ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা আবার বিএনপির সহ-সভাপতি পদ ফিরে পাচ্ছেন। তবে এ ক্ষেত্রে বেশকিছু শর্ত জুড়ে দেয়া হয়েছে। যার মূল কথা হলো, তার 'বেহুদা' কথাবার্তা বন্ধ করতে হবে। প্রতিশ্রুতিও পালন করতে হবে যথাযথভাবে। চলতি মাসের ২৩ তারিখে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকের আগেই তাকে পদ ফিরিয়ে দেয়া হতে পারে। তবে তিনি ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতির পদ ফিরে পাবেন কিনা তা এখনো নিশ্চিত নয়।
দলের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, নাজমুল হুদার অনাকাঙ্ক্ষিত কর্মকা- নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে খালেদা জিয়া তাকে বেশকিছু শর্ত দিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে বিএনপির সিনিয়র কোনো নেতা সম্পর্কে তিনি বেফাঁস মন্তব্য করতে পারবেন না। তারেক রহমান ও কোকো সম্পর্কে কিছু বলবেন না এবং তাদের যথাযথ সম্মান দেবেন। কোনো কিছু বলতে হলে চেয়ার-পারসন বা দলের পরামর্শ অনুযায়ী বলবেন। এছাড়া দলের গোপনীয়তাও কঠোরভাবে বজায় রাখবেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন অফিস সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাত ১১টা থেকে পৌনে ১২টা পর্যন্ত খালেদা জিয়ার সঙ্গে একান্ত বৈঠক করেন নাজমুল হুদা। এ সময় সরকারকে মধ্যবর্তী নির্বাচনে বাধ্য করতে আগামী ৯ মে বিএনপি যেসব কর্মসূচি দিয়েছে, তাতে সক্রিয় ভূমিকা রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সিনিয়র এ নেতা। সেসঙ্গে আগামীতে সরকারবিরোধী সব কর্মসূচিতে তিনি মাঠে থাকবেন বলেও দলীয় প্রধানকে আশ্বস্ত করেছেন তিনি।
এ বিষয়ে স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল মাহবুবুর রহমান যায়যায়দিনকে বলেন, নাজমুল হুদা বিএনপির প্রবীণ নেতা। তিনি সবসময় দলের ভালো চান। পদ ফিরিয়ে দেয়ার বিষয়টি ম্যাডাম দেখেন। তিনি শিগগির তার পদ ফিরে পাবেন বলেই শুনেছেন।
স্থায়ী কমিটির অপর সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেন, যেহেতু ম্যাডাম তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করেছেন, সেহেতু তাকে সময়মতোই পদ ফিরিয়ে দেবেন। এটা একান্তই ম্যাডামের ব্যাপার।
কবে নাগাদ পদ ফিরে পচ্ছেন_ এমন প্রশ্নের জবাবে ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা যায়যায়দিনকে বলেন, এ ব্যাপারে তিনি তেমন কিছুই জানেন না। শুনেছেন শিগগিরই পাবেন। শুনেছেন আগে যেভাবে বিএনপিতে ছিলেন, সেভাবেই থাকবেন। খালেদা জিয়ার নির্দেশনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তিনি বলেছেন_ এমন কোনো কথা বলা যাবে না; যাতে দল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পাশাপাশি প্রতিপক্ষ লাভবান হয়। কোনো বিষয়ে অভিযোগ থাকলে তাকে জানাতে হবে, তিনিই ব্যবস্থা নেবেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২১ নভেম্বর নাজমুল হুদাকে সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। প্রায় চার মাস পর গত ১৯ মার্চ তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে তাকে বিএনপিতে ফিরিয়ে নেয়া হয়। এ মাসের ৬ তারিখের দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে তাকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদ আনুষ্ঠানিকভাবে ফিরিয়ে দেয়া হয়।