সাইন্স ফিকশন গল্প সমগ্র। বইটিতে ৪টি সাইন্স ফিকশন গল্প স্থান পেয়েছে।
১। অঁহক :
মহাকাশের বুদ্ধিমান প্রাণীদের মধ্যে শান্তি প্রিয় সবচেয়ে বুদ্ধিমান প্রাণী হচ্ছে অঁহক। এরা খুবই চৌকশ। সবাইকে সবসময় সাহায্য করে। বিশেষ করে যদি কখনো কোন মহাকাশযান বিপদে পরে তাহলে তারা সবার আগে এগিয়ে আসে সাহায্যের জন্য। এদের সম্পর্কে তেমন কোন তথ্য কারো জানা নেই। এরা কিছু খায় না, এরা দেখতে কেমন কেউ জানে না। তবুও সবাই এদের ভয় পায়, এদের কাছ থেকে দূরে সরে থাকে।
নিম একটি মহাকাশযানের ক্যাপ্টেন। তার মহাকাশযানটি হঠাৎ করে দুর্ঘটনায় পরে। অঁহকরা এগিয়ে আসে সাহায্য করার জন্য। তারা মহাকাশযানটি ঠিক করে দেয়। আহত নিমকেও সুস্থ করে তোলে। কিন্তু অঁহকদের হিসাব অনুযায়ী নিমের চারটি হাত থাকলে মহাকাশযান চালনায় সুবিধা হবে ভেবে তার নিমের চারটি হাত বানিয়ে দেয়। পিছেন দিকে দেখার সুবিধার জন্য তার ঘাড়ে আরো দুটি চোখ বানিয়ে দেয়।
২। জাদুকর :
বাবলু সেভেনে পড়ে, অংক পরীক্ষায় পেয়েছে ৮। তাই সে ভয়ে বাড়িতে না গিয়ে অন্ধকারে জাম গাছের নিচে বসে থাকে। তখন তার সাথে একটা লোকের দেখা হয়। লোকটি বলে যে সে ভিনগ্রহ থেকে এসেছে। তার কাছে একটা যন্ত্র আছে যেটা দিয়ে সে যে কোন প্রাণীর কথা বুঝতে পারে। বাবলু সেই যন্ত্রটি ব্যবহার করে দেখলো আসলে যন্ত্রটি কাজ করে। লোকটির কাছে আরেকটি যন্ত্র আছে যেটা দিয়ে অন্যের মনের কথা বুঝা যায়। এই যন্ত্রটি ব্যবহার করে বাবলু শুনতে পারলো তার বাবা তাকে খুঁজতে বের হয়ে মনে মনে বলছেন – “আহারে আমার ভয়ে ছেলেটি বাড়ি ফিরছে না।”
৩। কুদ্দুসের এক দিন :
কুদ্দুসের মেট্রিক পরীক্ষার দ্বিতীয় দিনে তার বাবাকে সাপে কাটে। বাবা মারা যাওয়ার কারণে তার আর পড়ালেখা করা হয় না। এখন সে মাঝ বয়সী লোক। নানান ধরনের ছোটোখাটো কাজ করা জীবন অতিবাহিত করেছে। বর্তমানে একটা পত্রিকা অফিসে ফাই ফরমাস খাটার চাকুরী করে। একদিন অফিসের বড় সাহেব একটা চিঠি হাতে হাতে পৌঁছে দেয়ার জন্য তাকে পাঠান। যেখানে পৌছাতে হবে সেটা ১০ তালা একটা দালান। কুদ্দুস লিফটে উঠার পরেই সমস্যা শুরু হয়। বিদ্যুৎ চলে গিয়ে আধো অন্ধকার হয়ে লিফট বন্ধ হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পরে বিদ্যুৎ ছাড়াই লিফটটি সাইসাই করে চলতে শুরু করে। লিফটটি যখন থামে কুদ্দুস তখন লাফ দিয়ে লিফট থেকে বেরিয়ে আসে। বিচিত্র কোনো কারণ লিফটটি কুদ্দুসকে ত্রিমাত্রিক জগৎ থেকে বেরকরে নিয়ে চতুর্মাত্রিক জগৎতে নামিয়ে দেয়। চতুর্মাত্রিক প্রাণীদের সাথে কুদ্দুস বেশ কিছুক্ষণ কথা বলে। তারা কুদ্দুসকে বেস পছন্দ করে। যেহেতু চতুর্মাত্রিক প্রাণীদের কাছে সময় স্থির, তাই তারা ঠিক করে কুদ্দুসকে তারা তার বাবাকে সাপে কাটার আগ মূহুর্তে ফেরত পাঠাবে। সে তার বাবাকে সাপে কাটার হাত থেকে বাঁচাবে, পরীক্ষা দিবে। নতুন আরেকটা জীবন পাবে।
৪। সম্পর্ক :
মোবারক সাহেব ভাত খেতে বসে দেখলেন তরকারি তার পছন্দ হচ্ছে না। তিনি তার স্ত্রীর সাথে রাগারাগি করে বেরিয়ে গেলেন স্টেশেনর দিকে। মোবারক সাহেব গ্রামের একটি ট্রেন স্টেশন মাস্টার। শীতের রাতে স্টেশনে কোনো মানুষজন থাকে না। স্টেশনে আসার পরে তিনি দেখলেন একটি অসম্ভব রূপসী মেয়ে এসেছে। মেয়েটি তাকে বলল মেয়েটি এসেছে ভবিষ্যৎ থেকে। মোবারক সাহেব লক্ষ্য করলেন মেয়েটি মুখ না নেরেই সরাসরি তার মাথার ভেতরে কথা বলছে, এমনকি তিনি যা ভাবছেন সেটাও মেয়েটি ধরে ফেলছে। কথায় কথায় একসময় মেয়েটি জানালো যে ভবিষ্যতের পৃথিবীতে কোন পুরুষ মানুষ নেই।
----- সমাপ্ত -----
=======================================================================
আমার লেখা অন্যান্য কাহিনী সংক্ষেপ সমূহ:
১৯৭১ - হুমায়ূন আহমেদ
অচিনপুর - হুমায়ূন আহমেদ
অয়োময় - হুমায়ূন আহমেদ
অদ্ভুত সব গল্প - হুমায়ূন আহমেদ
অনিল বাগচীর একদিন - হুমায়ূন আহমেদ
অনীশ - হুমায়ূন আহমেদ
অন্যদিন - হুমায়ূন আহমেদ
অন্যভুবন - হুমায়ূন আহমেদ
অন্ধকারের গান - হুমায়ূন আহমেদ
অনন্ত নক্ষত্র বীথি - হুমায়ূন আহমেদ
অপেক্ষা - হুমায়ূন আহমেদ
অপরাহ্ন - হুমায়ূন আহমেদ
অমানুষ - হুমায়ূন আহমেদ
অরণ্য - হুমায়ূন আহমেদ
আজ আমি কোথাও যাব না - হুমায়ূন আহমেদ
আজ চিত্রার বিয়ে - হুমায়ূন আহমেদ
আজ দুপুরে তোমার নিমন্ত্রণ - হুমায়ূন আহমেদ
গৌরীপুর জংশন - হুমায়ূন আহমেদ
হরতন ইশকাপন - হুমায়ূন আহমেদ
ভয়ংকর সুন্দর (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
মিশর রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
খালি জাহাজের রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
ভূপাল রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
পাহাড় চূড়ায় আতঙ্ক (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
সবুজ দ্বীপের রাজা (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
তিতাস একটি নদীর নাম - অদ্বৈত মল্লবর্মণ
ফার ফ্রম দ্য ম্যাডিং ক্রাউড - টমাজ হার্ডি
কালো বিড়াল - খসরু চৌধুরী
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৩৩