উপকরন: ৫ টা টাটকা বড় সাইজের করলা। পানি, পাতিল, নাড়ার জন্য চামচ। চিনি, কিসমিস, লবন, তেজপাতা, গরম মসল্লা।
প্রনালী: করলা গুলোকে (করলা যত তিতা হবে, হালুয়া তত মজাদার হবে) ছোট ছোট করে কেটে গরম পানিতে সিদ্ধ করতে হবে। ২০/২২ মিনিট পর একটা হাড়িতে লবন, তেজপাতা-গরম মসলা ইত্যাদি দিয়ে নাড়তে হবে পুরো মিহি না হওয়া পর্যন্ত। পানি যতটা পারা যায় শুকিয়ে ফেলতে হবে। যারা করলার হালুয়া খেয়ে অভ্যস্ত নয়, তাদের জন্য ২ চা চামচ চিনি দেয়া যেতে পারে। এবার হালুয়ার লেই হয়ে গেলে কয়েকটা কিসমিস দানা দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন। ও হ্যা, করলার তিতকুটে গন্ধ দূর করার জন্য হালুয়ার উপরে কয়েকফোটাঁ "গরুর তেল" [(অ)গাণিতিক ভাই'র রিসেন্ট পোস্ট দ্রষ্টব্য] ছিটিয়ে দিতে পারেন।
এবার তাহলে সেকেন্ড মেনুর দিকে নজর দেয়া যেতে পারে।
নিমপাতার স্যুপ: (চার সদস্যের পরিবারের জন্য। )
উপকরন: ৫ কেজি টাটকা নিমপাতা। (গাঢ় সবুজ রংয়ের হলে ভাল হয়। না পাওয়া গেলে কাঁঠাল পাতা দিয়েও ব্লগের ছাগুদের কাজ চলবে।)
আধাকেজি ভূষি, পেয়াজ-মরিচ, পাতিল , পানি এই সমস্ত হাবি জাবি।
প্রনালী: প্রথমেই পেয়াজ-মরিচের সাথে ভূষি চুলায় চড়িয়ে দিতে হবে। ১৫ মিনিট পর ভূষিতে বলক আসলে সবগুলো নিমপাতা কুচি কুচি করে কেটে সেখানে দিয়ে দিতে হবে। পরের ১০ মিনিটের মধ্যে স্যুপ তৈরী হয়ে যাবে। স্যুপ যত ঘন হবে, খেতে তত স্বাদ লাগবে। ব্যাস, হয়ে গেল। এবার হালুয়ার সাথে স্যুপটি গরম গরম পরিবেশন করুন।
যাদের এই স্যুপ খেয়ে অভ্যাস নেই, তাদেরকে জোর করে খাওয়ানো যেতে পারে। প্রথম প্রথম একটু কষ্ট লাগলেও, পরে অভ্যাস হয়ে যাবে। আর হ্যা, এই দুইটা মেনুই "বিশেষ একটি রোগে" আক্রান্ত রোগীর জন্য খুবই ফলদায়ক।
(পুনশ্চ: এই মেনু দুটি পরিবেশনের পরের কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা অথবা দুর্ঘটনার জন্য রেসিপির সেফ দায়ী নন। নিজ দায়িত্বে রান্না এবং পরিবেশন করুন। ধন্যবাদ।)
(ভাবছিলাম ফ্লাডিং বইলা সবগুলারে আটকামু।
পারলাম না। উল্টা এখন নিজেই আটকায়া গেলাম।)
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ৮:১০