''মনের মধ্যে কত গল্প আসে; তারা আসে, কিন্তু সব গল্পই যে শেষ পর্যন্ত কলম থেকে বেরোয়, তা নয়; দীর্ঘ দিনের অভিজ্ঞতা আমাকে বলে, দশটি গল্পের একটি হয়তো দিনের আলো দেখতে পায়। কবিতার কত পঙক্তি মাথার ভেতরে ফুলের মত ফুটে ওঠে, বারুদের মত বিস্ফোরিত হয়, চুমোর মত শিথিল করে দিয়ে যায়; দ্রুত হাতে লিখে রাখি আরও দ্রুত পলায়নপর এইসব পঙক্তি, বেড়ে ওঠে কাগজের স্তুপ; তারপর একদিন কিছু কিছু পঙক্তির ভেতরে একটি বন্ধন সূত্র আবিষ্কার করে উঠি, একটি কবিতার জন্ম হয়, কুড়িটি টুকরো কাগজে টুকে রাখা পঙক্তিগুলো, ধারণাগুলো থেকে মাত্র তিন কি চারটি কাজে লাগে, অন্যগুলো তাকিয়ে থাকে ভবিষ্যতের দিকে, ক্রমে তারা মলিন হয়ে যায়; হলদে হয়ে যায়, এই হাত, এই কলম তাদের ভুলে যায়; ইতোমধ্যে নতুন কত পঙক্তি এসে প্রতিভাকে উসকে দেয়, তারাই তখন প্রেম।''
সৈয়দ শামসুল হকের এই কথাগুলো সম্ভবতঃ সবার জন্যেই সত্য। আমরা যা বলি, যা লিখি - তারা করোটির ভেতরের ভাবনাগুলোর কিয়দংশ মাত্র। অনেক কিছু ভুলে যাওয়া হয়, নতুন কিছু আমাদের আন্দোলিত করে আবার, সেই অব্যবহৃত 'আইডিয়া'-রা আর তাদের সুপ্ত সম্ভাবনায় উদ্ভাসিত হতে পারে না। বিশেষ করে গল্প লেখার ক্ষেত্রে এই বিষয়টা আমি অনুভব করতে পারি।
কত গল্প অলিখিত রয়ে গেল। হয়তো মূল আইডিয়াটা একটু বোকাটে, উদ্ভট, অদ্ভুত বলে। লিখে স্বস্তি পাওয়া যাবে না। আলসেমির কারণে। কিংবা হয়তো একক ধারণাটিকে ন্যায্যতা প্রদানের জন্য লেখনী এখনও তেমন পরিপক্কতা পায় নি। পূর্ণতা দেবার ক্ষমতার অভাব। তাই বলে কি এসব ধারণা ফেলে রাখা উচিত? আমার তো মনে হয় সবার সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়াটাই ভাল। তাই যেসব আইডিয়া মাথার ভেতরে ঘুরেছে, কিন্তু কখনো লিখতে পারিনি, কাগজে পূর্ণতা পায়নি, তাদের কয়েকটা একত্র করে ফেললাম। হয়তো কোন একটা আইডিয়া আরেকজনকে উদ্দীপ্ত করতে পারবে। আরেকটা গল্প, আরেকটা অনুভবের সৃষ্টি হবে। এই একটা সম্ভাবনাই উৎসাহিত করার জন্যে যথেষ্ট।
দেখা যাক, আপনাদের কেমন লাগে!
#১
মেয়েটা ভাবত ও একটা পাখি হবে। বাবা-মা প্রথমে শুনে হাসতেন, কিন্তু আরেকটু বড় হতেই তারা রাগ দেখাতে লাগলেন। 'ধামড়ি মেয়ে, বলে কিনা পাখি হবে? ঢং!' মেয়েটা একটু হতাশ হয়ে পড়ে। তবে কি হবে সে? স্যার বলেন সে নাকি অংকে ভাল। ইঞ্জিনিয়ার হবে? নাকি, নাকি ডাক্তার হওয়া ভাল?
মেয়েটা বিভ্রান্তিতে পড়ে যায়। বিভ্রান্ত, ঘোর লাগা চোখে কয়েক বছর পর সে আবিষ্কার করে- তার বিয়ে হয়ে গেছে। সে এখন একটা ব্যাঙ্কে চাকরি করে। বাচ্চা হয়েছে একটা। মেয়ে। খুব কিউট। সে অনভ্যস্ত হাতে সংসার সামলায়, চাকরি করে, বাপ-মায়ের খোঁজখবর নেয় মাঝে মধ্যে। কিন্তু নিজেকে কোন কিছুর সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারে না কেন যেন। তার কি এসব করার কথা?
সময় গড়িয়ে চলে। মেয়েটা দেখে তার পঞ্চাশোর্ধ্ব স্বামী যুবতী এক নারীকে নিয়ে আলাদা হয়ে গেল একদিন। বাবা-মা মরে গেলেন। তার ছোট্ট মেয়েটা বড় হল। বিয়েও হয়ে গেল ভাল একটা জায়গায়। মেয়েটা এখন একা।
সেদিন রাতে অনেকদিন পর সে ছাদে বসে আকাশ দেখে। বাতাসে তার শরীরটা খুব হালকা লাগে, ছেলেবেলার কথা মনে পড়ে যায়। মনে পড়ে সে পাখি হতে চেয়েছিল।
মেয়েটা তারপর পাখি হয়ে আকাশে উড়াল দিল।
#২
একটা কাগুজে বিশ্ব। সবাই সুখি। তৃপ্ত।
কিন্তু বৃষ্টি নামে মাঝে মাঝে।
***স্বপ্নবাজ অভি এই থিমে দিয়েছেন কবিতা, বৃষ্টিপাতের নেপথ্য কাহিনী !
#৩
গল্পের শুরুর পয়েন্টটা হবে তাদের বিয়ের দিন। এর পরে দুটো স্রোতের প্রবাহ চলতে থাকবে। একটা চলবে বিপরীত দিকে, অতীতের দিকে; দেখান হবে তাদের প্রেম কিভাবে গভীরতা পেয়েছিল। আরেকটা স্রোত চলবে সামনের দিকে, ভবিষ্যতে। যেখানে ক্রমশঃ সামান্য বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব, মন কষাকষি এবং ভালবাসার সেই দৃঢ়তা হারিয়ে ফেলা দেখান হবে। দুটো স্রোত তাদের সম্পর্কের ছোট ছোট জিনিস দিয়ে সম্পর্কিত থাকবে। একই সাথে ভাঙা-গড়া চলবে।
গল্পের শেষে আমরা দেখব দুজনের সর্বপ্রথম যেদিন দেখা হয়েছিল, এবং দুজনে ছাড়াছাড়ি হয়ে যাবার পর শেষ যেদিন দেখা হবে- এই দুটো দিন এক বিন্দুতে এসে মিলে গেছে।
***অপু তানভীর এ নিয়ে গল্প লিখেছেন, গল্প নম্বর তিনঃ ভাঙ্গা গড়ার শেষ বিন্দু
#৪
১৮৬৮ সাল। কোম্পানির আদেশে উপমহাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোকে রেল লাইন দিয়ে সংযুক্ত করা হচ্ছে। ওই অঞ্চলের মাঝে একটা হচ্ছে 'চাঁদপুর-কুমুল্লি' এলাকার সিদ্ধেশ্বরী গ্রাম। 'ঝকঝকি দানো' আসার সুবাদে আশেপাশে অজপাড়াগাঁয়ের মানুষগুলো 'সভ্যতার' একটু আধটু ছোঁয়া পেতে শুরু করল। তাদের সমাজ ব্যবস্থা, স্থির জীবনে উত্তাল ঢেউয়ের আগমন ঘটল আস্তে আস্তে।
গ্রামের এক ছোকরা সায়েবদের দেখবে বলে স্টেশনে গিয়ে ঘটনাক্রমে সেখানে চাকরি পেয়ে গেল। এরপর ধীরে ধীরে তার উত্থান এবং শেকড় ভুলে যাবার কাহিনী নিয়ে গল্প এগোবে।
***জুলিয়ান সিদ্দিকীর কাছে আমরা পেয়েছি চমৎকার একটা নভেলেট, কয়লাপোড়া দীর্ঘশ্বাসের রঙ
#৫
গ্রাম থেকে তিন বন্ধু এলো শহরে। কলেজে পড়তে। ভর্তি হবার সব ঝামেলা মিটিয়ে তিনজনে মিলে আশেপাশে একটা মেস খোঁজা শুরু করল। ঘুরতে ঘুরতে তিনতলা একটা বাসাও পছন্দ করে ফেলল। বাড়িওয়ালী এক বুড়ো মহিলা। তিনি কথায় কথায় জানালেন, বাড়িটা বেশ পুরনো। প্রায় সত্তুর-আশি বছর বয়স হয়ে গেছে এটার। এও জানালেন, এপর্যন্ত এখানে পরিবার-পরিজন ছাড়া কাউকে থাকতে দেওয়া হয়নি। সবাই বউ-পোলাপান নিয়েই থাকতে এসেছে। ওরাই এই বাড়িতে সর্বপ্রথম 'ব্যাচেলর' ভাড়াটে।
তিনজনে বোঁচকা-বুঁচকি নিয়ে দোতলার একটা ইউনিটে উঠে পড়ে। কলেজ জীবন এবং মেস জীবনের শুরু! কিন্তু কদিনের মধ্যে -
প্রথম বন্ধুটি আবিষ্কার করল- হাজার চেষ্টা করা সত্ত্বেও রাতে সে বিছানা ভিজিয়ে ফেলছে।
দ্বিতীয় বন্ধুটি অস্বস্তির সাথে লক্ষ্য করল- তার স্তনদুটো অস্বাভাবিক ফুলে-ফেঁপে উঠছে।
আর তৃতীয়জন নিজের অজান্তেই বাকি দুজনের ওপর জোর খাটাতে শুরু করল।
বাড়িটা কি চায় তার ভেতরে আরেকটা পরিবার বাস করা শুরু করুক?
#৬
দুই বুড়ো-বুড়ি। বুড়ো অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভরতি হয়েছেন। বৃদ্ধা নিজেও তেমন সুস্থ নন, কিন্তু সঙ্গীকে দেখতে তিনি প্রতিদিন সকালে যান সেখানে, রাতে ফিরে আসেন। ছেলেরা তাকে ওখানে রাত কাটাতে দিতে চায় না। বৃদ্ধা তার স্বামীর মাথার চুলগুলো নেড়েচেড়ে দেন, টুকটুক করে কথা বলেন, বিগত যৌবনের ভালবাসার কথা শোনান। আর একটা করে গল্প বলেন, কিন্তু সেটা শেষ করেন না, বলেন- কালকে এসে বাকিটা বলব। বৃদ্ধ মৃত্যুকে আরেকটা দিন ঠেকিয়ে রাখেন সেই সমাপ্তি শোনার জন্যে।
সত্যিকারের ভালবাসাকে ফুটিয়ে তোলার একটা চেষ্টা। মৃত্যুকে বরণ করতে শেখার গল্প।
***আমি সাজিদ এই থিমে লিখেছেন ছোটোগল্প, পেশেন্ট নাম্বার ফোরটিওয়ান
#৭
মধ্যবয়স্ক এক চাকুরে একদিন লক্ষ্য করল খুব ধীরে ধীরে তার শরীরের মাংসগুলো আলগা হয়ে খসে খসে পড়ছে। সে ভয়ে ব্যাপারটা লুকিয়ে রাখে। কিন্তু ছেলের জন্মদিনের পার্টিতে সবার সামনে তার গালের মাংস খসে পড়লে জিনিসটা ফাঁস হয়ে যায়। পরিবারের বাকিরা অতি আনন্দের সাথে ওকে একটা খাঁচার ভেতরে পুরে রেখে চিড়িয়াখানার পশুর মত ব্যবহার করা শুরু করে। তার নিত্যনতুন চামড়া খসে পড়া নিয়ে জাতীয় চ্যানেলে প্রতিবেদন হয়। খবরের কাগজগুলো তাকে নিয়ে হেডলাইন করে। এক্সক্লুসিভ খবর পেতে বাড়ির সামনে চব্বিশ ঘণ্টা সাংবাদিকদের লাইন লেগে থাকে।
এই সুযোগে তার ছেলের সারা জীবনের পড়ালেখার খরচ উঠে আসে, মানুষের কাছে লাখখানেক টাকার ঋণ ছিল, সেটা শোধ হয়ে যায়। স্ত্রী খুশি হয়ে ভাবে, ভাগ্যিস! জীবনবীমাটা করা ছিল! এভাবে এক সপ্তাহ কাটে। লোকটা সবকিছু হারিয়ে ফেলে- স্রেফ শরীরের দুটো অঙ্গ বাদে।
এবারে তাকে সবগুলো টিভি চ্যানেলে লাইভ দেখান হতে থাকে। লোকে লাখ টাকার বাজি ধরে তার ওপর। দেশসুদ্ধ মানুষের সাথে সাথে এমনকি সে-ও প্রচণ্ড কৌতূহল নিয়ে অপেক্ষা করে- কোনটা আগে খসে পড়বে- মস্তিস্ক, নাকি যৌনাঙ্গ?
***এই থিমে হাসান মাহবুব লিখেছেন ভিন্নধর্মী স্ফুটনবিন্দু গল্পটি।
#৮
'একটি রক্তমাখা ছুরি পাওয়া গিয়াছে।
ইহার মালিককে প্রমাণসমেত যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হইতেছে।
উপযুক্ত প্রমাণ দিলে পারিলে ছুরি ফেরতসহ হাজার টাকা পুরস্কার।
ধন্যবাদান্তে,
বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী।'
*** থিমটি নিয়ে অপু তানভীর লিখেছেন একটি রক্তমাখা ছুরি পাওয়া গিয়াছে
#৯
(খুব সম্ভব স্যাটায়ার!)
গ্লোবাল ওয়ার্মিং সর্বোচ্চ আকার ধারণ করেছে। ডুবে যাচ্ছে সমুদ্র-নিকটাবর্তী অঞ্চলগুলো। বাংলাদেশের পাঁচভাগের একভাগ ডুবে যাবে এরকম কথাও শোনা যাচ্ছে। এই সময়ে বিজ্ঞানিরা একটা আবিষ্কার করলেন- গাছের মাঝে ওয়াই-ফাই প্রযুক্তির ইন্টিগ্রেশন!
ব্যাপারটা সংক্ষেপে এরকম- একটা গাছের কাণ্ড যত মিটার লম্বা হবে, সেটা তত বর্গ মিটার জায়গায় ওয়াই-ফাই সার্ভিস দিতে পারবে। এবং, ব্যাপারটায় কোন বাড়তি খরচ নেই! গাছটা যতদিন বাঁচবে, ততদিন এই অফার বিদ্যমান।
আর যায় কোথা! পৃথিবীর মানুষ পাগলের মত ঝাঁপিয়ে পড়ল গাছ রোপণে। মাঠ-ঘাট, শহর-গ্রাম, বাজার-বন্দর, পাহাড়-পর্বত সব ছেয়ে গেল গাছে। এমনকি যেখানে গাছ বোনা যায় না সেখানে টবভরতি করে গাছ রাখা শুরু হল। অবস্থা এমন হল যে মানুষ বাইরে বেরুলে হাতে মোবাইল আর পিঠে ব্যাকপ্যাকে করে বড়সড় একটা ফুলগাছের টব নিয়ে বেরোয়। অনেকে ট্রিহাউজে বসবাস করা শুরু করে দিল। ফলে পরবর্তী বিশ বছরে কার্বনের পরিমাণ স্বাভাবিকে নেমে এল।
কিন্তু এই 'অমানবিক' বৃক্ষ রোপণের ফলে পঞ্চাশ বছরের মধ্যে বাতাসে বিপদজনকভাবে অক্সিজেনের পরিমাণ বেড়ে গেল। অতিরিক্ত অক্সিজেন ডোজের কারণে মানুষের মাঝে বিশাল পরিবর্তন দেখা দিল। মানুষ এখন সবসময় হালকা মেজাজে থাকে, কোন প্রকার পরিশ্রম করতে যায় না। বাচ্চা উৎপাদনেও উৎসাহ দেখায় না। এরা সারাদিন বিশাল বিশাল আমগাছের ওপর বসে ফেবু চালায়, খিদে পেলে হাত বাড়িয়ে আম পেড়ে খায়, গান শোনে আর ভিডিওগেম খেলে।
এই 'বিপ্লবের' একশ বছর পর, পৃথিবীর শেষ মানুষটি অনলাইনে কোন বন্ধুর সাড়া না পেয়ে মনের দুঃখে আমগাছ থেকে পড়ে মরে গেল।
***এর ওপরে প্রিয় অপু তানভীর-এর আরেকটি চমৎকার গল্প, প্রাকৃতিক ওয়াইফাই!
#১০
ছোট্ট কবরটার একপাশে মাটি উঁচু হয়ে উঠল হঠাৎ। তারপর খুব ধীরে, যেন স্লো মোশনে দেখানো হচ্ছে, এমন করে পাঁচটি ক্ষুদে আঙুল মাটি ফুঁড়ে বেরিয়ে এলো বাইরে।
'আম্মু, তুমি বলসিলা আমাকে একা রেখে কোথাও যাবা না। মিথ্যা বলসো ক্যান? জানো না, আমি অন্ধকার দেখে ভয় পাই?
***আলম দীপ্র ছোট ভয়াল একটি গল্প লিখেছেন এটা নিয়ে আঁধারবিষয়ক বক্তব্য
#১১
'একাকি লাগছে? সঙ্গিনী চাই?
আমরাই দিচ্ছি শ্রেষ্ঠ অফার। কল করুন এই নাম্বারে, আর মাত্র পাঁচশ টাকার বিনিময়ে একরাতের সঙ্গ উপভোগ করুন।'
পত্রিকায় এরকম খোলামেলা একটা খবর পড়ে লোকটা মুখ চুকচুক করে ওঠে। কি যে হচ্ছে দেশটার! জাতীয় একটা পত্রিকায় এই জিনিস ছাপায়, ছিঃ! তখনই তার মনে হয়, আজকে বউ বাসায় নেই, বাপের বাড়ি গেছে। সে এবার মনোযোগ দিয়ে বিজ্ঞাপনটা দেখে। এবং মিনিট না পেরুতেই কল লাগায়।
ক্রেডিট কার্ড দিয়ে টাকা পরিশোধ করার পর তিন মিনিটের মাথায় তার মোবাইলে মেসেজ আসে। 'আপনার সঙ্গিনী পৌঁছে গেছেন'। এত তাড়াতাড়ি! লোকটা চুল ঠিকঠাক করে তাড়াহুড়ো করে দরজা খোলে, কিন্তু বাইরে কেউ নেই। মুখটা তিতে লাগে তার। শালারা কি তবে ঠকাল তাকে? আনমনে গালি দিতে দিতে সে ভাবে।
রাগের চোটে তার পেচ্ছাব পেয়ে যায়। গজগজ করতে করতে সে বাথরুমে ঢোকে, লুঙ্গি উঁচু করে বসার উদ্যোগ করে। তখনই আয়নার ওপাশ থেকে মিহি গলায় মেয়েটা বলে, 'ছিছিছি, আমাকে কি এসব দেখানোর জন্য ডেকে এনেছেন নাকি?'
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:০৪