সূর্যের এই বর্ণবলয় তৈরি হতে কয়েকটি নির্দিষ্ট কারণ ও উপাদানের সুসম উপস্থিতী বিদ্যমান থাকতে হয়।
প্রথমত, পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে কমবেশি ১০ কিলোমিটার উপরে মেঘ থাকতে হয়।
দ্বিতীয়ত, সেই মেঘ কেটে গেলে আকাশে ষড়ভুজাকৃতির লাখ লাখ স্ফটিক বরফ কণা ভেসে বেড়াতে হয়। এবং সেই সব স্ফটিক বরফ কণা আকাশে নির্দিষ্ট ভাবে সজ্জিত থাকতে হয়।
তৃতীয়ত, সূর্যের সঠিক অবস্থান থেকে সেই সব স্ফটিক বরফ কণার ভিতর দিয়ে সূর্যের আলো যেতে হয়।
স্ফটিক বরফ কণা তখন প্রিজমের কাজ করাতে, সূর্যের আলোর প্রতিসরণ ঘটে। ফলে সূর্যকিরণের সাদা আলো সাতটি রঙে ভেঙ্গে যায়। আর সেই ভেঙ্গে যাওয়া সাতটি রং কে আমরা পৃথিবী থেকে ২২ ডিগ্রী ব্যাসার্ধের একটি বর্ণময় সৌর বলয় হিসেবে দেখতে পাই। যেভাবে জলকণার ভিতর দিয়ে সূর্যের সাদা আলো ভেঙ্গে গিয়ে সাত রং এর রংধনু তৈরি করে এটিও অনেকটা একই রকম বিষয়।
উপরের কারণ গুলির কথা বিবেচনা করলে মনে হতে পারে এটা খুবই দূর্লভ একটা ঘটনা। আসলে তা নয়। বরং ২২ ডিগ্রী সৌর বর্ণবলয় বছরে প্রায় ১০০ বার দেখতে পাওয়া যেতে পারে। অর্থাৎ রংধনুর চেয়েও বেশী দেখা যায় এই ২২ ডিগ্রী সৌর বর্ণবলয়।
আগামী সৌর বর্ণবলয় দেখার শুভকামনা রইলো সকলের জন্য।
বি.দ্র. সূর্যের দিকে খালি চোখে তাকানো উচিত নয়।
ছবি : নিজ
ছবি তোলার স্থান : বাড্ডা, ঢাকা।
ছবি তোলার তারিখ : ১২/০৭/২০১৮ ইং
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:১২