সখি ভালোবাসা কারে কয়।।প্রথমকথা।।
সপ্তম কিস্তি
মিত্রা বন্ধুদের সাথে স্কুলে যাচ্ছে , পথে নমিতার সাথে দেখা । মিত্রা নমিতা দিদি বলে ডাকে ,
মিত্রাঃদিদি কেমন আছ ?
নমিতাঃ বলল ভাল ।কেমন আছ মিত্রা , লেখাপড়া কেমন চলছে ? পরীক্ষাতো সামনে প্রস্তুতি কেমন চলছে ।
মিত্রাঃখুব ভাল দিদি ,তুমি দোয়া করবে ভালভাবে যেন পরীক্ষা দিয়ে ভাল পাস করতে পারি ।
নমিতাঃনিশ্চয় !
মিত্রাঃঅপু ভাইয়া কেমন আছেন অনেক দিন দেখিনা , দেখা হলে আমার সালাম দেবেন বলে বিদায় নিল ।
আকাশে অনেক তারা জ্বলছে , কোনটি শুকতারা কোনটি বেদনার তারা আমি জানিনা , তবে খুব সুন্দর ভাবে অপরুপে সাজছে আকাশ , না জানি পৃথিবী নামক গ্রহে কি ঘটছে । সমস্ত ভাল লাগা আজ উজাড় করে আকাশ তার সৌন্দর্য উপস্থাপন করেছেন মানব মনবীদের জন্য ।
মন ভাল নেই আজ নন্দিনীর , মনের মধ্যে কোন অজানা শঙ্কা কাজ করছে , প্রচণ্ড বাতাসে শরীর যেন জলসে যাচ্ছে ভিতর থেকেও মন বেসামাল । ক্রমশঃ নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে নিজের প্রতি ।
হাবিব সাহেব[নন্দিনির বাবা ] তার শালার [বাবর] সাথে আলাপ করেছেন তাদের পরিবারের বিভিন্ন বিষয়ে , হাবিব সাহেবের স্ত্রী নন্দিনীর মা ও উপস্থিত ছিলে , দীর্ঘ আলাপের মাঝে নন্দিনীর বিয়ের বিষয় উঠে আসে , পরীক্ষার পর নন্দিনীর বিয়ে ঠিক করা হবে । নন্দিনীর মামা এবং মা এতে সম্মতি দেন ।নন্দিনীর বাবা ঘুমাতে যাবে বলে বিদায় নেন ।
বাবর তার বোনের সাথে নন্দিনীর বিয়ের বিষয়ে আলাপ করতে লাগলেন , নন্দিনীর পড়ালেখা খোজ খবর জানলেন , আর কত দিন বাকি পরীক্ষার ।
মাথা ব্যথা করছে নন্দিনীর , মা মা বলে ডেকে রুম থেকে বের হল । তখনো মা আর মামা আলাপ করছেন ।
মামা জিজ্ঞাসা করল , নন্দিনী কি হয়েছে ?
মামা মাথা ব্যথা করছে ,
মামা বলল রাত জাগবেনা সব সময় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ঘুমাবে , ঘুমের অনিয়মের কারণে হচ্ছে , দিদি নন্দিনীকে ব্যথানাশক একটা ঔষধ খাইয়ে দাও সব ঠিক হয়ে যাবে । সকালে কথা হবে বলে ঘুমাতে চলে গেল ।
নন্দিনীর মা নন্দিনীকে ঔষধ খাইয়ে কোপালে আলতো হাত বুলিয়ে চুলগুলো টেনে মাথায় হাত বুলিয়ে দিল । এখন খুব ভাল অনুভব করছে নন্দিনীর কিন্তু মনের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে মামা বাবা মা মিলে কি বিষয়ে আলাপ করেছে এবং কি সিদ্ধান্ত নিল ইত্যাদি ।
সকালের রবীটা তার আলোর তেজস্ক্রিয়তা কিছুটা কমিয়ে ভালবাসার আলোয় সিক্ত হয়ে উদিত হল , চারি দিকে পরিচিত ছোট ছোট পাখিদের কিচিরমিচির শব্দ , শীতল বাতাস বইছে , খুব সুন্দর পরিবেশ । মন অনেকটা উৎফুল্ল মিত্রার । সকালে কোচিং যাবে বলে রাতেই সমস্ত প্রস্তুতি সেরে রেখেছে । নাস্তার জন্য মাকে ডাক দিলো । মা আনছি বলে অপেক্ষা করতে বলল।
চলবে ....................।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা মে, ২০১৬ সকাল ১০:৩৯