লেখাটি উৎসর্গ করলাম নিয়েল( হিমু), মামুন ৬৫৩ এবং জনৈক গণ্ডমূর্খ কে, যাদের দেখে আমি রম্য লেখার মত দুঃসাহস করে ফেললাম
ছোটবেলায় আমাদের মাঝে ইয়ো ইয়ো নামে জনপ্রিয় একটা খেলা ছিল, খেলাটি শুরুর সময় সবাই গোল হয়ে দাঁড়াত তারপর ডান পায়ের তালু একসাথে করত। এরপর ইয়ো বলে চিৎকার দিয়ে সবাই পিছিয়ে আসত। খেলা ছিল এমন সবাই লাফ দিয়ে ইয়ো বলে একে অন্যর পা স্পর্শ করার চেষ্টা করবে। যাকে পা দিয়ে স্পর্শ করা হবে সে আউট হয়ে যাবে, এইভাবে শেষ পর্যন্ত একজন বিজয়ী হবে। যাই হোক, একদিন জিন্সের হাফপ্যান্ট পড়ে খেলছি, একজনকে আউট করার জন্য বেশ জোরেশোরেই একটা লাফ দিলাম। লাফ দেয়ার পর খুব জোরে একটা শব্দ শুনলাম। শব্দের উৎস আমার প্যান্ট। উহা আক্ষরিক অর্থে দুই টুকরা হয়ে গেছে। শুধু পায়ের কাছের কোন দুটি উপহাসের স্বরে ঝুলে আছে
বিরস মুখে উঠে দাঁড়ালাম, সবার দাঁত কেলানো দেখে মনে হল আমি সার্কাসের অ্যাক্রোব্যাটের মত বিরাট কোন কিছু দেখিয়ে ফেলেছি। দৌড় যে দিব সেই উপায়ও নাই তাই পা দুইটা একসাথে করে লাফিয়ে লাফিয়ে বাসার দিকে রওনা হলাম। পথে আমাদের এলাকার পিচ্চিদের হার্টথ্রুব জিএম আঙ্কেলের মেয়ের সাথে দেখা। আমাকে দেখে বলল কি ব্যাপার এইভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে দৌড়াচ্ছ কেন? চেহারায় একটা ভাব নিয়ে বলতে নিলাম সবার সাথে বাজি ধরেছি এইভাবে লাফিয়ে বাসা পর্যন্ত যাব। কিন্তু মুখ দিয়ে কথা বের করার আগেই সবাই মিছিল নিয়ে আমার পিছনে হাজির। একজন অতি উৎসাহের সাথে আমার কর্মের বর্ণনা দিতে লাগলো। আমি আর কোনদিকে না তাকিয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে বাসায় চলে আসলাম। কয়েকদিন আর শান্তিতে বের হওয়া ও বন্ধ হয়ে যায়। সবাই দেখা হলেই বলত '' আয় ইয়ো ইয়ো'' খেলি