দ্বিতীয় কিস্তি
শুনশান নিরবতা অপূর্ব বিকেল কিছুটা ঠাণ্ডা বাতাস প্রবাহমান আকাশ খানিকটা নিস্তেজ ,আকাশের রঙ ক্রমশঃ নীল আভা আর লালচে বর্ণ ধারন করেছে, সব মিলে খুব সুন্দর পরিবেশ।
অপূর্ব অপুকে জিজ্ঞাসা করল অলককে দেখেছে ? বিস্ময় চেয়ে রইল অপু অপূর্বর দিকে!
জিজ্ঞাসা করল অলক এসেছে ? বন্ধু আসার খবরে অপুর মনে কি দারুণ অনুভূতি অনুভব করছে।মন আজ অনেক প্রফুল্ল উৎফুল্ল। কোথায় দেখেছিস বল আমায়,উত্তেজনা এত বেশি ছিল যে বাকি কথা না শুনে অপু শুকুন্তলা আর অপূর্বের সঙ্গ ত্যাগ করল।কিছুক্ষন দুইজনে হাঁটার পর শুকুন্তলা তার বাসা অবধি পৌছে গেল শুকুন্তলা অপূর্বের কাজ থেকে বিদায় নিল খুব বিষণ্ণ মনে,শুকুন্তলার ও মন খারাপ বান্ধবীর প্রেমিকার কারনে।অপূর্ব বিদায় বলে আনমনে শুকুন্তলা থেকে নিল ।
অপূর্ব কি যে ভাবছে অলককে নিয়ে?কোথায় ছিল কি করেছে ? এখন কোথায় থেকে এসেছে?
সন্ধ্যা হল পড়ার জন্য প্রস্তুত হঠাৎ ফোনের ক্রিং ক্রিং আওয়াজ
অপুর ফোন, কিন্তু কেন ফোন করল?
নন্দিনী ফোন ধরল-
হ্যালো নন্দিনী কেমন আছ, আমি শুনেছি অলক এসেছে,তোমার সাথে দেখা বা কথা হয়েছে তার কি খবর একটু বলবে।
অপুর প্রশ্ন গুলো তীরের মত হৃদয়ে আঘাত করছে কোন উত্তর দেয়ার সময় এবং জ্ঞান আপাতত তার কাছে নেই।
হ্যাঁ দেখা হয়েছে!
কলেজে আসলে সব বলব বলে ফোনটা কেটে দিল।
মন খুব আনচান করছে শকুন্তলার কি জানি বুঝে উঠতে পারছেনা।খুব বেসামাল লাগছে , দীর্ঘ সময়ের পরিচিত অলক আজ যেন অন্যরকম মনে হচ্ছে । রাশি রাশি প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে মনে! কাকে বলবে মনের কথা!কোন কিছুতে মন বসছেনা কি হয়েছে আমার নন্দিনীর চিন্তায় নিজে যেন চিন্তিত। হতাশার মাঝে আশার আল দেখতে ফেল হঠাৎ। চিন্তা করলো অপূর্বকে ফোন করে আগামি দিনের কি করব ঠিক করে নেবো, শকুন্তলার পড়ায় মন বসছেনা ঘুমানোর জন্য প্রস্তুত হতে লাগল।
পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঁকি দিয়েছে , সূর্যের আলোয় মনে করিয়ে দিচ্ছে সকাল হয়েছে ।চারিদিকে পশুপাখির কিচিমিচি আওয়াজ । কর্মস্থলে যাওয়ার মানুষের প্রস্তুতি।সব মিলিয়ে অন্য রকম পরিবেশ।
অপুর ঘুম ভাঙ্গে নন্দিনী কথা চিন্তা করে,কি করার আছে তার?কি তার সামর্থ্য? কি বা করতে পারবে নন্দিনীর জন্য।সমস্ত ভাবনা গুলো কিছুক্ষন পর পর হৃদয়কে আহত করে । অলক ও বা কেন এভাবে উপেক্ষা করল নন্দিনীকে! কি ঘটেছে তাদের মধ্যে ইত্যাদি .......
চলবে ........
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:২০