মাত্র ২ টি বিষয় বুঝতে সক্ষম হলে আইএস সংক্রান্ত উপলেব্ধিগত কোন জটিলতা থাকেনা। প্রথম হচ্ছে, এদের উৎপত্তি হলো কিভাবে? এবং ২য় টা হচ্ছে কেন তাদেরকে মাঠে নামানো হলো? পাশ্চাত্য মিডিয়া যারা আইএস নিয়ে দুনিয়া তোলপাড় করছে তাদেরকে যদি প্রশ্ন করা হয়, ভাইজান এই আইএসদেরকে কে প্রশিক্ষন দিয়েছে? এবং কারা এদেরকে মাঠে নামালো? পৃথিবীর কোথায় এই হাজার হাজার সন্ত্রাসীরা বছর ধরে প্রশিক্ষন গ্রহন করলো? কে তাদেরকে এত অস্ত্র সরবরাহ করছে? কিভাবে তারা আমেরিকান সেনাবাহিনী থেকে ১৫০০ টি যুদ্ধ যান এবং ৫০ টি বৃহৎ আকৃতির কামান চুরি করলো? (সূত্র: Click This Link )
যেখানে ইরাকের রিপাবলিকান গার্ড ২ মাসের যুদ্ধে মরুভুমির মাটির সাথে মিশে গেলো সেখানে এই আইএসআইএল সন্ত্রাসীগুলোকে মাসের পর মাস সময় নিয়েও কেন ধ্বংস করা যাচ্ছে না? আপনাদের দ্বারা পরিচালিত এই ছেলেমানুষি ধোকাবাজি ও কি আমাদের বিশ্বাস করতে হবে?
বিশ্বের মুসলমানদেরকে প্রতিনিয়ত ধোকার মধ্যে রেখে ইহুদী নিয়ন্ত্রিত পাশ্চাত্য শক্তি এমনি এক পর্যায়ে উপনিত হয়েছে যে, আজ তারা ওহাবী মগজধোলাইকৃত মুসলমানদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে লিপ্ত করে ইসলাম নামের ধর্মটিকে পৃথিবী থেকে সমূলে উৎপাটন করতে চায়।এতদ্ব বিষয়ে তাদেরকে সর্বোচ্চ সহযোগীতা করছে সৌদি রাজবংশ, আর তার অনুসারী জর্দানের বাদশাহ, কাতার, কুয়েত এবং আরো কিছু ইহুদী শেখরা। এদের কাজ হচ্ছে ইসলাম ধর্মকে কাজে লাগিয়ে অতি ধীর মুসলমানদেরকে আক্বীদা নষ্টের মাধ্যমে সন্ত্রাসীতে রুপান্তরিত করা।
মগজধোলাই কার্যক্রমে তারা কতখানি দক্ষ এবং সার্থক তা জানতে হলে দয়া করে ক্লিক করুন, খোলামাঠে মগজ ধোলাই (Click This Link)|
ইউরোপ, আমেরিকা কিংবা অষ্ট্রেলিয়ার মত দেশ সমূহের মসজিদগুলোতে ইমামতি করে সৌদি ওহাবী চেতনার হুজুরেরা। তারা অঢেল টাকার বিনিময়ে মুসলমান যুবকদের ওহাবী চেতনায় উদ্ধুদ্ধ করে পরবর্তী পর্যায়ে তাদেরকে সালাফী সন্ত্রাসীতে রপান্তরিত করা হয়। এরাই আইএস-এ গিয়ে যোগদান করে। ভারতের স্বার্থে ভারতীয় মুসলমানদেরকে রেডিকেল করা হয়নি, কেন তারা রেডিকেল হয়নি জানতে চাইলে ক্লিক করুন (Click This Link)|
আমাদের দেশে কি ভয়ানক সালাফী মগজধোলাই হচ্ছে তা জানতে ক্লিক করুন (Click This Link)
এবার আলোচনা করা যাক কেন এই খুনী সালাফী আইএসদেরকে মাঠে নামানো হলো? জাতি হিসাবে মুসলমান এবং ধর্ম হিসাবে ইসলামকে মহান আল্লাহ পাকের সৃষ্টি দুনিয়া থেকে চিরতরে উৎখাত করার জন্যই এই আইএস এর অবতারনা। চরম বর্বরতা আর ধ্বংসযজ্ঞের মাধ্যমে ইসলাম ধর্মের অবমাননা এবং বিশ্ববাসীকে পবিত্র ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারনা দেয়ার জন্যই এই আইএস। যেমনি ছিল- আল কায়দা, তালেবান, জেএমবি এবং এ ধরনের হাজারো সন্ত্রাসী দল।
সৌদি ইহুদী রাজা আইএস তৈরীর প্রশিক্ষন এবং অস্ত্র গোলাবারুদের সরবরাহ করে, সেই সাথে বর্তমানে ইয়েমেনের স্বাধাীনতাকামী মুসলমানদের বিরুদ্ধে আমেরিকার পক্ষে চালাচ্ছে বর্বর আক্রমন। এই সৌদি রাজাই এখন চাপ প্রয়োগ করছে পাকিস্তানকে ইয়েমেন আক্রমনে সহযোগীতা করতে।(Click This Link)
এতে শিয়া সুন্নীর গৃহযুদ্ধ পাকিস্তানেও ছড়িয়ে পরবে। আর বাংলাদেশের জন্য সৌদি উপহার কি? কুয়েতের আমীরদের মাধ্যমে এ দেশের সেনাবাহিনীর মগজ ধোলাই করা হচ্ছে। আমাদের সেনাবাহিনী ধর্মীয় জ্ঞানে গন্ডমূর্খ। কুয়েত, কাতার, সৌদি আরব এবং আমেরিকাতে লোক পাঠাচ্ছে ধর্মীয় প্রশিক্ষনের জন্য! আসলে তারা নিজের অজান্তে সালাফি চেতনার মগজধোলাই হচ্ছে। ওদের টাকার বিনিময়ে নিজের অজা›েত দ্রুতই সালাফী চেতনা গ্রহন করছে। সরকারের চোখের সামনেই সব হচ্ছে! যেহেতু সরকার ও ধর্মীয় জ্ঞানে গন্ডমুর্খ তাই তারাও বিষয়টি বুঝতে পারছেনা। এদেশের এক বৃহৎ জনগোষ্ঠী আইএসকে সমর্থন দেয়ার জন্য তৈরী হচ্ছে এবং অচিরেই বাংলার মাঠে আইএস এর পতাকা উত্তোলিত হতে পারে। তখন শুধু সীমান্ত হত্যাই নয় ভারত হয়তো তখন ড্রোন দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে আইএস নিধনে লিপ্ত হবে। আমেরিকা সাগ্রহে ঐ ড্রোন আইএস নিধনের জন্য ভারতকে হস্তান্তর করবে। বিশ্ব মুসলমান যত দ্রুত সৌদী রাজবংশকে ক্ষমতা থেকে বিতারিত করতে পারবে ততো দ্রুতই সন্ত্রাসীর উৎপত্তি বন্ধ হবে। বিশ্বে সকল মুসলমান দেশ সমুহের নেতৃত্ব ধর্মীয় জ্ঞানে চরম যাহিল, কাফিরদের মনস্তাত্বিক আক্রমন থেকে মুসলমানদের রক্ষা করা এদের জন্য উদিয়মান সূর্যকে থামিয়ে দেয়ার মতই অসম্ভব কাজ। এরা বরং ক্ষমতার লোভে মুসলিম নিধনে কাফিরদের সহায়ক শক্তি। মহান আল্লাহ পাক বিশ্ব মুসলমানকে হেফাযত করুন। আমীন।।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:০৬