somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিদেশে (বিশষত যুক্তরাস্ট্রে) পোস্ট গ্রাজুয়েট লেভেল এ্যাডমিশন

১৭ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ৮:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ডিসক্লেইমার: এগুলো বেশিরভাগই এ্যাডমিশন অফিসে কাজ করে ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে দেখা। ইউনিভার্সিটি থেকে ইউনিভার্সিটিতে ব্যাপারগুলো একটু এদিকওদিক হতে পারে কিন্তু বেসিকগুলো একই। যেহেতু আমি ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট অফিসে ছিলাম না কাজেই তারা ভেতরে কি করে জানা নেই। তাদের কাজ মুলত এ্যাডমিশনের পরে দেশ ভেদে যেসব কাগজ লাগে সেগুলো ইস্যু করে দেয়া ও স্টুডেন্ট আসার পর তাদের সাপোর্টের ব্যাবস্থা করা।

যুক্তরাস্ট্রে পোস্টগ্রাজুয়েট এ্যাডমিশনের ব্যাপারটা নির্ভর করে এ্যাপ্লিকেশন প্যাকেটের বিভিন্ন বিষয়ের উপর। যদিও ইনিশিয়ালি দেখা হয় স্কোর (জিআরই বা জিম্যাট), কারন এ্যাপ্লিকেশন তো অনেকেই করে কাজেই সবার এ্যাপ্লিকেশন রিভিউ করা সম্ভব হয় না। এ্যাডমিশন রাউন্ড পর্যন্ত পাওয়া এ্যাপ্লিকেশন গুলোকে ডিপার্টমেন্টের এ্যাডমিশন কমিটি প্রাইমারি রিভিউ করে। প্রাইমারি রিভিউ এর মূল বিষয় হয় প্যাকেটের কমপ্লিটনেস আর মিনিমাম যোগ্যতা।

ইউনিভার্সিটিভেদে এ্যাডমিশন প্যকেট রিকোয়্যারমেন্ট আলাদা হয়, যেমন একটায় হয়ত চায় রিজিউমে (এটা সব যায়গাতেই চায়, আর না চাইলেও দিয়ে দেয়া ভালো), তিনটি রিকোমেন্ডেশন, তিনটি এস্যে (কোনো বিশেষ টপিকের উপরে), আরেকটিতে হয়ত চাবে স্টেটমেন্ট অফ পারপাস (এটাও পোস্টগ্রাজুয়েটের ক্ষেত্রে কমন একটা রিকোয়্যারমেন্ট), রাইটিং স্যাম্পল আর রিজিউমে। কাজেই একটি কমন প্যাকেট না বানিয়ে প্রতি ইউনিভার্সিটির জন্য প্যাকেজ রিকোয়্যারমেন্ট খেয়াল রাখতে হবে। কমপ্লিট প্যাকেট পেলে তারপরই আপনার এ্যাপ্লিকেশন রিভিউ কমিটিতে যাবে। ইনিশিয়াল কাট হয় মিনিমাম টেস্ট স্কোর (টোয়েফল, জিআরই ইত্যাদি) আছে কিনা দেখার পর। এই পর্যায়ের কাজ সাধারনত ডিপার্টমেন্টের এ্যাডমিশন এ্যাসিস্টেন্টরাই করে দেয়। তার পর প্যাজেট গুলো দেয়া হয় এ্যাডমিশন কমিটিকে রিভিউ এর জন্য। এর সদস্য থাকেন টিচাররা।তারা আপনার স্টেটমেন্ট অফ পারপাস, রাইটিং স্যাম্পল, রিকোমেন্ডেশন ইত্যাদি রিভিউ করে ইয়েস, নো, প্রবাবল বা ডেফার্ড স্ট্যাটাস দেবে। প্রাথমিক রাউন্ড গুলোতে ইয়েস বা নো কমই দেয়া হয়। একেবারে এক্সক্লুসিভ ক্যান্ডিডেটদেরই ইয়েস আর একেবারে অসাম্জস্যপূর্ন ক্যান্ডিডেটদেরই নো বলা হয় এই পর্যায়ে, বেশিরভাগই ডেফার্ড করে রাখা হয় পরের রাউন্ডের জন্য যেন আরো এ্যাপ্লিকেশন পাওয়ার পরে মূল্যায়ন করা যায়। বেশিরভাগ এ্যাপ্লিকেশনেই ইয়েস বা নো জেনে যায় দ্বিতীয় বা তৃতীয় রাউন্ডেই (বড় ইউনিভার্সিটিগুলোতে সাধারনত তিনবার ছোটগুলোতে এক বা দুইবার করা হয়)। যদি আগেই কোনো প্রফেসরের সাথে রিসার্চ নিয়ে কথা বলে থাকেন এবং তিনি আপনাকে ফিন্যান্শিয়াল সাপোর্ট দিতে প্রস্তুত থাকেন তাহলে ইয়েস হয়ে যাওয়া এ্যাপ্লিকেশন আপনার নাম থাকলে উনি আপনাকে পিক করে নেবেন। আগে থেকে কথা না বললে ইয়েস হওয়া স্টুডেন্ট দের লিস্ট থেকে প্রফেসররা যার যার প্রয়োজন বা ফান্ড এ্যভেইলাবিলিটি অনুসারে স্টেটমেন্ট, এস্যে বা রাইটিং এক্সাম্পল দেখে স্টুডেন্ট নেবেন। এই ফিন্যানশিয়াল সাপোর্টের পার্টটা ইউনিভার্সিটি ভেদে অনেকটাই ভিন্ন কাজেই সে বিষয়ে এ্যাডমিশন কোঅর্ডিনেটরের সাথেই কথা বলে নেয়া উচিৎ।

ডিপার্টমেন্ট তাদের এ্যাডমিশন রিকোমেন্ডেশন এ্যাডমিশন অফিসে পাঠিয়ে দিলে তারা আপনার জন্য এ্যাডমিশনের ব্যাবস্থা করে দেবে। সেখানে তাদের কি কি কাগজ প্রয়োজন (এটা স্টেটভেদে আলাদা হতে পারে, পুরোটাই ওয়েবসাইটেই লেখা থাকে) সেসব ঠিকমতন আছে কিনা দেখে ইন্টারন্যাশনাল অফিসে পাঠিয়ে দেবে ভিসার জন্য কাগজ রেডি করতে (এই পার্টগুলো সাধারনত ইলেকট্রনিকালি করা হয় বলে বেশ দ্রুতই হয়ে যায়)।

এবার আসা যাক টিপসের ব্যাপারে।

রিজিউমে:
- ডেট অফ বার্থ, ম্যারিটাল স্ট্যাটাস ইত্যাদি সাধারনত এ্যাডমিশন ফর্মেই পূরন করে দেয়া হয় কাজেই এগুলো দেবেন না। অনেক রিজিউমে দেখলে মনে হয় বিয়ের বায়োডাটা পাঠানো হয়েছে। আপনার হাইট, চোখের রং, চুলের রং, ছবি এসব রিভিউয়্যারের জানার কোনোই দরকার নেই। আপনার যেটুকু পার্সোনাল ইনফরমেশন জানার দরকার সেটা এ্যাডমিশন ফর্মেই জানতে চাওয়া হয়েছে।

- দেশে যেভাবে রেফারেন্স দেয়া হয় (মামা, চাচা, পরিচিত বড় কোনো অফিসার) এগুলো দেবেন না। এ্যাডমিশনের ফর্মেই যদি রেফারেন্স পূরন না করেন (সাধারনত ওখানেই থাকবে, তবে সব সময় নাও থাকতে পারে) তাহলে রিজিউমের শেষে হয় লিখে দিন রেফারেন্স এ্যাভেইলেবল আপন রিকোয়েস্ট (কারন তারাই সাধারনত আপনার রিকোমেন্ডেশন লেটার লিখে দেবেন, তাদের ইনফর্মেশন সেখানেই থাকবে)। ভর্তির ক্ষেত্রে আপনার রেফারেন্স হবেন আপনার প্রফেসরদের মাঝে কেউ, এবং কেউ যদি আপনার প্রফেশনাল বা ইন্টেলেকচুয়াল এ্যবিলিটি সম্পর্কে সাম্যক ধারনা রাখেন (প্রফেসর ছাড়া হতে পারেন যদি আপনি রিলেটেড কোনো ফিল্ডে কাজ করে থাকবেন তবে আপনার সুপারভাইজার)। এদের তথ্য দেয়ার জন্য রেডি রাখুন, তবে দেশের ক্ষেত্রে এবং ইউনিভার্সিটি সাধারনত এদের সাথে (রেফারেন্স হিসেবে) যোগাযোগ করে না।

- যদি ইউনিভার্সিটি ক্রোনোলজিক্যাল চায় তবে ইন্টারনেটে দেখে নিন সেটা কি ভাবে লেখে। ইউনিভারসিটি টিচার, ইউনিভার্সিটির জবমার্কেট ক্যান্ডিডেট, রিসার্চারদের এধরনের ইনফর্মেশন থাকে এবং ওয়েবে খুবই এ্যাভেইলেবল। এই ক্ষেত্রে জবমার্কেট ক্যান্ডিডেটদের বা ইয়ং টিচার দেরটাই আপনাকে বেশি সাহায্য করবে।

রাইটিং স্যাম্পল:

- রিসার্চ ইন্টেনসিভ স্যাম্পল দেয়ার চেস্টা করুন। প্রুফরিড করে নিতে ভুলবেন না। সবচেয়ে ভালো হয় যদি কোনো একজন প্রফেসরকে দেখিয়ে নিতে পারেন। এটা যদি আপনার থিসিস না হয়ে থাকে তবে থিসিসের মতন ট্রিট করুন।

এস্যে (essay):

- জিআরই রাইটিং এর রুলগুলো ফলো করুন। যতদূর সম্ভব সিম্পল সেন্টেন্স ব্যাবহার করুন (এশিয়ান দের মাঝে জটিল সব সেন্টেন্স তৈরি করার প্রবনতা বেশি, ভাষাগত কারনেই মনে হয়)। এবং আপনার বক্তব্য পরিস্কার করুন। পক্ষে বিপক্ষের যুক্তি দেখান। ভুলেও কপি পেস্ট করবেন না। লিমিটের মধ্যে থাকুন আর কয়েকবার প্রুফরিড করে নেবেন। তিনপেজ বলতে ০.০১" মার্জিন বা ৮ ফন্টে লেখা পরিহার করুন। ১০ ফন্ট সিংগেল স্পেস টাইমস নিউ রোমান ব্যবহার করুন। স্টাইল হিসেবে জিআরই রাইটিং এর রূলগুলো মেনে চললেই অনেকটা হয়ে যাবে।

স্টেটমেন্ট অফ পারপাস:

আপনার রিজিউম্যেকেই গদ্য আকারে প্রকাশের কোনো মানেই নেই (এই প্রবনতাটাই বেশি)। নিজেকে ফেরেশতা বা বর্তমান প্রজন্মের আইনস্টাইন হিসেবে তুলে ধরার চেস্টার ফলাফল কি হতে পারে তা বলাই বাহুল্য। কি ধরনের স্কুলে এ্যপ্লাই করছেন (থিওরিটিক্যাল, এক্সপেরিমেন্টাল, ... ইত্যাদি) সে দিকে খেয়াল রেখে লিখবেন। বড় ভাইদের বা অন্যান্য লেখা এক্সাম্পল হিসেবে নিতে পারেন, তবে কপি পেস্ট বা মাইনর চেন্জ করবেন না। নিজের মত করে লিখুন কেন এই শিক্ষা আপনাকে আপনার ক্যারিয়ারের লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করবে, কি কারনে আপনি মনে করেন আপনি এই শিক্ষার যোগ্য ইত্যাদি। এসবের টিপস নিয়ে অনেক লেখা, বই পাবেন, সেগুলোতে একটু চোখ বুলিয়ে নিন। সময় নিয়ে লিখুন। পোস্টগ্রাজুয়েট এ্যাডমিশনের ক্ষেত্রে এসএসসি এইচএসসির গল্প বা ছোটবেলার গল্প বাদদিন।

রিকমেন্ডেশন লেটার:

খেয়াল রাখুন যেন আপনার চারিত্রিক সনদপত্র না হয়ে যায়। আপনার একাডেমিক ও ইন্টেলেকচুয়াল প্রমিজ নিয়ে লেখা চায় ইউনিভার্সিটি। কাজেই আপনার প্রফেসর, বা সাবজেক্ট রিলেটেড কাজ/রিসার্চ করে থাকলে সুপারভাইজার এর কাছ থেকে নিন। একই ইউনিভার্সিটির এ্যালানাই হলে তো খুবই ভালো, না হলেও সমস্যা নেই। আমি কয়েকবার দেখেছি ইন্ডিয়ান কিছু রিকোমেন্ডেশন, ক ইউনিভার্সিটির জন্য লেখাটাই খ ইউনিভার্সিটিতে পাঠিয়ে দিয়েছে, এসব ব্যাপারে খেয়াল রাখুন। সময়ের ব্যাপারটাও নজরে রাখবেন, উনারা সাধারনত ব্যাস্ত মানুষ, কাজেই হাতে সময় রেখে রিকমেন্ডেশনের জন্য রিকোয়েস্ট পাঠান।

টেস্ট স্কোর:

শুধু মাত্র এটার উপরেই এ্যাডমিশন নির্ভর করে সেটা একটা ভুল ধারনা। এ্যাডমিশন নির্ভর করে প্যাকেজের উপরে। তবে টেস্ট স্কোর একটা খুবই গুরুত্বপূর্ন অংশ। কারন ইউনিভার্সিটি এ্যাপ্লিকেন্ট কে চেনে না, কাজেই এই স্কোরটা এ্যাপ্লিকেন্টের এ্যবিলিটির সিগন্যাল হিসেবে ব্যাবহার করা হয়। তবে এটাও তারা জানে যে একটা টেস্ট স্কোর একটা নির্দিস্ট সময়ে একটা নির্দিস্ট ধরনের পরীক্ষার এ্যবিলিটিই প্রকাশ করে। এটা ইমপর্টেন্ট, কিন্তু সিন্গেলমোস্ট ইন্ডিকেটর নয়।

অন্যান্য:

কিছু ইউনিভার্সিটি (তুলনামুলক ভাবে কম, তবে খুব একটা না) ইন্টারন্যাশনাল ট্রান্সক্রিপ্ট ইভালুয়েশন করতে বলবে (পুরা একটা ফাউল বিজনেস মনে হয়েছে আমার কাছে, কিন্তু রিকোয়্যারমেন্ট তো রিকোয়্যারমেন্টই), সেক্ষেত্রে আপনার ট্রান্সক্রিপ্ট ইভালুয়েটর এর কাছে পাঠাতে হবে। এই ব্রান্চ (ইভালুয়েশন) বেশিরভাগ ইউনিভার্সিটির এ্যাডমিশন অফিসেই থাকে তারা নিজেরাই করে নেয় আলাদা কোনো খরচ লাগে না এ্যাপ্লিকেন্টের। যেসব ইউনিভার্সিটি ইভালুয়েশন করতে বলবে তাদের ওয়েবেই লিস্ট দিয়ে দেবে এবং দুইতিনটা কোম্পানি রিকোমেন্ড করে দেবে। আমি বেশিরভাগ ইউনিভার্সিটিকে WES বা Josef Silny রিকোমেন্ড করতে দেখেছি। এইসব কোম্পানি নিয়ে একটা এসোসিয়েশনও আছে, কিছু ইউনিভার্সিটিতে এদের কাউকে দিয়ে করালেই চলবে। এরা সবাই আর বাংলাদেশী ট্রান্সক্রিপ্ট ইভালুয়েট করে না। ভুলেও জোসেফ সিলনি তে পাঠাবেন না, বিরাট ধরা খাবেন (আপনার ফার্স্ট ক্লাস ২.৫ সিজিপিএর নিচে চলে যাবে এদের নিয়মে, ৪.৮/৫ জিপিএও ৩ এর নিচে নেমে যাবে)। ডাব্লিউ ই এস এ পাঠাবেন, তারা সবচেয়ে বড় কোম্পানি, সব ইউনিভার্সিটিই এদের রিকোমেন্ড করে, আর তাদের কনভার্সন গাইড বাংলাদেশে ফলো করা গাইডের মতনই। যদি আপনাদের ইউনিভার্সিটি গ্রেডেই ট্রান্সক্রিপ্ট দেয় তবে খুব একটা সমস্যা নেই। এই ইভালুয়েশনের খরচটাও হিসেবে রাখুন, দুই আড়াইশ ডলার চলে যাবে এখানে তবে একবারই করা লাগছে। শুধু খেয়াল রাখবেন যত কাগজপত্র দরকার সেটা যেন একবারেই পাঠাতে পারেন নাহলে অনেক সময় লেগে যাবে।

যারা জিপিএ নিয়ে চিন্তায় আছেন, খুব বেশি চিন্তা করা বাদ দিন। ৩ এর উপরে থাকলে (৪ স্কেলে) চিন্তা করার কিছু নেই। যদি নিচে থাকে তবে স্টেটমেন্ট অফ পারপাসে আপনার আগের শর্টকামিংস গুলো কিভাবে ওভারকাম করবেন/করেছেন লেখার চেস্টা করুন। তাছাড়া রিকোয়্যারমেন্টের কিছু কম জিপিএ খারাপ চোখে দেখা হয় না, বিশেষ করে স্ট্যান্ডার্ড তুলনাযোগ্য নয় বলে। আর বেশিরভাগ রিসার্চ ইন্টেন্সিভ স্কুলেই রিলেটেড কোর্সের জিপিএ গুলো খেয়াল করে দেখে, অনেকবার সিলেবাস ইভালুয়েশনের রিকোয়েস্ট ও পেয়েছি ডিপার্টমেন্টগুলো কাছ থেকে। আর যদি সুযোগ থাকে তবে রিটেক ও করতে পারেন। সবচেয়ে লেটেস্ট ডিগ্রির সিজিপিএ এবং রিলেটেড কোর্সে ভালো জিপিএ রাখার চেস্টা করুন। সিজিপিএ অনেকটাই ইম্প্রেশনের ব্যাপার, এটার কারনে এ্যাপলিকেশন বাতিল হয়ে যাওয়ার চান্স কম, তবে ভালো সিজিপিএ অনেক হেল্প করবে।


এবার একটা সম্পূর্ন ব্যাক্তিগত ধারনা প্রকাশ করি, এটা পুরোপুরি ভাবেই আমার ব্যাক্তিগত ধারনা কাজেই এটা নিয়ে তর্ক থাকতেই পারে।

বড় বড় ইউনিভার্সিটি গুলোতে ফান্ডও বেশি, এ্যপলিক্যান্ট ও বেশি, সেই সাথে স্টুডেন্ট ও বেশি কাজেই অনেকসময়ই ঠিকমতন ফান্ড আর প্রফেসরদের সময় পাওয়া যায় না (একেবারে এক্সক্লুসিভ স্টুডেন্টদের কথা আলাদা)। অনেক সময় মাঝারি বা ছোট স্কুল গুলোতে দেখা যায় ফান্ড আছে কিন্তু কোয়ালিটি স্টুডেন্ট নেই। এসব স্কুলে সরকারী ফান্ডিং ও অনেকসময় বেশি থাকে (সাপোর্ট ফান্ডিং)। প্রফেসরদের হাতেও সময় থাকে। লেখাপড়ার কোয়ালিটি কোথাওই খারাপ না (ব্যাপারটা লগারিদমিক ভাবে দেখা যায়, মোটামুটি ৩০-৩৫ থেকে ১৫০-২০০ প্রায় কাছাকাছিই), স্কুলের স্পেশিয়ালিটিও একটা বিষয়। যেমন হয়ত ওভারঅল র্যান্কিংএ স্কুল ক ভালো, কিন্তুআপনি যে টপিকে ইন্টারেস্টেড সেটা হয়ত ওভারঅলে পিছিয়ে থাকলেও স্কুল খ তে ভালো। কাজেই এসব স্কুলে যাওয়াটা অনেকসময়ই বুদ্ধিমানের কাজ। এসব জায়গায় রিসার্চ আর পাবলিকেশনে অনেক ভালো প্রোফাইল বানানো সম্ভব। রিসার্চের ভালো সুযোগও পাওয়া যায়। তার উপর এখনকার ইলেকট্রনিক দুনিয়ায় এক ইউনিভার্সিটি থেকে অন্য ইউনিভার্সিটির প্রফেসরের সাথে কাজ করা সম্ভব। কাজেই আপনার যদি নেমব্র্যান্ডের চেয়ে ভালো একটা প্রোফাইল (যেটা চাকরীর ক্ষেত্রে অনেক সাহায্য করে) চান, তবে ঐদিকেও চেস্টা করে দেখতে পারেন।

অগাস্ট ১৮, ২০১০: অন্যান্য অংশ যোগ করা হলো।

সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই আগস্ট, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১৩
১২টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান।

লিখেছেন আহা রুবন, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫০





ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান। আমরা দিন দিন কোথায় যাচ্ছি কিছু বুঝে উঠতে পারছি না। আপনার দলের লোকজন চাঁদাবাজি-দখলবাজি নিয়ে তো মহাব্যস্ত! সে পুরাতন কথা। কিন্তু নিজেদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হচ্ছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। প্রধান উপদেষ্টাকে সাবেক মন্ত্রীর স্ত্রীর খোলা চিঠি!

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৩




সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে মুক্তি দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে খোলা চিঠি দিয়েছেন মোশাররফ হোসেনের স্ত্রী আয়েশা সুলতানা। মঙ্গলবার (২৯... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেমন হবে জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশ ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৫৬


জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিক্ষুব্দ ছাত্র জনতা আগুন দিয়েছে তাতে বুড়ো গরু গুলোর মন খারাপ।বুড়ো গরু হচ্ছে তারা যারা এখনো গণমাধ্যমে ইনিয়ে বিনিয়ে স্বৈরাচারের পক্ষে কথা বলে ,ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়াতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী

লিখেছেন সামিউল ইসলাম বাবু, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:১৩

ফিতনার এই জামানায়,
দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী খুব প্রয়োজন ..! (পর্ব- ৭৭)

সময়টা যাচ্ছে বেশ কঠিন, নানান রকম ফেতনার জালে ছেয়ে আছে পুরো পৃথিবী। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে গুনাহ মুক্ত রাখা অনেকটাই হাত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা

লিখেছেন মুনতাসির, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:২৪

বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×