শিরোনামে আমি আগেই বলে দিয়েছি দূর্বল চিত্তের কেউ প্রবেশ করবেন করবেন না। যদি কেউ করে থাকেন তাইলে নিজ দায়িত্বে পড়েন। মাগার কেউ আনোয়ার হোসেন এর মত বুকের ডান দিক চেপে ধরে মারা গেলে আমি দায়ী নই।
মূল ঘটনায় আসি। ঘটনার স্থান আমাদের বাসা। আমাদের বর্তমান বাসাটি একটি দিঘীর কোণে, আশেপাশে আর কোন বাড়িঘর নেই। রাতের বেলা পুরো এলাকায় এক নিঝুম নিরবতা নেমে আসে।
গত গ্রীষ্মের ছুটিতে বাসায় গেলাম। আমাদের ভার্সিটিতে গ্রীষ্মের ছুটি সবার সাথে মিলে না, গাছের আম অপরিপক্ব থাকা অবস্থাতেই আমাদের ছুটি শেষ হয়ে যায় , গতবারও আমি বাসা থেকে চলে আসার এক সপ্তাহ পরে আপু আর ছোট ভাই ছুটিতে বাসায় গেল। আর ক্লাস শুরু হওয়ার কারনে আমি তখন সিলেটে , যাই হোক ঘটনার রাতে শুধু আমি আর মা বাবা বাসায়। মা বাবা অনেক তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ে। ঐদিন প্রচণ্ড গরম পড়ছিল। রাত প্রায় ১ টার মত বাজে। আমি পিসি বন্ধ করে বারান্দায় এসে বসলাম। আমার বারান্দার আরেক নাম চিন্তাঘর, বারান্দায় বসে আমি ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে চিন্তা করি। ওইদিনও কি নিয়ে যেন চিন্তা করছিলাম। হটাত করে আমার অস্বস্তি লাগা শুরু হল। আমার মনে হল কেউ আমাকে আড়াল থেকে লক্ষ্য করছে এবং এর পরেই তাকে দেখলাম। পুকুরের দিক থেকে অন্ধকারের মধ্যেই আরও অন্ধকার একটা অবয়ব আমার দিকে এগিয়ে আসছে। আমি যে চিৎকার দিব সে উপায়ও নাই। মনে হল কেউ আমার মুখ চেপে ধরে বসে আছে। ওইটা যখন বারান্দার গ্রিল এর ওপাশে এসে দাঁড়াল তখন আমার মনে হচ্ছিল আমাকে কেউ আগুনের উপর রেখে শরীরের প্রতিটি রোমকূপে পিন দিয়ে গেঁথে দিচ্ছে। হুট করে দেখি শরীর থেকে ব্যাথা উধাও।ভাবলাম হয়ত আমি সকল ব্যাথার উর্ধে চলে গেছি । কিন্তু এর চেয়েও বড় চমক আমার জন্য অপেক্ষা করছিল। দেখি কালো অবয়ব এর পিছনে একটা সাদা অবয়ব এসে দাঁড়িয়েছে এবং এর পরেই সে কালো অবয়বকে ধরে ধোপা যেভাবে কাপড় আছড়ায় সেইভাবে আছড়াতে লাগল। কিছুক্ষণ পরেই কালো অবয়বটা নির্জীব হয়ে পড়ে রইলো। সারা গায়ে রক্ত নিয়ে সাদা অবয়ব উঠে দাঁড়াল। এতক্ষণে আমি বাকশক্তি ফিরে পেলাম। তাকে বললাম ইস আপনার সারা শরীরে দেখি রক্ত। সে বলল সমস্যা নেই, '' সার্ফ এক্সেল আছে না''