পাশ্চাত্য জগতের ক্ষমতালোভী মানষিক রোগীরা (সাইকোপ্যাথ) ঈহুদী চক্রান্তে পরে নিজেরা টুইন টাওয়ার ধ্বংস করে পৃথিবী জুড়ে ব্যাপক হারে মুসলমানদের উপর জুলুম-নির্যাতন চালু করেছে।
শুধু মুসলমান নিধনই তাদের উদ্দেশ্য নয়, সন্ত্রাসের ভয় দেখিয়ে পাশ্চাত্য দেশ সমূহের নিরীহ খ্রিষ্টান জনগণকে তারা শৃঙ্খলাবদ্ধ কৃতদাসে পরিণত করছে। তাদের সব ধরণের মানসিক স্বাধীনতা ধীরে ধীরে হরণ করা হচ্ছে, ব্যক্তি স্বাধীনতা, গণতান্ত্রিক অধিকার, মানবাধিকার সহ সকল প্রকার অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া হচ্ছে। শুধুমাত্র ক্ষমতায় আসীন ঈহুদীদের গোলামরা বিষয়টি অস্বীকার করলেও পাশ্চাত্য জগতের প্রায় সকল শিক্ষিত জনগনই জানে যে, টুইন টাওয়ার ঈহুদীদের মোসাদ এবং আমেরিকার সিআইএ এই দুই গোয়েন্দা সংস্থা মিলে ধ্বংস করেছে।
কি হচ্ছে আমাদের দেশে? ঐ একই পদ্ধতি, পেট্রোল বোমা দিয়ে নিরীহ বাঙ্গালী মুসলমানদের হত্যা করা হচ্ছে বিরোধী দলকে শায়েস্তা করার জন্য। পুলিশ মাঝে মধ্যেই পেট্রোলবোমার সামগ্রী খুজে পায় ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের নেতাদের বাসায়। (Click This Link)
যত বেশী জীবিত মানুষকে পেট্রোল বোমা দিয়ে দগ্ধ করা যাবে তত বেশী বিরোধী দলকে দায়ী করা যাবে, কারণ পুলিশ এবং আদালত ছাড়াও মিডিয়াও এখন সম্পুর্ন সরকারের গণতান্ত্রিক দখলে।
অভিজিতকে হত্যা করা যেত অনেক ভাবে, অনেক নিরাপত্তার সাথে, ঢাকা শহরের যে কোন কোনা কাঞ্চিতে । কিন্তু এই হত্যা কান্ডটি ঘটানো হয়েছে রোমেনা আফাজের “দস্যু বনহুরের” মত করে। সেই দস্যু বনহুর চিঠি দিয়ে, দিন ক্ষন জানিয়ে দিয়ে, এরপর ডাকাতী করতে আসতো। শতশত পুলিশ চারিদিকে গিজ গিজ করছে তারপরও দস্যু বনহুর তার ডাকাতি/খুনের কাজ সেরে নির্বিঘ্নে কেটে পড়তো। ছোট কালে দস্যু বনহুরের কাহিনী পড়ে ভয়ংকর ভালো লাগতো, এখন তা দেখলে হাসি পায়। রোমেনা আফরোজের মনে হয় গাজায় প্রতীকী আসক্তি ছিলো।
অভিজিত হত্যাকান্ডটি ঐ দস্যু বনহুরের মতই মনে হচ্ছে। এদেশে পর্যাপ্ত ভারতীয় গোয়েন্দা থাকা সত্যে ও এফবিআই কে আনতে হবে, তাই র্যাব, পুলিশ, বিজিবি আর শত শত গোয়েন্দাদের মাঝে আমেরিকান নাগরিক অভিজিতকে হত্যা করা হলো। এই হত্যাকান্ডের পরিকল্পনাকারী তৃতীয় শ্রেনীর বুৃদ্ধিমত্তা সম্পন্ন কোন সরকারী কর্মকর্তা না হয়েই পারে না। খোজ নিলে দেখা যাবে রোমেনা আফরোজের মত প্রতীকী নয় সত্যি সত্যি গাজার কলকীর প্রতি অতি মাত্রায় আসক্তি আছে পরিকল্পনাকারীদের।
আরো ভাল করে খবর নিলে দেখা যাবে যে, তারা হচ্ছে একদল গোপালী / আম্লীক কিংবা হিন্দু এদের কেউই মনেপ্রানে মুসলমান কিংবা বাংলাদেশী হতে পারেনা। মুল কথা হচ্ছে, “টুইন টাওয়ার ধ্বংস” হলো আন্তর্জাতিক ফলস ফ্লাগ অপারেশন, আর “অভিজিত হত্যাকান্ড” হচ্ছে জাতীয় পর্যায়ের ফল্স ফ্লাগ অপারেশন,তবে উদ্দেশ্য এক, ইসলাম তথা মুসলমানদের নিধন।
হে আল্লাহ পাক কাফির ও মুসলমানদের সুরতে কাফিরদের হাত থেকে আমাদের রক্ষা করুন। আমীন।